Ajker Patrika

অবশেষে অবসান হবে মধ্যপাড়াবাসীর কষ্টের

তিতাস প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২: ৪৮
অবশেষে অবসান হবে মধ্যপাড়াবাসীর কষ্টের

উপজেলার পাঙ্গাসিয়া থেকে বলরামপুর নতুন বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক পাকা করার কাজ চলছে। কিন্তু এর বলরামপুর মধ্যপাড়া অংশে আনুমানিক এক কিলোমিটার সড়কের মাটি কেটে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন। এতে গ্রামের শিশু থেকে শুরু করে নারী–পুরুষের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিদিনই কেউ না গর্তে পড়ে আহত হচ্ছেন। তবে স্থানীয় সাংবাদিকরা খোঁজ–খবর নেওয়ার পর গতকাল ড্রেজার বসানো হয়েছে বলে জানা গেছে। দু–এক দিনের মধ্যে মাটি ভরাট কাজ শুরু হবে।

গত সোমবার সরেজমিনে কথা হয় মধ্যপাড়ার কয়েকজনের সঙ্গে। এঁদের একজন পরিতুন নেছা (৬২) বলেন, ‘দুদিন সন্ধ্যায় দোকানে যাওয়ার সময় এই গর্তে পড়ে ডান পায়ে ব্যাথা পেয়েছি। এখনও হাঁটতে পারছি না ঠিকমতো।’

আব্দুল হক (৬৬) বলেন, রাস্তার মাটি কেটে যেভাবে গর্ত করে রেখেছে, এ অবস্থায় চলাচলে খুবই অসুবিধা। যে কোনো সময় গর্তে পড়ে গিয়ে ব্যথা পাবার আশঙ্কা। এই ভয়ে ফজর ও এশার নামাজ পড়তে মসজিদে আসেন না।

সাহেব আলী (৬৫) বলেন, প্রায় দেড়মাস হবে রাস্তার মাটি কেটে এভাবে গর্ত করে রেখেছে। গ্রামবাসীর চলাচলে খুব অসুবিধা হচ্ছে। দ্রুত মাটি ভরাট করে দিলে চলাচল করতে সুবিধা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস সূত্রে জানা যায় ২ কেটি ৪৯ লাখ ১৯ হাজার ৫৭৫ টাকা ব্যয়ে পাঙ্গাসিয়া টু বলরামপুর নতুন বাজার পর্যন্ত তিন কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের মাটি ভরাটসহ পাকা করার কাজটি পায় মেসার্স শফিক অ্যান্ড ব্রাদার্স। চলতি বছরের ৫ মার্চ ওয়ার্ক ওর্ডার পেয়ে সড়কের কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। কাজটি শেষ করার তারিখ আগামী বছরের জানুয়ারিতে।

এ বিষয়ে ঠিকাদার ইয়াছিনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘কাজ আমি করি না, বলরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুর নবী করেন।’

নুর নবী চেয়ারম্যানের নিকট জানতে চাইলে বলেন, কাজ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স শফিক অ্যান্ড ব্রাদার্স । রাস্তার কাজ দ্রুত করার জন্য তদারকি করি মাত্র। তবে এটা ঠিক মাটির সমস্যার কারণে বলরামপুর মধ্য পাড়া অংশে গ্রামবাসীর চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত