Ajker Patrika

দর্শক আমার অভিনয়ের ধরনটা পছন্দ করছেন

মীর রাকিব হাসান
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ৩০
দর্শক আমার অভিনয়ের ধরনটা পছন্দ করছেন

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘সাবরিনা’। সিরিজে সাধারণ গৃহিণী থেকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে কাতরানো অগ্নিদগ্ধ সাবরিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্ষা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সর্বত্র অর্ষার অভিনয় প্রশংসা পাচ্ছে। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মীর রাকিব হাসান

সাবরিনা হয়ে ওঠার পেছনের গল্পটা কেমন?
লুক টেস্টের জন্য প্রথমে ডাকা হয়। তখন শুনি, যে দুটি ক্যারেক্টার আছে, তাদের নাম একই। তারা একই সঙ্গে কিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে এগোবে। পরিচালক আশফাক নিপুণ ভাই বলেছিলেন, এই সাবরিনা তোমার আশপাশে হাজারটা আছে। আমাকে তাই আলাদা করে কোনো প্রস্তুতি নিতে হয়নি।

হাসপাতালে অনেক দৃশ্য। চোখের চাহনিতে বলতে হয়েছে অনেক কথা…
পোড়ার পর ক্ষতস্থানে ড্রেসিংয়ের সময় কী রকম যন্ত্রণা হয় সেই অভিজ্ঞতা তো আমার নেই। নিপুণ ভাই আমাকে কয়েকটা রেফারেন্স ভিডিও দেখিয়েছেন। আমার কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন, যাঁদের এমন অভিজ্ঞতা আছে। তাঁদের সঙ্গে গিয়ে দু-একবার দেখেছি, তীব্র যন্ত্রণা হয়। কিন্তু আমার ওপর ফেক প্রস্থেটিক মেকআপ দেওয়া। অনেকক্ষণ পর্যন্ত প্রস্থেটিক মেকআপ থাকলে সেখানে ইচিং করে, কিন্তু কোনো ব্যথা হয় না। সেখানে হাত দিলে উল্টো আরাম লাগতে থাকে। এক্সপ্রেশন হচ্ছে যন্ত্রণার, অথচ আমার লাগছে আরাম। মানে, এটা খুবই বিপরীতমুখী অনুভূতি ছিল। 

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
কয়েকটা জায়গায় বেগ পেতে হয়েছে। আমরা শুটিং শুরু করি শীতে, শেষ হয় গরমে। অ্যাপ্রোনের একটা পোরশন পুরো কাটা, এর মধ্যে হাত প্রস্থেটিক করা। নড়াচড়া করা যাচ্ছে না। যেদিন শুটিং ছিল, দেখা গেল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুয়েই থাকতে হয়েছে। নাকের ভেতর অক্সিজেনের পাইপ ঢোকানো। এর মধ্যে অজ্ঞানের মতো পড়ে থাকা। অনেক শব্দ আসছে কানে। কিন্তু তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এই জার্নিটা সবচেয়ে কঠিন ছিল।

মেহ্জাবীনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? 
২০০৯ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় ছিলাম আমরা। কিন্তু তারপর একসঙ্গে আর কাজ হয়নি। শুটিংয়ে কুশলাদি জিজ্ঞেস করা তো হয়েছেই। তবে ফ্রি না থাকলে খুব একটা কথা বলিনি আমরা। কারণ, সব সময় আমরা ক্যারেক্টারে থাকার চেষ্টা করতাম।

নাজিয়া হক অর্ষামনে হয়নি, যদি মেহ্জাবীনের কাছে নিজের চরিত্রের গুরুত্ব হারায়? 
আমি কখনোই কার চরিত্র ছোট বা কার বড়, তা ভেবে কাজ করিনি। অভিনয়কে কর্তব্য বলেই বিবেচনা করেছি। কাজ করতে গেলে অনেক সময়ই অনেক বড় আর্টিস্টকে ফেস করতে হয়। মেহ্জাবীন অনেক জনপ্রিয়। আমি মুগ্ধ হয়েছি ওর পেশাদারত্ব, সময়নিষ্ঠা দেখে। কাজই একমাত্র জায়গা, যার মাধ্যমে গণ্ডি ভাঙা যায়। আমি ভাবি না তাঁর চেয়ে ভালো করতে হবে। আমি ভাবি, আমার চরিত্রটা কত ভালো করতে পারি। 

সাবরিনা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। এটা কি অভিনেত্রী অর্ষার পুনর্জন্ম?
গত বছর ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ নিয়েও কিন্তু প্রচুর আলোচনা হয়েছিল। এ বছর যুক্ত হলো সাবরিনা। আমি নেটওয়ার্কের বাইরে ওয়েবফিল্ম করার পর অনেকের কমেন্ট পড়েছি যে আমার অভিনয় তাঁরা প্রথম দেখেছেন। ‘সাবরিনা’ দেখেও অনেকে জিজ্ঞাসা করছেন, আমার পুরোনো আর কী কী কাজ আছে। এটা বুঝেছি, মন দিয়ে কাজ করলে একটা সময় ফল পাওয়াই যায়। আমি খুশি, দর্শক আমার অভিনয়ের ধরনটা পছন্দ করছেন। এটা দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়। 

নাজিয়া হক অর্ষাসামনে কী আসছে?
এখন কিছু করছি না। দম নিচ্ছি। সামনের মাসে দু-একটা ওটিটির কাজ করার সম্ভাবনা আছে। ঈদে টিভিতে বেশি প্রডাকশন করা হবে না মনে হয়। গত দুই বছর নিয়মিত ওয়েবেরই কাজ করছি। কিছু অন এয়ার হয়েছে, কিছু হবে। টেলিভিশনে দুই দিনে ১৫-২০টা সিন করার অভ্যাসটা নতুন করে করতে চাচ্ছি না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত