আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ঠক! ঠক! ঠক! উৎসবের দিন দরজায় এমন কড়া নাড়ার শব্দ মুখে এক চিলতে হাসি নিয়ে আসে। এই বুঝি কাছের কোনো আত্মীয় খোঁজ নিতে এল। কিন্তু দরজা খুলেই দেখা মিলল কিম্ভূতকিমাকার এক দল লোকের। খড় দিয়ে মুখ ঢাকা! হাত, পা আর দেহের বিভিন্ন জায়গায় খড়ের গয়না। হাতে নিয়ে গান-বাজনার সরঞ্জাম। মুখে উৎসবের বার্তা।
এ দৃশ্য অদ্ভুত মনে হলেও প্রায় ৪০০ বছর ধরে আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দারা এর সঙ্গে পরিচিত। প্রতিবছর বড়দিনের সময় এমন লোকেদের দেখতে পাওয়া যায়। দেশটির সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে উৎসবের এ বাহারি প্রথা। করোনাভাইরাসের কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যখন আতঙ্কের নাম, তখন তাঁরা এসে শুনিয়ে যান আনন্দের বার্তা। ঘর থেকে ঘরে ঘুরে আলোকিত করেন উৎসবের রং। কবিতা, ছড়া, গান আর নাচের পাশাপাশি করেন অভিনয়ও।
মার্কিন সাময়িকী ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে এ প্রথা প্রায় হারিয়ে যেতে বসে। আয়ারল্যান্ডে সামাজিক গোষ্ঠীর ভাঙনের ফলে গুরুত্ব হারায় খড়ের এ সাজ। সাত বছর আগে এই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বড় প্রকল্প হাতে নেন লেইট্রিম কাউন্টির একজন চিত্রশিল্পী এডউইনা গুকিয়ান। তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয় স্থানীয় কয়েকটি মাইম বা মূকাভিনয় ক্লাব। জমিতে প্রথমে চাষ করা হয় এসব খড়। এরপর সেগুলো দিয়ে হাতে হাতে বানানো হয় মাস্ক এবং পোশাক। বানানো শেষে প্রায় ৩০০ মূকাভিনয় শিল্পী এগুলো পরে পুরো ডিসেম্বর মাস ঘুরে বেড়ান গ্রামে গ্রামে। শেষে খড় পুড়িয়ে আয়োজন করা হয় ভোজের।
তবে এদের মূকাভিনয় শিল্পী বলা যাবে না। আবার ‘খড়ের মানুষ’ও নয়। স্থানীয়ভাবে নাম দেওয়া হয়েছে ‘মমার্স’। শব্দটি মূকাভিনয়ের ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ড ছাড়াও ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং কানাডায়ও ব্যবহার করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত স্থানীয় তত্ত্বাবধায়ক অ্যান ও’ডাউড জানান, ষোড়শ শতাব্দীতে ইংল্যান্ড থেকে এ প্রথা প্রথম আয়ারল্যান্ডে আসে। খড়ের পোশাক পরা প্রত্যেকে আইরিশ ইতিহাসের বীরদের প্রতিনিধিত্ব করেন। এদের মধ্যে একজন সেন্ট প্যাট্রিক। কখনো ভিলেন সেজে মঞ্চস্থ করে ছোট্ট নাটিকা।
ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ফোকলোর কালেকশন বিভাগের পরিচালক ক্রিস্টোর ম্যাক কারথাই বলেন, কখনো এরা ঘরের কাউকে না জানিয়েই চুপি চুপি তাঁদের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। প্রথমে অদ্ভুত সাজে বাচ্চারা ভয় পেলেও পরে মজা পেতে শুরু করে। আইরিশ সাহিত্যেও এর উপস্থিতি পাওয়া যায়।
প্রত্যেক দলে একজন থাকেন, যিনি এসেই আগমনী বার্তা দেন। এরপর ইতিহাস, ঐতিহ্য আর বীরত্বের কাহিনি বলতে শুরু করেন। কখনো গান গেয়ে, কখনো কবিতা আবৃত্তি করে কিংবা অভিনয় করে। কেউ খুশি হয়ে অর্থ সহায়তা করলে তার একটা বড় অংশ চলে যায় দাতব্য প্রতিষ্ঠানে।
ঠক! ঠক! ঠক! উৎসবের দিন দরজায় এমন কড়া নাড়ার শব্দ মুখে এক চিলতে হাসি নিয়ে আসে। এই বুঝি কাছের কোনো আত্মীয় খোঁজ নিতে এল। কিন্তু দরজা খুলেই দেখা মিলল কিম্ভূতকিমাকার এক দল লোকের। খড় দিয়ে মুখ ঢাকা! হাত, পা আর দেহের বিভিন্ন জায়গায় খড়ের গয়না। হাতে নিয়ে গান-বাজনার সরঞ্জাম। মুখে উৎসবের বার্তা।
এ দৃশ্য অদ্ভুত মনে হলেও প্রায় ৪০০ বছর ধরে আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দারা এর সঙ্গে পরিচিত। প্রতিবছর বড়দিনের সময় এমন লোকেদের দেখতে পাওয়া যায়। দেশটির সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে উৎসবের এ বাহারি প্রথা। করোনাভাইরাসের কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যখন আতঙ্কের নাম, তখন তাঁরা এসে শুনিয়ে যান আনন্দের বার্তা। ঘর থেকে ঘরে ঘুরে আলোকিত করেন উৎসবের রং। কবিতা, ছড়া, গান আর নাচের পাশাপাশি করেন অভিনয়ও।
মার্কিন সাময়িকী ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে এ প্রথা প্রায় হারিয়ে যেতে বসে। আয়ারল্যান্ডে সামাজিক গোষ্ঠীর ভাঙনের ফলে গুরুত্ব হারায় খড়ের এ সাজ। সাত বছর আগে এই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বড় প্রকল্প হাতে নেন লেইট্রিম কাউন্টির একজন চিত্রশিল্পী এডউইনা গুকিয়ান। তাঁর সঙ্গে যুক্ত হয় স্থানীয় কয়েকটি মাইম বা মূকাভিনয় ক্লাব। জমিতে প্রথমে চাষ করা হয় এসব খড়। এরপর সেগুলো দিয়ে হাতে হাতে বানানো হয় মাস্ক এবং পোশাক। বানানো শেষে প্রায় ৩০০ মূকাভিনয় শিল্পী এগুলো পরে পুরো ডিসেম্বর মাস ঘুরে বেড়ান গ্রামে গ্রামে। শেষে খড় পুড়িয়ে আয়োজন করা হয় ভোজের।
তবে এদের মূকাভিনয় শিল্পী বলা যাবে না। আবার ‘খড়ের মানুষ’ও নয়। স্থানীয়ভাবে নাম দেওয়া হয়েছে ‘মমার্স’। শব্দটি মূকাভিনয়ের ক্ষেত্রে আয়ারল্যান্ড ছাড়াও ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং কানাডায়ও ব্যবহার করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত স্থানীয় তত্ত্বাবধায়ক অ্যান ও’ডাউড জানান, ষোড়শ শতাব্দীতে ইংল্যান্ড থেকে এ প্রথা প্রথম আয়ারল্যান্ডে আসে। খড়ের পোশাক পরা প্রত্যেকে আইরিশ ইতিহাসের বীরদের প্রতিনিধিত্ব করেন। এদের মধ্যে একজন সেন্ট প্যাট্রিক। কখনো ভিলেন সেজে মঞ্চস্থ করে ছোট্ট নাটিকা।
ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ফোকলোর কালেকশন বিভাগের পরিচালক ক্রিস্টোর ম্যাক কারথাই বলেন, কখনো এরা ঘরের কাউকে না জানিয়েই চুপি চুপি তাঁদের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। প্রথমে অদ্ভুত সাজে বাচ্চারা ভয় পেলেও পরে মজা পেতে শুরু করে। আইরিশ সাহিত্যেও এর উপস্থিতি পাওয়া যায়।
প্রত্যেক দলে একজন থাকেন, যিনি এসেই আগমনী বার্তা দেন। এরপর ইতিহাস, ঐতিহ্য আর বীরত্বের কাহিনি বলতে শুরু করেন। কখনো গান গেয়ে, কখনো কবিতা আবৃত্তি করে কিংবা অভিনয় করে। কেউ খুশি হয়ে অর্থ সহায়তা করলে তার একটা বড় অংশ চলে যায় দাতব্য প্রতিষ্ঠানে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫