সম্পাদকীয়
প্রতিভা বসু আর বুদ্ধদেব বসুর দ্বিতীয় কন্যা রুমি যে বছর জন্মাল, সে বছরই দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সাজ সাজ রব উঠেছিল। কলকাতায় ব্রিটিশ সরকার ট্রেঞ্চ খুঁড়তে শুরু করে দিয়েছে। অনেকেই পরিবারবর্গকে দেশের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের ছুটিতে প্রতিভা বসুরা সাধারণত যান ঢাকায়। এবার গেলেন শান্তিনিকেতনে। রবীন্দ্রনাথ অসুস্থ, সে খবর পেয়েই সেবার শান্তিনিকেতন-যাত্রা।
শান্তিনিকেতনে থাকতে থাকতেই রবীন্দ্রনাথের শরীর আরও খারাপ হলো। সচরাচর তিনি পেছনের বারান্দায় এসে বসতেন। সেই বসাও বন্ধ হয়ে গেল। তাই ফিরে আসার কথা ভাবলেন তাঁরা। বুদ্ধদেব বসু রবীন্দ্রনাথকে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছেটা জানালেন। ভ্রু কুঁচকে রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘আমার তো যদ্দুর ধারণা, গ্রীষ্মের ছুটি ফুরোতে আরও বেশ কিছুদিন দেরি আছে। সে কটা দিন থাকা যেতে পারে।’
যেন বাতাসে ভর করে তাঁরা ফিরে এলেন রতনকুঠিতে। রবীন্দ্রনাথ নিজের মুখে থাকতে বলেছেন, এর চেয়ে বেশি সুখ আর কিসে হতে পারে?
কয়েক দিনের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথের শরীর আরও খারাপ হলো। তখন আর থাকার অর্থ রইল না। প্রতিমা দেবী আর রথীন্দ্রনাথের কাছ থেকে বিদায় নিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রতিভা বসুর খুব ইচ্ছে করছিল, রবীন্দ্রনাথকে প্রণাম করে আসতে। প্রতিমা দেবীকে বললেন সে ইচ্ছার কথা। অনুমতি মিলল। দিনের বেলায়ই ঘর অন্ধকার করে রাখা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ কেবলই কথা বলেন বলে এই ব্যবস্থা। ‘রাত হয়েছে, শুয়ে পড়ুন’—এ কথা বলে তাঁকে কথা বলা থেকে নিবৃত্ত করা হয়।
যখন তাঁরা দুজন রবীন্দ্রনাথের ঘরে ঢুকলেন, তখন রবীন্দ্রনাথ বসে ছিলেন আরাম কেদারায়। চোখ ছিল বন্ধ। বুদ্ধদেব আর প্রতিভা সে ঘরে ঢুকতেই তিনি চোখ মেলে চাইলেন। তারপর মৃদুস্বরে বললেন, ‘আমাকে এরা চুপ করিয়ে রাখতে পারে, কিন্তু চিন্তা তো কেড়ে নিতে পারে না!’
সজলচোখে তাঁরা বেরিয়ে এলেন ঘর থেকে।
সূত্র: প্রতিভা বসু, জীবনের জলছবি, পৃষ্ঠা ১৫২-১৫৯
প্রতিভা বসু আর বুদ্ধদেব বসুর দ্বিতীয় কন্যা রুমি যে বছর জন্মাল, সে বছরই দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সাজ সাজ রব উঠেছিল। কলকাতায় ব্রিটিশ সরকার ট্রেঞ্চ খুঁড়তে শুরু করে দিয়েছে। অনেকেই পরিবারবর্গকে দেশের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের ছুটিতে প্রতিভা বসুরা সাধারণত যান ঢাকায়। এবার গেলেন শান্তিনিকেতনে। রবীন্দ্রনাথ অসুস্থ, সে খবর পেয়েই সেবার শান্তিনিকেতন-যাত্রা।
শান্তিনিকেতনে থাকতে থাকতেই রবীন্দ্রনাথের শরীর আরও খারাপ হলো। সচরাচর তিনি পেছনের বারান্দায় এসে বসতেন। সেই বসাও বন্ধ হয়ে গেল। তাই ফিরে আসার কথা ভাবলেন তাঁরা। বুদ্ধদেব বসু রবীন্দ্রনাথকে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছেটা জানালেন। ভ্রু কুঁচকে রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘আমার তো যদ্দুর ধারণা, গ্রীষ্মের ছুটি ফুরোতে আরও বেশ কিছুদিন দেরি আছে। সে কটা দিন থাকা যেতে পারে।’
যেন বাতাসে ভর করে তাঁরা ফিরে এলেন রতনকুঠিতে। রবীন্দ্রনাথ নিজের মুখে থাকতে বলেছেন, এর চেয়ে বেশি সুখ আর কিসে হতে পারে?
কয়েক দিনের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথের শরীর আরও খারাপ হলো। তখন আর থাকার অর্থ রইল না। প্রতিমা দেবী আর রথীন্দ্রনাথের কাছ থেকে বিদায় নিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রতিভা বসুর খুব ইচ্ছে করছিল, রবীন্দ্রনাথকে প্রণাম করে আসতে। প্রতিমা দেবীকে বললেন সে ইচ্ছার কথা। অনুমতি মিলল। দিনের বেলায়ই ঘর অন্ধকার করে রাখা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ কেবলই কথা বলেন বলে এই ব্যবস্থা। ‘রাত হয়েছে, শুয়ে পড়ুন’—এ কথা বলে তাঁকে কথা বলা থেকে নিবৃত্ত করা হয়।
যখন তাঁরা দুজন রবীন্দ্রনাথের ঘরে ঢুকলেন, তখন রবীন্দ্রনাথ বসে ছিলেন আরাম কেদারায়। চোখ ছিল বন্ধ। বুদ্ধদেব আর প্রতিভা সে ঘরে ঢুকতেই তিনি চোখ মেলে চাইলেন। তারপর মৃদুস্বরে বললেন, ‘আমাকে এরা চুপ করিয়ে রাখতে পারে, কিন্তু চিন্তা তো কেড়ে নিতে পারে না!’
সজলচোখে তাঁরা বেরিয়ে এলেন ঘর থেকে।
সূত্র: প্রতিভা বসু, জীবনের জলছবি, পৃষ্ঠা ১৫২-১৫৯
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫