Ajker Patrika

তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল

হিমেল চাকমা, রাঙামাটি
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১: ৫১
তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল

কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু। পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি। এতে দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো মানুষ। আয় কমে গেছে রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের।

এদিকে পানি বৃদ্ধি নিয়ে কিছু ভাবছে না কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎকেন্দ্র। বর্তমানে হ্রদে পানির পরিমাণ ১০৬ দশমিক ৬৭ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল)। আপাতত পানি ছেড়ে দেওয়ার কোনো চিন্তাভাবনা নেই কর্তৃপক্ষের।

পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন, পানি ১০৭ ফুট ওপরে গেলে পানি ছাড়ার চিন্তাভাবনা করা হবে। বাঁধের পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। আপাতত বিদ্যুৎ উৎপাদনকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তাঁরা। পানি বৃদ্ধিতে কী হচ্ছে, এ নিয়ে ভাবছেন না।

আব্দুজ্জাহের জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্রর ৫টি ইউনিটের মধ্যে ৪টি সচল আছে। বর্তমানে গড়ে দৈনিক ১৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এ বিদ্যুৎ পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। বন্ধ আরেকটি ইউনিট সচল হলে আরও ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

হ্রদে পানি বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন রাঙামাটি সদর, লংগদু উপজেলা হাজারো মানুষ। রাঙামাটি রাঙাপানির লুম্বিনী পাবলিক হেলথ, কলেজগেট, বাসস্টেশন, কেরানি পাহাড়, রিজার্ভ বাজার, রাজবাড়ি লিচুবাগান, লংগদু উপজেলার বেশ কয়েকটি নিম্ন এলাকার বাড়িঘরে পানি উঠেছে। এসব এলাকায় বসবাসরতরা দুর্ভোগে পড়েছে।

এ ছাড়া পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডুবে গেছে লুম্বিনী সড়ক। এতে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সম্প্রতি রাঙামাটির বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ও সীমান্তের ওপার থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে এই অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, তাঁদের আয়ের অন্যতম অংশ ঝুলন্ত সেতু। এটি গত ১৯ আগস্ট খুলে দেওয়া হয়। এক মাসের মাথায় এটি পানিতে তলিয়ে গেছে।

সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘এখন ঝুলন্ত সেতুটি বন্ধ করে দিয়েছি। এ দুর্ভোগ শুধু আমাদের নয়, সবার। পানি কমলে তারপর আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে। আমরা এখন পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে আছি। তারা মানবিক হলে আমাদের ব্যবসা হবে। না হলে এভাবে কাটাতে হবে।’

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমরা এখনো সেভাবে দেখিনি। এ বিষয়ে কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়নি। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে বেশি দুর্ভোগ সৃষ্টি হলে মানবিক বিবেচনা আমাদের করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত