সম্পাদকীয়
বিনোদিনী দাসী, যিনি নটি বিনোদিনী নামেই বেশি পরিচিত। তিনি যখন অভিনয় করার জন্য প্রথম থিয়েটারে যান, তখন রসিক নিয়োগীর গঙ্গার ধারের বাড়িটিতেই মহড়া হতো। সেই বাড়িটি দেখতে ছিল সুন্দর। গঙ্গার শীতল বাতাস প্রাণ জুড়িয়ে দিত। সেখানে ছিল অন্তিম-পথ-যাত্রীদের বিশ্রাম ঘর। বিনোদিনীর বয়স তখন কম। মহড়ার ফাঁকে ফাঁকে তিনি গঙ্গার ধারে ছুটে বেড়াতেন। খেলে বেড়াতেন।
সে সময় দারিদ্র্যের একেবারে শেষ প্রান্তে ছিল তাঁদের বসবাস। শুধু থাকার মতো একটা ঘরই ছিল তাঁদের বিলাস-ব্যসন। ভালো জামাকাপড় কিংবা আসবাব বলতে কিছু ছিল না। থিয়েটারে ‘রাজা’ নামে এক অভিনেত্রী ছিলেন, তিনিই একদিন হাত কাটা দুটো ছিটের জামা তৈরি করিয়ে দিলেন বিনোদিনীকে। সেই জামা পেয়ে বিনোদিনী যেন হাতে চাঁদ পেলেন। শীতকালে এই জামা দুটোই ছিল বিনোদিনীর সম্বল।
বিনোদিনীকে থিয়েটারের সবাই খুব পছন্দ করত। একদিন বড়রা সবাই পরামর্শ করে ঠিক করলেন, ‘বেণি-সংহার’ নামে যে নাটকটির অভিনয় হবে, তাতে ছোট একটি চরিত্র দেওয়া হবে বিনোদিনীকে। সে চরিত্রটি হলো দ্রৌপদীর একজন সখীর।
মহড়া তো হতো, তারপর ড্রেস রিহার্সেল হলো একেবারে নাট্যমন্দিরে। বিনোদিনী ড্রেস রিহার্সেলের দিন ঘাবড়ে যাননি। কারণ, বাইরের কেউ তো তেমন ছিল না সেখানে। যাঁরা ছিলেন, তাঁরা রসিক নিয়োগীর বাড়িতেও রিহার্সেল দেখতেন। কিন্তু গোল বাঁধল নাটকের দিন। সেদিন দর্শকপূর্ণ মিলনায়তন। উজ্জ্বল আলো, সহস্র মানুষের উৎসুক দৃষ্টি—এসব দেখে বিনোদিনী ঘাবড়ে গেলেন। তাঁর পা দুটি থরথর করে কাঁপতে লাগল। চোখ ধাঁধিয়ে গেল। মনজুড়ে বাসা বাঁধল ভয়।
সেই ভয় কাটানোর জন্য তিনি ঈশ্বরকে ডাকলেন। তারপর মহড়ার সময় যা করেছেন, সেটাই সুচারুভাবে করলেন। অভিনয় শেষে মঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসার সময় দর্শকদের করতালির শব্দ শুনতে পেলেন। তখনো তিনি জানতেন না, কারও অভিনয় ভালো হলে দর্শকেরা করতালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দিত করেন।
সূত্র: বিনোদিনী দাসী, আমার কথা ও অন্যান্য রচনা, পৃষ্ঠা ১৪-১৬
বিনোদিনী দাসী, যিনি নটি বিনোদিনী নামেই বেশি পরিচিত। তিনি যখন অভিনয় করার জন্য প্রথম থিয়েটারে যান, তখন রসিক নিয়োগীর গঙ্গার ধারের বাড়িটিতেই মহড়া হতো। সেই বাড়িটি দেখতে ছিল সুন্দর। গঙ্গার শীতল বাতাস প্রাণ জুড়িয়ে দিত। সেখানে ছিল অন্তিম-পথ-যাত্রীদের বিশ্রাম ঘর। বিনোদিনীর বয়স তখন কম। মহড়ার ফাঁকে ফাঁকে তিনি গঙ্গার ধারে ছুটে বেড়াতেন। খেলে বেড়াতেন।
সে সময় দারিদ্র্যের একেবারে শেষ প্রান্তে ছিল তাঁদের বসবাস। শুধু থাকার মতো একটা ঘরই ছিল তাঁদের বিলাস-ব্যসন। ভালো জামাকাপড় কিংবা আসবাব বলতে কিছু ছিল না। থিয়েটারে ‘রাজা’ নামে এক অভিনেত্রী ছিলেন, তিনিই একদিন হাত কাটা দুটো ছিটের জামা তৈরি করিয়ে দিলেন বিনোদিনীকে। সেই জামা পেয়ে বিনোদিনী যেন হাতে চাঁদ পেলেন। শীতকালে এই জামা দুটোই ছিল বিনোদিনীর সম্বল।
বিনোদিনীকে থিয়েটারের সবাই খুব পছন্দ করত। একদিন বড়রা সবাই পরামর্শ করে ঠিক করলেন, ‘বেণি-সংহার’ নামে যে নাটকটির অভিনয় হবে, তাতে ছোট একটি চরিত্র দেওয়া হবে বিনোদিনীকে। সে চরিত্রটি হলো দ্রৌপদীর একজন সখীর।
মহড়া তো হতো, তারপর ড্রেস রিহার্সেল হলো একেবারে নাট্যমন্দিরে। বিনোদিনী ড্রেস রিহার্সেলের দিন ঘাবড়ে যাননি। কারণ, বাইরের কেউ তো তেমন ছিল না সেখানে। যাঁরা ছিলেন, তাঁরা রসিক নিয়োগীর বাড়িতেও রিহার্সেল দেখতেন। কিন্তু গোল বাঁধল নাটকের দিন। সেদিন দর্শকপূর্ণ মিলনায়তন। উজ্জ্বল আলো, সহস্র মানুষের উৎসুক দৃষ্টি—এসব দেখে বিনোদিনী ঘাবড়ে গেলেন। তাঁর পা দুটি থরথর করে কাঁপতে লাগল। চোখ ধাঁধিয়ে গেল। মনজুড়ে বাসা বাঁধল ভয়।
সেই ভয় কাটানোর জন্য তিনি ঈশ্বরকে ডাকলেন। তারপর মহড়ার সময় যা করেছেন, সেটাই সুচারুভাবে করলেন। অভিনয় শেষে মঞ্চ থেকে বেরিয়ে আসার সময় দর্শকদের করতালির শব্দ শুনতে পেলেন। তখনো তিনি জানতেন না, কারও অভিনয় ভালো হলে দর্শকেরা করতালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দিত করেন।
সূত্র: বিনোদিনী দাসী, আমার কথা ও অন্যান্য রচনা, পৃষ্ঠা ১৪-১৬
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫