Ajker Patrika

বাদশার দুই কিডনিই নষ্ট

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ২২: ৫১
বাদশার দুই কিডনিই নষ্ট

‘মায়ের দেওয়া কিডনি প্রতিস্থাপন করার তিন দিন পর শরীর রিজেক্ট করে দেয়। পরে ৭টি প্লাজমা দিয়ে শরীরের অ্যান্টিবডি চেঞ্জ করা হয়। প্রতিটি প্লাজমায় ৬০ হাজার ভারতীয় রুপি খরচ হয়। এভাবে মায়ের দেওয়া কিডনি প্রতিস্থাপন করেছি। মনে করেছিলাম এ যাত্রায় আল্লাহ বাঁচিয়ে দিলেন।

দুর্ভাগ্য, ৫ বছর না যেতেই দুই কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। প্রতি সপ্তাহে দুইবার করে ডায়ালাইসিস করাচ্ছি। পরিবারের আর কোনো সামর্থ্য নেই আমার চিকিৎসায় অর্থব্যয় করার।’ কথাগুলো বলছিলেন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের বাদশা আলমগীর।

বাদশা বর্তমানে ভারতের কলকাতার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট কার্ডিয়াক সায়েন্সে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকের দেওয়া কিডনি প্রতিস্থাপনের নির্ধারিত দিন পার হয়ে গেছে প্রয়োজনীয় টাকার ব্যবস্থা করতে না পারায়। নতুন করে কিডনি প্রতিস্থাপনে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

‘প্রথমবার জমি বিক্রি করে চিকিৎসা নিয়েছি। এখন অন্যের সাহায্য ছাড়া বাঁচা সম্ভব না।’ ফেসবুকের মেসেঞ্জার কলে এসব কথা বলেই বাদশা কাঁদতে শুরু করেন।

২০১৫ সালে মায়ের দেওয়া কিডনি ভারতের চেন্নাইয়ের সিএমসি হাসপাতাল থেকে প্রতিস্থাপন করা হয়। এর পাঁচ বছর পর আবারও বাদশার কিডনির সমস্যা দেখা দেয়।

বাদশার বাবা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘ছেলের দুটি কিডনি নষ্ট হয়। কীভাবে তাঁর চিকিৎসা চালাব। সহায়-সম্পদ সব যে শেষ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত