Ajker Patrika

এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা

পপেল চন্দ্র সাহা
আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ০২
এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি  ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজ তোমাদের ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা প্রথম পত্র বিষয়ের চতুর্থ অধ্যায় থেকে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব।

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

১। সুজন, রাজন ও ভজন একটি অংশীদারি ব্যবসায়ের সদস্য। সুজন ব্যবসায়ে মূলধন বিনিয়োগের পাশাপাশি ব্যবসায় পরিচালনায়ও অংশগ্রহণ করেন। রাজন মূলধন বিনিয়োগ করেন কিন্তু পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন না। ভজন মূলধন বিনিয়োগ করেন না আবার পরিচালনায়ও অংশ নেন না। তবে ব্যবসায়ে তাঁর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। হঠাৎ সুজন মস্তিষ্ক বিকৃতির কারণে কর্তব্য পালনে স্থায়ীভাবে অসমর্থ হন।

(ক) অংশীদারি চুক্তিপত্র কী? ১

(খ) নিবন্ধিত অংশীদারি ব্যবসায় উত্তম কেন? ২

(গ) ভজন কোন ধরনের অংশীদার? ব্যাখ্যা করো। ৩

(ঘ) উদ্দীপকের অংশীদারি ব্যবসায়টিকে চলমান রাখার সম্ভাবনা কতটুকু? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো। ৪

ক) উত্তর: অংশীদারদের মধ্যকার চুক্তির বিষয়বস্তু কোনো দলিলে লিপিবদ্ধ করা হলে তাকে অংশীদারি চুক্তিপত্র বলে।

খ) উত্তর: দেশের প্রচলিত আইন মেনে কোনো অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তিপত্র নিবন্ধক কর্তৃক নিবন্ধিত এবং প্রতিষ্ঠানের নাম নিবন্ধন বইতে তালিকাভুক্ত করাকে অংশীদারি প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বলে।

অংশীদারি চুক্তি মৌখিক, লিখিত বা লিখিত ও নিবন্ধিত যেকোনো ধরনের হতে পারে। তবে লিখিত ও নিবন্ধিত হওয়া উত্তম। অন্যথায় তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা, অন্য অংশীদারদের বিরুদ্ধে মামলা করায় বাধাসহ নানান সীমাবদ্ধতা প্রতিষ্ঠান ও অংশীদারদের ভোগ করতে হয়। তাই এরূপ ব্যবসায় নিবন্ধিত হওয়া উত্তম।

গ) উত্তর: ভজন নামমাত্র অংশীদার।

যে অংশীদার ব্যবসায়ে মূলধন বিনিয়োগ করেন না আবার ব্যবসায় পরিচালনায়ও অংশগ্রহণ করেন না শুধু তাঁর নাম ব্যবহার করতে অনুমতি দেন, তাঁকে নামমাত্র অংশীদার বলে। তবে নামমাত্র অংশীদারের দায় সাধারণ অংশীদারের মতো অসীম নয়।

উদ্দীপকে সুজন, রাজন ও ভজন অংশীদারি ব্যবসায়ের সদস্য। ভজন ব্যবসায়ে মূলধন বিনিয়োগ করেন না। আবার পরিচালনায়ও অংশ নেন না। তবে ব্যবসায়ে তাঁর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। এ জন্য তিনি তাঁর নাম ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন। তাই বলা যায় ভজন নামমাত্র অংশীদার।

ঘ) উত্তর: উদ্দীপকের অংশীদারি ব্যবসায়টি চলমান রাখা সম্ভব নয়।

অংশীদারি আইনের ৪৪ ধারায় বলা আছে, যদি কোনো অংশীদার মস্তিষ্ক বিকৃতির কারণে কর্তব্য পালনে স্থায়ীভাবে অসমর্থ হন, তখন এই ব্যবসায়টি আদালতের নির্দেশে বিলোপসাধন ঘটবে।

উদ্দীপকে সুজন একজন সাধারণ অংশীদার। তিনি ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন এবং ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করেন। হঠাৎ সুজন মস্তিষ্ক বিকৃতির কারণে কর্তব্য পালনে চিরতরে অসমর্থ হন। এর ফলে অংশীদারি ব্যবসায়টির অবশ্যই বিলোপসাধন ঘটবে।

অংশীদারি ব্যবসায়ে কোনো অংশীদার মস্তিষ্ক বিকৃতির কারণে কর্তব্য পালনে চিরতরে অসমর্থ হলে সেই ব্যবসায়টি চলমান রাখা সম্ভব নয়। আদালতের নির্দেশে ওই ব্যবসায়টির বিলোপসাধন ঘটবে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের অংশীদারি ব্যবসাটিকে চলমান রাখার সম্ভাবনা নেই।

­­পপেল চন্দ্র সাহা
সহকারী অধ্যাপক,আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ নরসিংদী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত