Ajker Patrika

বিচারপতির স্বাক্ষর স্ক্যান করে আদেশ জালিয়াতির ঘটনায় মামলা

এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০: ২৮
বিচারপতির স্বাক্ষর স্ক্যান করে আদেশ জালিয়াতির ঘটনায় মামলা

এবার হাইকোর্টে আবেদন ছাড়াই আদেশ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। বিচারপতির স্বাক্ষর জাল করে তৈরি করা ওই আদেশে নোয়াখালী জেলা আদালতে চলা একটি মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিতের কথা বলা হয়েছে। একটি পক্ষ ওই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে লড়তে এলে বিষয়টি ধরা পড়ে।

গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, জালিয়াতির ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবল মঞ্জুরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাঁকে মামলায় আসামি করা হবে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে দুজনকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নোয়াখালীর আল ইনসাফ পোল্ট্রি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আহমেদ নোমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন শরীফ আল মামুন নামের এক ব্যক্তি। চেক ডিজঅনারের অভিযোগে করা ওই মামলার নম্বর ৫৭৫/২০২২। মামলাটি বর্তমানে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। সম্প্রতি মামলার বাদী শরীফ জানতে পারেন মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওই আদেশে দেখা যায়, গত ৬ এপ্রিল মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেওয়া হয়েছে। তা সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয় ২৭ আগস্ট। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে লড়তে আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, এ রকম কোনো আদেশ দেননি হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ।

আদালত সূত্র জানায়, বিষয়টি ওই বেঞ্চের বেঞ্চ কর্মকর্তাকে জানানো হলে সংশ্লিষ্ট শাখার (ক্রিমিনাল মিস) সুপারকে ডেকে জানতে চাওয়া হয়। সুপার জানান, এই মামলার আদেশের নথি আইনজীবীর সহকারী রুহুল আমিন ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর গানম্যান (দেহরক্ষী) মঞ্জুরুল নিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর শাখা থেকে আদেশটি জেলা আদালতে পাঠানো হয়।

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, মামলা স্থগিতের ভুয়া আদেশ তৈরি করে তাতে বিচারপতি ফাতেমা নজীবের স্বাক্ষর স্ক্যান করে বসানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আইনজীবীর সহকারী রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর গানম্যান মঞ্জুরুল ঘটনা সম্পর্কে জানতেন না বলে জানান। গতকাল তাঁদের দুজনকে শাহবাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত