একাত্তর সালে নিজাম উদ্দিন আহমদ ছিলেন বিবিসির সংবাদদাতা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের খবর বিদেশি সংবাদপত্রে পাঠিয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের খবর সংগ্রহের জন্য ভোরবেলায় বাসা থেকে বের হন সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন আহমদ। ২৬ মার্চ সারা দিন ঘুরে ঘুরে ঢাকা শহরে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা দেখেন। মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে তিনি সংগ্রহ করেন গণহত্যার সংবাদ। আবার যথাসময়ে সেগুলো পাঠিয়েও দেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। এভাবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন।
শুধু তা-ই নয়, নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ম্যাক ব্রাউনসহ অনেক বিদেশি সাংবাদিককে গণহত্যার যথার্থতার প্রমাণ ও প্রামাণ্য ছবি সংগ্রহের জন্য মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পেও নিয়ে যেতেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এ ধরনের কাজের জন্য অনেক সময়ই তাঁকে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। তবু দেশমাতৃকার টানে তিনি যেন সব ভুলে গিয়েছিলেন। তখন পাকিস্তান বাহিনী সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে কড়া সেন্সরশিপ আরোপ করে।
কৌশলে কাজ করতে গিয়েও পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের চোখে পড়ে যান তিনি। ঢাকায় থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা, ভারতে অবস্থানরত রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ইত্যাদি কারণে রাও ফরমান আলী দুবারই তাঁকে সতর্ক করে দেন এবং বলেন, কোনো অবস্থাতেই যেন গণহত্যার কোনো খবর বিদেশি সংবাদমাধ্যমে পাঠানো না হয়। এর অন্যথা হলে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হবে। নিজাম উদ্দিন আহমদ এসব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সংবাদ পাঠাতে থাকেন। তবে সে সময় মাঝে মাঝেই তিনি নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতে বাসায় না থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে থাকতেন।
১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি বাসায় ছিলেন। নিজের ঘরে বসে কাজ করছিলেন। কাজ করতে করতে ক্ষুধা লাগলে স্ত্রীকে খেতে দিতে বলেন। কিন্তু ক্ষুধা নিবারণের জন্য আর খাওয়া হয়নি। সেদিনই পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যান। এরপর তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
একাত্তর সালে নিজাম উদ্দিন আহমদ ছিলেন বিবিসির সংবাদদাতা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের খবর বিদেশি সংবাদপত্রে পাঠিয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের খবর সংগ্রহের জন্য ভোরবেলায় বাসা থেকে বের হন সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন আহমদ। ২৬ মার্চ সারা দিন ঘুরে ঘুরে ঢাকা শহরে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা দেখেন। মৃত্যু উপত্যকায় দাঁড়িয়ে তিনি সংগ্রহ করেন গণহত্যার সংবাদ। আবার যথাসময়ে সেগুলো পাঠিয়েও দেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। এভাবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন।
শুধু তা-ই নয়, নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ম্যাক ব্রাউনসহ অনেক বিদেশি সাংবাদিককে গণহত্যার যথার্থতার প্রমাণ ও প্রামাণ্য ছবি সংগ্রহের জন্য মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পেও নিয়ে যেতেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এ ধরনের কাজের জন্য অনেক সময়ই তাঁকে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। তবু দেশমাতৃকার টানে তিনি যেন সব ভুলে গিয়েছিলেন। তখন পাকিস্তান বাহিনী সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে কড়া সেন্সরশিপ আরোপ করে।
কৌশলে কাজ করতে গিয়েও পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের চোখে পড়ে যান তিনি। ঢাকায় থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা, ভারতে অবস্থানরত রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ইত্যাদি কারণে রাও ফরমান আলী দুবারই তাঁকে সতর্ক করে দেন এবং বলেন, কোনো অবস্থাতেই যেন গণহত্যার কোনো খবর বিদেশি সংবাদমাধ্যমে পাঠানো না হয়। এর অন্যথা হলে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হবে। নিজাম উদ্দিন আহমদ এসব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সংবাদ পাঠাতে থাকেন। তবে সে সময় মাঝে মাঝেই তিনি নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতে বাসায় না থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে থাকতেন।
১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি বাসায় ছিলেন। নিজের ঘরে বসে কাজ করছিলেন। কাজ করতে করতে ক্ষুধা লাগলে স্ত্রীকে খেতে দিতে বলেন। কিন্তু ক্ষুধা নিবারণের জন্য আর খাওয়া হয়নি। সেদিনই পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে ধরে নিয়ে যান। এরপর তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫