Ajker Patrika

পর্যাপ্ত মজুত, সরবরাহের পরও পেঁয়াজের দাম চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৪৪
পর্যাপ্ত মজুত, সরবরাহের পরও পেঁয়াজের দাম চড়া

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে, বেড়েছে সরবরাহও। তবু মোকাম, পাইকারি ও ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে গত সপ্তাহে মানভেদে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৫০-৬০ টাকা। গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৫ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৪৫-৫৫ টাকা।

পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, এক সপ্তাহ আগে তাঁদের প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫-৪৭ টাকা। বৃহস্পতিবার তা বিক্রি হয়েছে ৪৮-৫০ টাকায়। তবে বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৪০-৪২ টাকায়, পাকিস্তানি ৩৬-৩৮ টাকায় ও ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৭-৩৮ টাকায়।

মোকামে গত সপ্তাহে প্রতি মণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজের দাম ছিল ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা। বর্তমানে তা ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছর পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। তাই এখন আমদানি অব্যাহত থাকলে লোকসান গুনতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।

মোকামমালিকেরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে পেঁয়াজে ভালো দাম পাওয়ায় অনেকের কাছেই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত আছে। অনেকে আবার ভয়ে দ্রুত পেঁয়াজ ছেড়ে দিচ্ছেন। কৃষকেরা বলছেন, আগামী মাসের মাঝামাঝি বাজারে নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসবে। তখন পেঁয়াজের দাম পড়ে যাবে। এমন আশঙ্কা থেকে অনেকেই দ্রুত পেঁয়াজ ছেড়ে দিচ্ছেন।

ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার কৃষক মাজেদ হোসেন জানান, তাঁদের এলাকার প্রায় প্রতিটি অবস্থাসম্পন্ন কৃষকের ঘরে বর্তমানে ৫০ থেকে ১৫০ মণের মতো পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আরও কিছুদিন তা ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। আবার অনেকেই দ্রুত বিক্রি করে দিচ্ছেন।

আগে ফরিদপুর থেকে ১০০ কেজি ওজনের ১০০ বস্তা পেঁয়াজ ঢাকায় পৌঁছাতে খরচ পড়ত ৭-৮ হাজার টাকা। বর্তমানে তা ১০ হাজার টাকা পড়ছে। কুলিখরচও বস্তাপ্রতি ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত