Ajker Patrika

ফেসবুক লাইভে এসে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা ফেনীতে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ফেনী প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২১, ১২: ২২
ফেসবুক লাইভে এসে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা  ফেনীতে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ফেনী শহরের বারাহিপুর এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে ফেসবুক লাইভে এসে তাহমিনা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তাঁর স্বামী ওবায়দুল হক টুটুলকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ফেনী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. বেগম জেবুন্নেছা এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালত জানান, আসামিপক্ষ চাইলে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। এর আগে মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল হক টুটুলকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।

আদালত সূত্র জানায়, পারিবারিক অশান্তি এবং স্ত্রীর পরিবারকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করার অজুহাত দেখিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল স্ত্রী তাহমিনাকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন ওবায়দুল হক টুটুল। পরে সেদিনই তাহমিনার বাবা সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইমরান হোসেন গত বছরের ১১ নভেম্বর টুটুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহম্মদ এবং বাদীর আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেন, এই রায়ে দৃষ্টান্তমূলক সাজা হয়েছে। আর কেউ দ্বিতীয়বার এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর সাহস পাবে না।

তবে রায়ে খুশি নন আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার। তিনি বলেন, একতরফা রায় দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান তিনি।

এর আগে গত মঙ্গলবার তাহমিনা হত্যা মামলায় টুটুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২১ অক্টোবর রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।

গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর একমাত্র আসামি ওবায়দুল হক টুটুলকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ গঠন করা হয়। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। পরে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিচারকাজ শুরু হয়।

পরিবার সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বারাহিপুর এলাকার গোলাম মাওলা ভূঁইয়ার ছেলে ওবায়দুল হক ভূঁইয়া টুটুল কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আকদিয়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের দেড় বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। স্ত্রীকে হত্যার আগে ফেসবুক লাইভে এসে টুটুল সবার কাছে মাফ চান এবং ঘটনার জন্য নিজেই দায়ী বলে স্বীকার করেন। ওই ভিডিওতে তাঁর মেয়েকে দেখভালের জন্য সবার কাছে অনুরোধ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত