Ajker Patrika

‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’র শীতলতা ছুঁয়ে গেল দর্শকদের মন

মিনহাজ তুহিন, চবি
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ৩৮
‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’র শীতলতা  ছুঁয়ে গেল দর্শকদের মন

ক্যান্টনমেন্টের ভেতর সেনাসদস্য এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে গোপন বৈঠক চলছে। সেখানে অঙ্কিত হয় ১৫ আগস্টের কালরাতের নীল নকশা। কোনোভাবেই যেন ব্যর্থ না হয়—চলে সেই পরিকল্পনা। এটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার নৃশংস ঘটনাকে উপজীব্য করে লেখা গবেষণালব্ধ নাটক ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’র।

গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উন্মুক্ত মঞ্চে দেখা যায় নাটকটির মঞ্চায়ন। খোলা আকাশের নিচে, পাহাড়ের পাদদেশের মঞ্চে উপস্থাপিত ঘটনাপ্রবাহের শীতলতা যেন ছাড়িয়ে যায় শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা।

নাটকের অন্য এক দৃশ্যে দেখা যায়, ষড়যন্ত্রের কিছুই আঁচ করতে পারেননি বঙ্গবন্ধু। তাঁর মনোযোগ ছিল গ্রামের কৃষকেরা কীভাবে ভালো থাকবে, মধুমতি নদীর মাঝিদের পরিবার কীভাবে চলবে এমন চিন্তায়।

নাটকটিতে আরও ফুটিয়ে তোলা হয়, ঘৃণিত এই ষড়যন্ত্রের কথা বঙ্গবন্ধুকে বারবার বলতে আসেন তাজউদ্দীন আহমদ। কিন্তু প্রতিবারই এসব কথা অবিশ্বাস করেন বঙ্গবন্ধু, ফিরিয়ে দেন তাঁকে।

নাটকে মেজর জিয়া, লেফটেন্যান্ট কিসমত, মেজর নূর, মেজর হুদা ও অন্য হত্যাকারীদের বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বিচার করা হয়। ধূসর অতীত থেকে তাঁদের আনা হয় বর্তমানের রঙ্গমঞ্চে। ক্ষমতালোভী সামরিক প্রভুদের ষড়যন্ত্রের সব সুতা একটি একটি করে উন্মোচন করা হয়।

নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদা সুলতানা তানজির নির্দেশনায় ইতিহাসের নৃশংসতম একটি অধ্যায় জীবন্ত হয়ে উঠেছিল মঞ্চে। ১৫ আগস্টে বিপথগামী একদল সেনাসদস্য কীভাবে জাতীয় ইতিহাসে একটি চিরস্থায়ী কলঙ্কতিলক এঁকে দেয়—সে দৃশ্য অবলোকন করলেন দর্শকেরা। নাটক শেষে তাঁরা ছিলেন অশ্রুসিক্ত। ক্ষোভ, আবেগ আর আফসোসের ঘোরলাগা মন নিয়ে গ্যালারি ছাড়েন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত