Ajker Patrika

নিয়োগ বোর্ডে প্রক্টর, ‘ত্রুটি’র কারণে পদত্যাগ ডিনের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ০১
নিয়োগ বোর্ডে প্রক্টর, ‘ত্রুটি’র কারণে পদত্যাগ ডিনের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একটি পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগে গঠিত নির্বাচনী বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস এম সালামত উল্যা ভূঁইয়া। তিনি বোর্ডে প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। একই বোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ বিষয়টিকে নিয়মবহির্ভূত বলছেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা।

চবি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে ঊর্ধ্বতন সহকারী/সমমানের পদ হতে সেকশন অফিসার/সমমানের আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে নিয়োগের জন্য গঠিত নির্বাচনী বোর্ড বসে। তবে এর আগেই সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাছে পাঠানো এক চিঠিতে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক সালামত উল্লাহ। পদত্যাগ পত্রে তিনি বলেন, চলতি মাসের ২১ নভেম্বর স্মারক এ-৩৭৫/৭২৮০ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ঊর্ধ্বতন সহকারী/সমমানের পদ থেকে সেকশন অফিসার/সমমানের পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য নির্বাচনী বোর্ডের সদস্য হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক সালামত উল্লাহ এতে বলেন, ‘বর্তমানে ওই নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে আইনি জটিলতা ও সামাজিক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছি। এ অবস্থায় ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে আমি উক্ত নির্বাচনী বোর্ড থেকে পদত্যাগ করছি।’

এ দিকে আরেকটি সূত্রে জানা যায়, সেকশন অফিসারের পদোন্নতির এই বোর্ডে সিন্ডিকেট মনোনীত সদস্যের বাইরে প্রশাসন বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যা নিয়মবহির্ভূত—বলছেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা। এ ছাড়া গতকালের বোর্ডে প্রায় ১০০ জন পদোন্নতি প্রার্থীর থাকলেও নির্বাচন বোর্ডের সদস্যদের কাছে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ৫৮ জনের ডকুমেন্ট দেয় প্রশাসন। বাকি ৪২ জনের কোনো ডকুমেন্ট পাননি নির্বাচন বোর্ডের সদস্যরা।

বিষয়টিকেও নিয়মবহির্ভূত দাবি করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বলেন, যতজনের পদোন্নতি হবে ততজনের সব ধরনের ডকুমেন্ট নির্বাচন বোর্ডের সদস্যদের দিতে হয়। এতে সদস্যরা পদোন্নতি প্রত্যাশী প্রার্থীদের সব ধরনের পদোন্নতির শর্ত পূরণ হয়েছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করতে পারেন। এটাই বিধিবদ্ধ নিয়ম। কিন্তু প্রশাসন ৫৮ জনের তথ্য নির্বাচন বোর্ডের সদস্যদের দিলেও বাকি অনেকেরই তথ্য দেননি। এতে নিয়োগে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি থেকে যায়। যার কারণে আইনি জটিলতার শঙ্কা থাকে।

এদিকে অধ্যাপক সালামত উল্লাহর পদত্যাগপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান। তিনি গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ওনার (সালামত উল্লাহ) পদত্যাগপত্র পেয়েছি। তিনি যেটা মনে করছেন, আসলে সেটা নয়।’

বোর্ডে প্রক্টরকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, এটা করার নিয়ম আছে। এর আগেও প্রক্টরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত