Ajker Patrika

চীনা ও দেশি রসুনে দামে ব্যবধান ৪৩৩%

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৪৯
চীনা ও দেশি রসুনে দামে ব্যবধান ৪৩৩%

রাজধানীর পাইকারি এবং খুচরা বাজারে দেশি ও চীনা রসুনের দামে দেখা গেছে বিস্তর ব্যবধান। দেশি রসুনের তুলনায় প্রতি কেজি চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা বেশি দামে, যা শতকরা ৪৩৩ শতাংশ বেশি।

পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী ঝুটন চন্দ্র সাহা জানান, তাঁদের বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা এবং চীনা রসুন ১৩০ টাকা।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর হিসাব অনুযায়ী, গত শনিবার রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোয় প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ৩৫-৬০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৮০ টাকা। ১ মাস আগেও একই দামে বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যবধানে দাম কমেছে ২০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর গত রোববার প্রতি কেজি চীনা রসুন বিক্রি হয়েছে ১২০-১৪০ টাকা, যা ১ সপ্তাহ আগে ছিল ১১০-১৩০ টাকা। ১ মাস আগে ছিল ১১০-১২০ টাকা। অর্থাৎ ১ মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ।

টিসিবির তথ্য বলছে, বাজারে দেশি রসুনের দাম কমে এলেও চীনা রসুনের দাম বাড়ছে। এর কারণ হিসেবে একাধিক ব্যবসায়ী জানান, চীনা রসুন দ্রুত ছিলে ফেলা যায়। আর হোটেল রেস্তোরাঁয় চীনা রসুন বেশি ব্যবহার হওয়ায় এর চাহিদা বেশি। এ জন্য দামও বেশি।

উৎপাদনকারী, আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে মোট চাহিদার ৬০ ভাগের বেশি রসুন উৎপাদন হয়েছিল।

উৎপাদন মৌসুমে দামও ভালো ছিল। অনেকে দাম পাওয়ার আশায় মজুতও করেছিলেন। কিন্তু মৌসুমের শেষে দাম না বেড়ে উল্টো কমেছে। এ জন্য লোকসান গুনতে হচ্ছে তাঁদের।

এ বিষয়ে শ্যামবাজারের রসুন আমদানিকারক হাফিজুর রহমান জানান, সহজে ছিলে ফেলা যায়—শুধু এ কারণেই অনেক পরিবারে চীনা রসুনের চাহিদা বেশি। দাম যা-ই হোক, তারা চীনা রসুনই কিনবে। তবে লোকসান হওয়ায় অনেকেই চীনা রসুন আমদানি করেননি। দু-তিনজন আমদানি করলেও চাহিদা থাকায় তাঁরা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত