Ajker Patrika

গানপাগল শাহীন বাউলা

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ২৫
গানপাগল শাহীন বাউলা

‘আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া, গান ছাড়া’-গানটির কথার সঙ্গে মিলে যায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের সাবেক শিক্ষার্থী শাহীন বাউলার জীবন। তিনি এখন পেশাদার লোকসংগীত শিল্পী। তাঁর ধ্যানে জ্ঞানে রয়েছে ফোক গান এবং নামের সঙ্গেই জুড়ে আছে কর্ম।

শাহীন জানান, তাঁর জন্ম সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুনই গ্রামে সংগীত পরিবারে। হাওর পাড়ের লোকসংস্কৃতির আবহে বেড়ে ওঠা। ছোটবেলা থেকেই মরমি বাউল গানের ভাবধারার প্রতি তৈরি হয় ভালোবাসা। যখনই যেই গান শুনতেন সেই গান গাইতেন। স্কুল, কলেজ পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাক পড়ত। তারপর রংপুরে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর বাউল সাধনায় মগ্ন হয়ে ওঠেন। বাউল গানের প্রতি ভালো লাগা থেকেই হাতে নেন একতারা।

মূল নাম শাহীন আলম হলেও গানের জগতে আসার পর তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে গেছে বাউলা শব্দটি। দীর্ঘদিন ধরে গুরু শাহজাহান ভান্ডারীর কাছে একতারা ও মরমি আধ্যাত্মিক বাউল গানের তালিম নিয়েছেন।

শাহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র লোকসংগীত দল ‘ভবতরী’র প্রতিষ্ঠাতা ও লিড ভোকাল তিনি। লালন ফকির, শাহ আবদুল করিম, হাসন রাজা, দুর্বিন শাহ, রাধারমণ দত্ত ও উকিল মুন্সীর গানসহ লোকসংগীতের সব ঘরানার গান পরিবেশনায় রয়েছে তাঁর বিশেষ দখল। সাধারণত তিনি একতারা ও খমক বাজিয়ে মরমি, আধ্যাত্মিক, বাউল গানের বাণীগুলো ফুটিয়ে তোলেন।

বর্তমানে রংপুর অঞ্চলসহ সারা দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মঞ্চে শাহীন গান গাইছেন। গানকে আগলে রেখে নিরন্তর এগিয়ে চলছেন। তিনি বাংলা লোকসংগীতকে নতুন করে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান। তাঁর লেখা ও সুর করা ‘পিরিতের নাও শুকনায় চলে’ গানটি বেশ পরিচিতি পেয়েছে।

শাহীন বলেন, করোনার কারণে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিল্পীদের অর্থনৈতিকভাবে খুব বাজে অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তাই এদিকে কর্তৃপক্ষের সুনজর দেওয়া উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত