শাহীন রহমান, পাবনা
কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভর্তি-ইচ্ছুকদের আবাসিক হলে থাকতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।
স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে হলগুলোর প্রায় প্রতিটি কক্ষে ছয় থেকে সাতজন করে ভর্তি-ইচ্ছুকদের থাকতে দিয়েছিলেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অভিযোগ স্বজনপ্রীতির কারণে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা নিয়ম অমান্য করে এমন করেছেন।
গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি কক্ষেই অবস্থান করছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। এক এক কক্ষে প্রায় ছয় থেকে সাতজন করে ভর্তি-ইচ্ছুক রয়েছেন। পরিচিতজনদের মাধ্যমে হলের কক্ষগুলোতে অবস্থান করছেন বলে জানান তাঁরা।
নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে আমার এলাকা থেকে দুজন বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে পৌঁছান। রাত দুইটার দিকে তাঁরা আমাকে ফোন করে জানান থাকার জন্য কোনো জায়গা পাচ্ছেন না। আমি কোনো উপায় না দেখে আমার রুমে চল আসতে বলি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই তাঁরা রুম ত্যাগ করেছেন।’
নাম না প্রকাশের শর্তে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে তেমন কোনো আবাসিক হোটেল বা রেস্ট হাউস নেই যেখানে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবেন। প্রতিবার আমরা আমাদের হলগুলোতে বিপুল পরিমাণ ভর্তি-ইচ্ছুকদের থাকার ব্যবস্থা করে দিই। এর পাশাপাশি আশপাশের এলাকায় কোনো আত্মীয়-স্বজন থাকলে তাঁরা সেখানে থেকে পরীক্ষা দিতে আসেন। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে তাঁরা উভয়সংকটে পড়েছেন। না পারছেন কোনো আত্মীয়ের বাসায় উঠতে না পারছিলেন হলে উঠতে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই আমাদের কাছে সাহায্য চাচ্ছিলেন। আমরা কোনো উপায় না দেখে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আবাসিক হলগুলোতে তাঁদের থাকতে দিয়েছি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরই তাঁরা হল ত্যাগ করেছেন।’
তবে অনেক আবাসিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, হল কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবেই ভর্তি–ইচ্ছুকেরা হলে উঠতে পেরেছেন। ভর্তি–ইচ্ছুকদের বেশির ভাগ এখনো করোনার টিকা নেননি। এই অবস্থায় যে রুমগুলোতে তাঁরা উঠেছেন ওই রুমে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাসের বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এখন শঙ্কায় থাকবেন। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের হলগুলোতে ভর্তিচ্ছুরা উঠেছেন এমন তথ্য পাইনি। তা ছাড়া, আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভর্তি–ইচ্ছুকদের আবাসিক হলে রাখার বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা স্বজনপ্রীতি কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভর্তি-ইচ্ছুকদের রাখতে পারবেন না। আমাকে কিছু শিক্ষার্থী ফোন করেছিলেন। আমি তাঁদেরকে ভর্তি–ইচ্ছুকদের না রাখার জন্য বলেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা ভর্তি–ইচ্ছুকদের হলে না থাকার নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু হলের কিছু শিক্ষার্থী আমাদের অগোচরে ভর্তি–ইচ্ছুকদের তাদের রুমে থাকতে দিয়েছে।’ এ সময় তিনি অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান। প্রসঙ্গত, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভর্তি–ইচ্ছুকদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১০ অক্টোবর ভর্তি–ইচ্ছুকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে অবস্থান না নেওয়ার নির্দেশনা দেয় ইবি প্রশাসন।
কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভর্তি-ইচ্ছুকদের আবাসিক হলে থাকতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।
স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে হলগুলোর প্রায় প্রতিটি কক্ষে ছয় থেকে সাতজন করে ভর্তি-ইচ্ছুকদের থাকতে দিয়েছিলেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অভিযোগ স্বজনপ্রীতির কারণে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা নিয়ম অমান্য করে এমন করেছেন।
গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি কক্ষেই অবস্থান করছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। এক এক কক্ষে প্রায় ছয় থেকে সাতজন করে ভর্তি-ইচ্ছুক রয়েছেন। পরিচিতজনদের মাধ্যমে হলের কক্ষগুলোতে অবস্থান করছেন বলে জানান তাঁরা।
নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে আমার এলাকা থেকে দুজন বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে পৌঁছান। রাত দুইটার দিকে তাঁরা আমাকে ফোন করে জানান থাকার জন্য কোনো জায়গা পাচ্ছেন না। আমি কোনো উপায় না দেখে আমার রুমে চল আসতে বলি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই তাঁরা রুম ত্যাগ করেছেন।’
নাম না প্রকাশের শর্তে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে তেমন কোনো আবাসিক হোটেল বা রেস্ট হাউস নেই যেখানে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবেন। প্রতিবার আমরা আমাদের হলগুলোতে বিপুল পরিমাণ ভর্তি-ইচ্ছুকদের থাকার ব্যবস্থা করে দিই। এর পাশাপাশি আশপাশের এলাকায় কোনো আত্মীয়-স্বজন থাকলে তাঁরা সেখানে থেকে পরীক্ষা দিতে আসেন। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে তাঁরা উভয়সংকটে পড়েছেন। না পারছেন কোনো আত্মীয়ের বাসায় উঠতে না পারছিলেন হলে উঠতে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই আমাদের কাছে সাহায্য চাচ্ছিলেন। আমরা কোনো উপায় না দেখে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আবাসিক হলগুলোতে তাঁদের থাকতে দিয়েছি। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পরই তাঁরা হল ত্যাগ করেছেন।’
তবে অনেক আবাসিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, হল কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবেই ভর্তি–ইচ্ছুকেরা হলে উঠতে পেরেছেন। ভর্তি–ইচ্ছুকদের বেশির ভাগ এখনো করোনার টিকা নেননি। এই অবস্থায় যে রুমগুলোতে তাঁরা উঠেছেন ওই রুমে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। পুরো ক্যাম্পাসের বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এখন শঙ্কায় থাকবেন। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের হলগুলোতে ভর্তিচ্ছুরা উঠেছেন এমন তথ্য পাইনি। তা ছাড়া, আমাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভর্তি–ইচ্ছুকদের আবাসিক হলে রাখার বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা স্বজনপ্রীতি কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভর্তি-ইচ্ছুকদের রাখতে পারবেন না। আমাকে কিছু শিক্ষার্থী ফোন করেছিলেন। আমি তাঁদেরকে ভর্তি–ইচ্ছুকদের না রাখার জন্য বলেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা ভর্তি–ইচ্ছুকদের হলে না থাকার নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু হলের কিছু শিক্ষার্থী আমাদের অগোচরে ভর্তি–ইচ্ছুকদের তাদের রুমে থাকতে দিয়েছে।’ এ সময় তিনি অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান। প্রসঙ্গত, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভর্তি–ইচ্ছুকদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১০ অক্টোবর ভর্তি–ইচ্ছুকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে অবস্থান না নেওয়ার নির্দেশনা দেয় ইবি প্রশাসন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫