Ajker Patrika

জমিতে পলি পড়ায় দিশেহারা কৃষক

প্রতিনিধি, নীলফামারী
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬: ৩৪
জমিতে পলি পড়ায় দিশেহারা কৃষক

নীলফামারীর ডিমলা চরাঞ্চল থেকে তিস্তা নদীর পানি নেমে গেছে। কিন্তু বন্যার পানিতে ভেসে আসা পলিতে প্রায় ১০০ বিঘা জমির আমনখেত এখন বালুচরে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত আমনচাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, উজানের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় গত আগস্ট মাসের শেষের দিকে ডিমলা উপজেলার ভেন্ডাবাড়ি চরের ২ নম্বর স্পার বাঁধ ভেঙে যায়। এতে ফসলি জমিতে পানি ঢুকে বালুর স্তর পড়ে প্রায় ৭৫ বিঘা আমনখেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।

ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ছাতুনামা চরের কৃষক মিলন হোসেন জানান, তিস্তার ভাঙনে ভিটেমাটিহারা হয়ে স্পার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি। সেই সঙ্গে ১০ বিঘা জমিতে রোপা আমনখেতে পলি পড়ে সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, যা আগামী তিন-চার বছরে ওই জমিতে চাষাবাদের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।

ভেন্ডাবাড়ি চরের আসলাম মিয়া বলেন, ‘বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তিস্তা নদীর নতুন করে গতিপথের সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমার এক একর জমির আমনখেত নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ওইটুকু জমিতে আমনের পর ভুট্টা চাষ করা হতো। জমি না থাকায় পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণ নিয়ে বড় চিন্তায় রয়েছি।’

ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার আলী জানান, বন্যায় চরাঞ্চলের ৯০ জন কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পলির স্তর পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ইতিমধ্যে মাষকলাই ও পেঁয়াজের বীজ বিতরণ করা হয়েছে, যা ওইসব জমিতে বপনে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে কিছুটা হলেও তাঁদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তিস্তা নদীর স্পার বাঁধ ভেঙে আমনচাষিদের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। বন্যা-পরবর্তীতে কৃষি পুনর্বাসনে কৃষকদের বীজ ও সার দেওয়ার পাশাপাশি কৃষি উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত