Ajker Patrika

ধস নেমেছে কার্ড ব্যবসায়

আয়নাল হোসেন, ঢাকা
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২১, ২০: ৩৭
ধস নেমেছে কার্ড ব্যবসায়

বিয়ে, বউভাত, খতনা, ঈদ কিংবা যেকোনো সামাজিক বা জাতীয় অনুষ্ঠানে কার্ড বিতরণ করা ছিল একধরনের উৎসব। এই কার্ড তৈরির ব্যবসায় নিয়োজিত রয়েছেন হাজার হাজার ব্যবসায়ী। তবে করোনা পরিস্থিতিসহ নানা কারণে ধস নেমেছে এই ব্যবসায়।

রাজধানীর পুরান ঢাকার সৈয়দ হাসান আলী লেনে প্রায় চার দশক ধরে কার্ডের ব্যবসা করছেন— এমন একজনের সঙ্গে গতকাল বুধবার কথা হয় এই প্রতিবেদকের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘করোনায় আমগো যে পরিমাণ ক্ষতি হইয়া গ্যাছে তা আগামী পাঁচ বছরেও পূরণ হইব না। আমরা বইস্যা বইস্যা পুঞ্জি (পুঁজি) খাইয়া ফালাইছি।’

ওই ব্যবসায়ীর ছেলেও যুক্ত হয়েছেন বাবার ব্যবসায়। তিনি জানান, প্রতিবছর ঈদ এলে হাজার হাজার কার্ড বিক্রি হতো। আর বিয়ে, বউভাতসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান তো রয়েছেই। কিন্তু এখন মোবাইল ফোনের যুগে কেউ আর সামাজিক ও জাতীয় অনুষ্ঠানে ছাপা কার্ড বিতরণ করছেন না। এতে ব্যবসায় ধস নেমেছে। এখন অনেকেই অন্য ব্যবসা করার চিন্তা করছেন।

বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের প্রার্থীদের নানা ধরনের প্রতীকের কার্ডের ব্যবসা করছেন সৈয়দ হাসান আলী লেনের মেসার্স বিউটি ইনভেলপের মালিক রইছ মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য নাই। দেড় বছরের বেশি ছাপাখানা বন্ধ রাখছি। এখন জান বাঁচাতে কোনোমতে ছোটখাটো প্রেস থেকে কার্ড ছাপাচ্ছি।’

কার্ড ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যবসা-বাণিজ্য না থাকলেও তাদের দোকানভাড়া, বাসাভাড়া, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য বিল ঠিকই দিতে হচ্ছে। এরপর ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনসহ অন্যান্য লাইসেন্স নবায়ন করতে হচ্ছে। তবে অনেকেই ভাসমান কার্ডের ব্যবসা করছেন। এই শ্রেণির ব্যবসায়ীরা এখনো টিকে আছেন। কারণ, তাঁদের ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট কিংবা আয়কর লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়ছে না। তাঁরা সরাসরি গ্রাহকের দরজায় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত