Ajker Patrika

খালি কনটেইনার জাহাজে তুলে রপ্তানির জালিয়াতি শনাক্ত

আবু বক্কর সিদ্দিক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ৫৩
খালি কনটেইনার জাহাজে তুলে রপ্তানির জালিয়াতি শনাক্ত

৯টি আমদানি চালানের পর এবার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের দুই প্রতিষ্ঠানের নামে পণ্য রপ্তানি না করেও ২৩ চালানে খালি কনটেইনার জাহাজে তুলে দেওয়ার ঘটনা উদ্‌ঘাটন হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে। এতে বিপুলপরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার (মানি লন্ডারিং) হয়েছে বলে সন্দেহ শুল্ক কর্মকর্তাদের। রপ্তানি পণ্যভর্তি কন্টেইনার বিদেশে পাঠানোর কথা বলে খালি কনটেইনার জাহাজে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে এই জালিয়াতি হয়। তবে চালান ২৩টিতে কী পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি শুল্ক কর্মকর্তারা। শুল্ক কর্মকর্তা, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও রপ্তানিকারকের পারস্পরিক সহায়তায় জালিয়াতির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত সোমবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে যুগ্ম কমিশনার জাকির হোসেনকে। আগামী সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের দুই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও শাহআলমের আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ২৩ রপ্তানি চালানে শুল্কায়ন জালিয়াতি হয়। এ দুই কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আলাদাভাবে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নথি ঘেঁটে দেখা যায়, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান দুইটি হচ্ছে, মাই ফুড লিমিটেড ও নাবিলা এগ্রো লিমিটেড। মাই ফুডের ঠিকানা দেখানো হয়েছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ১৮৬ নিগিবর হোল্ডিং। আর তেজগাঁও স্বদেশ্বরি রোডের ৫০ নম্বর হোল্ডিং-এ দেখানো হয় নাবিলা এগ্রো লিমিটেড। ২৩ রপ্তানি চালানের ২২টি মাই ফুড লিমিটেড এবং একটি চালান নাবিলা এগ্রো লিমিটেডের নামে রপ্তানি দেখানো হয়।

শুল্ক কর্মকর্তারা মনে করেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দুটি যেহেতু রপ্তানি বিলে জালিয়াতি করেছে, সেহেতু তাদের দেওয়া ঠিকানায় গিয়েও কোনো প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। নাবিলা এগ্রো লিমিটেডের নামে ঢাকায় মতিঝিলের সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিসে খোলা রপ্তানি হিসাবের লেনদেন বন্ধ রাখতে ইতিমধ্যে শুল্ক কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছে। একইভাবে ট্রাস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখায় খোলা মাই ফুড লিমিটেডের রপ্তানি হিসাবের লেনদেন বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। এই ২৩ চালানের একক সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেছে চট্টগ্রামের স্ট্যান্ড রোডের প্রতিষ্ঠান বনলতা এজেন্সি।

আলোচিত ২৩ চালানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান বনলতা এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. আবদুল মোমেন আজকের পত্রিকাকে জানান, রপ্তানিকারক নাবিলা এগ্রো লিমিটেড এবং মাই ফুডস লিমিটেডের রপ্তানি পণ্য না পাঠিয়ে কনটেইনার জাহাজীকরণের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত