Ajker Patrika

সেবার মানে ক্ষোভ যাত্রীদের

আজজিল হক, বেনাপোল
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ৩৬
সেবার মানে ক্ষোভ যাত্রীদের

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের গুরুত্ব বিবেচনা করে বেনাপোল-ঢাকা রুটে অত্যাধুনিক সুবিধা নিয়ে চালু হয় বেনাপোল এক্সপ্রেস নামে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন। করোনাভাইরাস মহামারির সময় আট মাস বন্ধের পর এ রুটে আবারও ট্রেন চলাচল শুরু হয় গত ২ ডিসেম্বর। কিন্তু আগের ট্রেনটি পরিবর্তন করে নিম্নমানের বগি ও সেবার মান নিয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।

বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি বাণিজ্য থেকে বছরে সরকারের ৬ হাজার কোটি টাকা ও ভ্রমণ খাতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়। ব্যবসা, শিক্ষা, ভ্রমণ ও চিকিৎসার প্রয়োজনে প্রতিবছর প্রায় ১৮ লাখ পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াতকারী যাত্রীদের দাবি ছিল—বেনাপোল-ঢাকা রুটে রেলসেবা চালুর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেনাপোল বন্দরের গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং যাত্রীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই বেনাপোল-ঢাকা রুটে চালু করেন বেনাপোল এক্সপ্রেস। ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি ট্রেনটিতে দুটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা ও একটি কেবিন ছাড়াও ছয়টি শোভন চেয়ারের বগি ছিল। ছিল নামাজের ব্যবস্থা।

করোনাভাইরাস মহামারির সময় অন্য রেলপথের মতো ঢাকার সঙ্গে বেনাপোলের ট্রেন যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় আট মাস পর গত ২ ডিসেম্বর এই রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে তা ভারতের তৈরি পুরোনো ও জীর্ণ একটি ট্রেন। এতে একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন থাকলেও অন্য বগিতে এ সুবিধা নেই।

রেলযাত্রী তৌফিক জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেসের আগের ট্রেনটি পরিবর্তন করায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে। নামাজের ব্যবস্থা নেই, এসি চেয়ারকোচ নেই, বাথরুম ভালো না। তবে বাইরেরটা রং করা। এ ছাড়া স্টেশনে চাহিদামতো ইয়ার্ড না থাকায় ট্রেন সময়মতো স্টেশনে পৌঁছায় না। সকাল ৯টার ট্রেন আসে ১০টায়; আর দুপুর ১২টার ট্রেন আসে বেলা ২টায়।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বেনাপোলবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ট্রেনটি বর্তমানে উত্তরবঙ্গে নিয়ে গেছেন রেলমন্ত্রী। আর নিম্নমানের ট্রেন দিয়েছেন বেনাপোল রুটে। বেনাপোল-ঢাকা রুটে আগের ট্রেনটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত ট্রেনটি বেনাপোল রুটে যুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা। বর্তমানের রেলে আগের সুবিধা নেই। বিষয়টি রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বেনাপোল বন্দর থেকে বেনাপোল-ঢাকা রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস, খুলনা-বেনাপোল রুটে বেতনা এক্সপ্রেস ও খুলনা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল করে। তবে করোনার কারণে বর্তমানে খুলনা-কলকাতা রুটে বন্ধ রয়েছে বন্ধন এক্সপ্রেস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত