Ajker Patrika

পোশাক খাতে উৎপাদন ব্যয় ৫ শতাংশ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৪৩
পোশাক খাতে উৎপাদন ব্যয় ৫ শতাংশ বেড়েছে

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ভারসাম্য রক্ষায় সরকার সম্প্রতি ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়িয়েছে। এতে পণ্য পরিবহন এবং জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেড়েছে। আর বিদ্যুৎ, গ্যাস, কাঁচামাল ও শ্রমিকের মজুরি তো বেশ আগেই বেড়েছে। সব মিলে পোশাক খাতে উৎপাদন খরচ ৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান গতকাল রাজধানী ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

ফারুক হাসান জানান, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ফলে দেশের তৈরি পোশাক খাতে উৎপাদন খরচ ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। আর গত এক বছরে সুতার দাম ৬০, কনটেইনার পরিবহন ভাড়া ৩৫০-৫০০, ডাইস ও কেমিক্যাল খরচ ৪০, শ্রমিকের মজুরি সাড়ে ৭ এবং বিদ্যুতের মূল্য ১৩ শতাংশ বেড়েছে।

করোনার কারণে বিশ্বের অর্থনীতি অনেকটা থমকে যাওয়ায় পোশাকশিল্পের বিদেশি অর্ডারও কমেছিল জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, অবস্থা দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। নতুন করে প্রচুর অর্ডার আসছে। তবে অর্ডার বাড়লেও পণ্যের মূল্য তেমন একটা বাড়েনি। পোশাকের মূল্য বাড়াতে ক্রেতাদের বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে পণ্যের অর্ডার না নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সমিতির সদস্যদের। এ কৌশলের ফলে ধারাবাহিকতায় আগের চেয়ে খানিকটা বাড়তি মূল্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে যা পাওয়া যাচ্ছে তা উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির তুলনায় একবারে সামান্য।

মহামারিতে বেকারত্ব বাড়ার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে ফারুক হাসান বলেন, ‘করোনাকালে তেমন একটা নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি। বিরাজমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে ব্যবসা সহজীকরণ এবং নীতিগত স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। তেলের দাম বৃদ্ধি পোশাকশিল্পের চ্যালেঞ্জ আরও বাড়িয়েছে। এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এ খাতকে চাঙা করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

পোশাকশিল্পের প্রসার, নতুন বাজারের সন্ধান নিয়েও কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, পোশাকশিল্পের উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বিজিএমইএ। তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে সম্প্রতি ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে সদ্য সমাপ্ত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে বিজিএমইএ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সেখানে একটি প্যাভিলিয়ন নেওয়া হয় এবং বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রমোশনাল ম্যাটেরিয়াল উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের টেকসই অগ্রগতির ওপর নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বক্তৃতার শেষের দিকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপারেল ফেডারেশনের (আইএএফ) ৩৭তম সম্মেলন ২০২২ সালের নভেম্বরে ঢাকায় আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একক খাতের আন্তর্জাতিক সম্মেলন বাংলাদেশে এটাই প্রথম। ওই সম্মেলনে “মেড ইন বাংলাদেশ উইকে” বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক ব্র্যান্ডিং করা হবে এবং পোশাকশিল্পের নানা দিক তুলে ধরে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত