Ajker Patrika

সুগন্ধি চিকন জাতের ব্রি-৯০ ধানের বাম্পার ফলন

ফেনী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ২৬
সুগন্ধি চিকন জাতের ব্রি-৯০ ধানের বাম্পার ফলন

ফেনীর সীমান্তবর্তী উপজেলা ছাগলনাইয়ায় চলতি আমন মৌসুমে প্রথমবারের মতো মাঠে কৃষক পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ধান ব্রি-৯০। মাত্র ৩৩ শতক জমিতে চাষ করা উচ্চফলনশীল আধুনিক জাতের এ সুগন্ধি ও চিকন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

এ ধানে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন পাঁচ টন হওয়ায় উপকূলীয় এলাকার কৃষকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বর্তমানে ওই এলাকায় স্থানীয় ধানের মাঠে কেবল পুষ্পায়ন হচ্ছে। ধান রোপণ করার মাত্র ১২২ দিনের কম সময়ে আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় এ জাতের ধান নিয়ে নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

যেসব জমি মাঝারি উঁচু বা উঁচু, এ ধান চাষ করে মধ্য কার্তিকেই ধান কাটার পর সেখানে সরষে, আলু, শাক-সবজির চাষ করা সম্ভব হবে।

সাধারণত এ এলাকায় স্থানীয় জাতের আমন ধান অনেক দেরিতে পাকে। যে কারণে নতুন কোনো ফসল চাষ করা সম্ভব হয় না। ফলে এলাকার বেশির ভাগ জমি এক ফসলি এবং তা বছরের সাত থেকে আট মাসই ফাঁকা পড়ে থাকে। ব্রি-৯০ একদিকে মাত্র চার মাসের মধ্যেই পাকে এবং ফলনও বেশি। স্থানীয় কৃষকেরা জানিয়েছে, অন্য জাতের ধান হেক্টরপ্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদন সাড়ে তিন থেকে চার টন। সেখানে ব্রি ধানের উৎপাদন পাঁচ টন পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব।

সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প, মুহুরী সেচ প্রকল্প বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপজেলার পশ্চিম দেবপুর গ্রামের স্থানীয় কৃষক মো. আবদুল হাইয়ের কাছে বিনা মূল্যে ব্রি-ধান ৯০ বীজ দেওয়া হয়।

এবারই প্রথম এ জাতের ধান চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পান আবদুল হাই। তাঁর জমিতে ধান পাকার পর ফলন থেকে অনেকেরই এ ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে।

কৃষক মো. আবদুল হাই বলেন, এক বিঘা জমিতে ১৬ মণ ফলন পাওয়ায় তিনি খুবই খুশি।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) ফেনীর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নাসীর উদ্দিন বলেন, এটি চাষে স্বল্প সময় ও খরচে কৃষকেরা লাভবান হবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনীর উপপরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম ও বাপাউবো ফেনীর উপপ্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, স্থানীয় কৃষক ও সংশ্লিষ্ট লোকজন এটি দেখে ব্রি ধান-৯০ চাষে মনোযোগী হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে সারা দেশে এর কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা রবীন্দ্র কুমার মজুমদার জানান, এ ধানের চাল বিদেশে রপ্তানিযোগ্য। কেবল এই এলাকাতেই নয়, সারা দেশে আগাম আমন ধান হিসেবে ব্রি-৯০ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে।

২০১৯ সালে ব্রি-৯০ মাঠ পর্যায়ে চাষে ছাড়পত্র দেয় বীজ প্রত্যয়ন বোর্ড।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত