সম্পাদকীয়
একটা সময় ছিল, যখন মধ্যপ্রাচ্য, ইংল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় চাকরি করে ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারত মানুষ। আমাদের দেশে বেকারত্ব কাটানোর একটি বড় উপায় ছিল প্রবাসে চাকরিজীবন। কোনো পরিবার থেকে কেউ যদি ভাগ্যান্বেষণে বিদেশমুখী হতেন, তাহলে ধীরে ধীরে সেই পরিবারে সচ্ছলতা আসত, পাল্টে যেত জীবনধারণ পদ্ধতি। এখনো ব্যাপারটা সে রকমই আছে—এমনটা বলা যাবে না।
প্রবাসে চাকরি খোঁজা বা পাওয়ার ক্ষেত্রে এখন তিনটি সমস্যা দেখা যাচ্ছে। একটি হলো, সারা পৃথিবীতেই প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদা গেছে কমে। আরেকটি হলো, মধ্যপ্রাচ্য বা মালয়েশিয়ায় আগে যে বেতন পেতেন, এখন সেই পরিমাণ বেতন পান না। আগের তুলনায় বেতন কম। শেষ যে সমস্যা, সেটি হলো, নিয়োগপদ্ধতিতে রয়েছে ঘাপলা। এজেন্টের মাধ্যমে বা যেভাবেই হোক, চাকরি পেতে গেলে ‘ফেলো কড়ি, মাখো তেল’ প্রক্রিয়াটাই পোক্ত হয়ে উঠেছে; অর্থাৎ যে অর্থের শ্রাদ্ধ করে বিদেশ পাড়ি দিতে হয়, সেই অর্থ উঠিয়ে আনা যাবে কি যাবে না, সেটাও সহজবোধ্য নয়। কখনো কখনো শুরুতে দেওয়া টাকা উঠে আসে না। ফলে এই বিদেশযাত্রার যোগফল হয় শূন্য অথবা নেতিবাচক।
সমস্যার দিকগুলোর কথা বেকার যুবকেরা জানেন না, তা নয়। কিন্তু বেকারত্বের অভিশাপের চেয়ে কোনোভাবে বিদেশে যেতে পারলে অন্তত ‘দুদণ্ড শান্তি’ খুঁজে পাওয়া যাবে, সেটাই তাঁকে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার শক্তি জোগায়। যাঁরা শ্রম দিতে বিদেশ যেতে চান, তাঁদের অধিকাংশই অদক্ষ শ্রমিক। এজেন্টের মাধ্যমে অথবা সরকারিভাবে হোক, বিদেশ যাওয়ার জন্য তাঁদের নির্ভর করতে হয় অন্য মানুষের ওপর। তাঁরা যা বোঝাবেন, সেটাই বুঝতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি খরচের সম্মুখীন হতে হয় বিদেশযাত্রীদের। কিন্তু উপায় নেই বলে তাঁরা তা সহ্য করেন।
আজকের পত্রিকায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয় নিয়ে যে প্রতিবেদনটি গত শনিবার ছাপা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মালয়েশিয়ায় শ্রমিকের চাহিদা অনেক। কিন্তু ওই এজেন্ট-জটিলতায় সাধারণ শ্রমিকেরা বিপদের মধ্যেই আছেন। আগেই বলেছি, প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়েছে বলে অদক্ষ শ্রমিকের জায়গায় অর্ধদক্ষ বা দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বেশি। আমাদের দেশে সেই প্রশিক্ষণের অভাব আছে। বাগানে কাজ করতে হলে যে যোগ্যতা লাগে, তারও অভাব রয়েছে। ফলে দক্ষতা বাড়ানোর একটা প্রক্রিয়া চালু করা দরকার।
মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে আলোচনা করে নিয়োগ-প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও সহজ করা যায় কি না, সেদিকটা দেখতে হবে। মানুষ নিয়ে কারবার যেখানে, সেখানে কিছু অস্বচ্ছ মানুষ অস্বচ্ছ কাজ করবেই। কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে বেঁচে যাবে অনেক নিরীহ বেকার মানুষ। জমিজমা বিক্রি করে যাঁরা একটু সুখের স্বপ্ন কিনতে চান, তাঁদের জীবন যেন দুঃস্বপ্নে ভরে না যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারিভাবে দেশের জেলাপর্যায়ে যদি বিদেশযাত্রীদের জন্য সরকারি অফিস নিয়ে যাওয়া যায়, তাহলে কাজটা সহজ হয়। ইলেকট্রনিক চ্যানেল কাজ করলে সিন্ডিকেটের দাপট কমতে পারে।
অসহায় শ্রমিকদের পাশে দুই দেশের সরকার দাঁড়ালে অনেকের স্বপ্ন বাস্তবের সঙ্গে মিশে যেতে পারে।
একটা সময় ছিল, যখন মধ্যপ্রাচ্য, ইংল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় চাকরি করে ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারত মানুষ। আমাদের দেশে বেকারত্ব কাটানোর একটি বড় উপায় ছিল প্রবাসে চাকরিজীবন। কোনো পরিবার থেকে কেউ যদি ভাগ্যান্বেষণে বিদেশমুখী হতেন, তাহলে ধীরে ধীরে সেই পরিবারে সচ্ছলতা আসত, পাল্টে যেত জীবনধারণ পদ্ধতি। এখনো ব্যাপারটা সে রকমই আছে—এমনটা বলা যাবে না।
প্রবাসে চাকরি খোঁজা বা পাওয়ার ক্ষেত্রে এখন তিনটি সমস্যা দেখা যাচ্ছে। একটি হলো, সারা পৃথিবীতেই প্রযুক্তির অগ্রগতির কারণে অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদা গেছে কমে। আরেকটি হলো, মধ্যপ্রাচ্য বা মালয়েশিয়ায় আগে যে বেতন পেতেন, এখন সেই পরিমাণ বেতন পান না। আগের তুলনায় বেতন কম। শেষ যে সমস্যা, সেটি হলো, নিয়োগপদ্ধতিতে রয়েছে ঘাপলা। এজেন্টের মাধ্যমে বা যেভাবেই হোক, চাকরি পেতে গেলে ‘ফেলো কড়ি, মাখো তেল’ প্রক্রিয়াটাই পোক্ত হয়ে উঠেছে; অর্থাৎ যে অর্থের শ্রাদ্ধ করে বিদেশ পাড়ি দিতে হয়, সেই অর্থ উঠিয়ে আনা যাবে কি যাবে না, সেটাও সহজবোধ্য নয়। কখনো কখনো শুরুতে দেওয়া টাকা উঠে আসে না। ফলে এই বিদেশযাত্রার যোগফল হয় শূন্য অথবা নেতিবাচক।
সমস্যার দিকগুলোর কথা বেকার যুবকেরা জানেন না, তা নয়। কিন্তু বেকারত্বের অভিশাপের চেয়ে কোনোভাবে বিদেশে যেতে পারলে অন্তত ‘দুদণ্ড শান্তি’ খুঁজে পাওয়া যাবে, সেটাই তাঁকে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার শক্তি জোগায়। যাঁরা শ্রম দিতে বিদেশ যেতে চান, তাঁদের অধিকাংশই অদক্ষ শ্রমিক। এজেন্টের মাধ্যমে অথবা সরকারিভাবে হোক, বিদেশ যাওয়ার জন্য তাঁদের নির্ভর করতে হয় অন্য মানুষের ওপর। তাঁরা যা বোঝাবেন, সেটাই বুঝতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি খরচের সম্মুখীন হতে হয় বিদেশযাত্রীদের। কিন্তু উপায় নেই বলে তাঁরা তা সহ্য করেন।
আজকের পত্রিকায় মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিষয় নিয়ে যে প্রতিবেদনটি গত শনিবার ছাপা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে মালয়েশিয়ায় শ্রমিকের চাহিদা অনেক। কিন্তু ওই এজেন্ট-জটিলতায় সাধারণ শ্রমিকেরা বিপদের মধ্যেই আছেন। আগেই বলেছি, প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়েছে বলে অদক্ষ শ্রমিকের জায়গায় অর্ধদক্ষ বা দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বেশি। আমাদের দেশে সেই প্রশিক্ষণের অভাব আছে। বাগানে কাজ করতে হলে যে যোগ্যতা লাগে, তারও অভাব রয়েছে। ফলে দক্ষতা বাড়ানোর একটা প্রক্রিয়া চালু করা দরকার।
মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে আলোচনা করে নিয়োগ-প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও সহজ করা যায় কি না, সেদিকটা দেখতে হবে। মানুষ নিয়ে কারবার যেখানে, সেখানে কিছু অস্বচ্ছ মানুষ অস্বচ্ছ কাজ করবেই। কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে বেঁচে যাবে অনেক নিরীহ বেকার মানুষ। জমিজমা বিক্রি করে যাঁরা একটু সুখের স্বপ্ন কিনতে চান, তাঁদের জীবন যেন দুঃস্বপ্নে ভরে না যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারিভাবে দেশের জেলাপর্যায়ে যদি বিদেশযাত্রীদের জন্য সরকারি অফিস নিয়ে যাওয়া যায়, তাহলে কাজটা সহজ হয়। ইলেকট্রনিক চ্যানেল কাজ করলে সিন্ডিকেটের দাপট কমতে পারে।
অসহায় শ্রমিকদের পাশে দুই দেশের সরকার দাঁড়ালে অনেকের স্বপ্ন বাস্তবের সঙ্গে মিশে যেতে পারে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫