Ajker Patrika

ইবির হলে কক্ষ বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ

পল্লব আহমেদ সিয়াম, ইবি
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৪৪
ইবির হলে কক্ষ বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ রাসেল হলে কক্ষ বরাদ্দের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে হল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের ২২টি খালি সিটের জন্য ২০০ শিক্ষার্থীর কাছে ব্যাংকের রশিদ ছাড়া ফর্ম বিক্রি ও মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

কক্ষের জন্য আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলে কক্ষ খালি থাকা সাপেক্ষে গত ৩ অক্টোবর অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কক্ষের জন্য আবেদনের বিজ্ঞপ্তি দেয় হল কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে পরবর্তী চার কর্মদিবসের মধ্যে হল অফিসে ২০০ টাকা জমা দিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়। বিজ্ঞপ্তি দেখে ২০০ শিক্ষার্থী কক্ষের জন্য আবেদন করেন। হল কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিতে সিট সংখ্যা উল্লেখ না করেই বিজ্ঞপ্তি দেয়। এ জন্য ২২ সিটের বিপরীতে ২০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এ সব আবেদনকারীদের কাছ থেকে আবেদন ফরম বাবদ ব্যাংকের রশিদ ছাড়াই নগদ টাকা নেয় হল কর্তৃপক্ষ। আবেদনের সময় শেষ হওয়ার তিন দিন পর সিট পাওয়া ২২ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করে হল কর্তৃপক্ষ।

আরও জানা গেছে, তালিকা প্রকাশ করার ক্ষেত্রেও নিয়ম-নীতির মানেনি হল প্রশাসন। নিয়ম হলো, সাক্ষাৎকার নিয়ে রেজাল্ট দেখে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া। কিন্তু হল প্রশাসন এসব কিচ্ছু না করেই তালিকা প্রকাশ করেছে। হল কর্তৃপক্ষ সিট বাণিজ্য শুরু করেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিটের জন্য আবেদনকারী এ সব শিক্ষার্থীরা।

এদিকে হল প্রশাসনের দাবি, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কোনো টাকা নেওয়া হয়নি। ফরমের জন্য যে টাকা নেওয়া হয় তা হলের উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, হল প্রশাসন এসবকে টাকা কামানোর মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে। দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন সব অনিয়ম করা হচ্ছে।

শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত কোনো ফি না। হল কর্তৃপক্ষ ফরমের টাকা নির্ধারণ করেছে। তাই ব্যাংকে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ যদি অনিয়ম করে থাকে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষা ছাড়া সিট দিলে অবশ্যই নিয়মের লঙ্ঘন ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাংকের রসিদ ছাড়া হাতে হাতে টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই।’

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘শেখ রাসেল হলের এই অনিয়মের বিষয়ে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে হল প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলব। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পয়সাও হাতে নেওয়ার সুযোগ নেই। সব টাকা-পয়সা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত