Ajker Patrika

এত জমকালো বিয়ে ভাবেননি রোকসানাও

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ১৮
এত জমকালো বিয়ে ভাবেননি রোকসানাও

রংপুর নগরীর সাহেবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম চোখে দেখতে পান না। অভাবের সংসারের ঘানি একাই টানতেন তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মানুষের বাড়িতে কাজ করে চালাতেন পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ।

ওই দম্পতির দুই সন্তান। ছেলে নুর হোসেন পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ হওয়ার আগেই বেছে নেন নরসুন্দরের কাজ। দেখতে দেখতে বড় হয়ে যায় মেয়ে রোকসানা। আর বাড়তে থাকে বাবা-মায়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ। রোকসানার বিয়ে দেওয়ার চিন্তা পেয়ে বসে অসহায় ওই দম্পতিকে। মেয়ের বিয়ে নিয়ে যখন অন্ধকারে রফিকুল-মনোয়ারা দম্পতি ঠিক তখনই আশার আলো হয়ে পাশে দাঁড়ায় নগরীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘মানবতার পথিক’। রোকসানার বিয়ের ব্যবস্থা করে দিয়ে ওই দম্পতিকে হাঁফ ছেড়ে বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা।

গত রোববার রাতে নগরীর জেলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টারে জমকালোভাবে রোকসানার বিয়ের আয়োজন করা হয়। বর পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোর্শেদুল ইসলাম।

বিয়ের আয়োজনে কোনো কমতি রাখা হয়নি। আলোকসজ্জায় সাজানো হয় কমিউনিটি সেন্টার। গান, নাচ আর আনন্দ-উল্লাসে আয়োজনকে জাঁকজমক করে তোলেন সংগঠনটির সদস্যরা।

মেয়ের বিয়ের দিন মা মনোয়ারা বেগমের চোখে ছিল আনন্দাশ্রু। বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না এভাবে তার মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। সংগঠনের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

রোকসানার বড় ভাই নুর হোসেন বলেন, বোনের বিয়ে নিয়ে মা-বাবা দুশ্চিন্তা করতেন সব সময়। ভেবেছিলাম সুদের ওপর টাকা নিয়ে বোনের বিয়ে দেব। পরে ওই সংগঠনের খোঁজ পাই। তারা অল্প সময়ের মধ্যে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেয়।

মানবতার পথিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাজ সর্দার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০ দিন আগে রোকসানার পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে সত্যতা যাচাইয়ের পর পাত্র খুঁজতে থাকি। এত অল্পসময়ে মেয়েটির বিয়ে দিতে পারব ভাবিনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত