শেখ আবু হাসান, খুলনা
সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে খুলনা বিএনপির বিভক্তি। অনেকে বলছেন, এই বিভক্তি খুলনায় বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করে দিচ্ছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আন্দোলন ও কর্মসূচিতে।
এ ব্যাপারে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক সহসভাপতি সেকেন্দার জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুলনা বিএনপির মধ্যে বিভক্তি সংগঠনকে দুর্বল করছে, যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনে। যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকত, তাহলে দলের শক্তি এবং দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মনোবল বৃদ্ধি পেত। দলের হাইকমান্ড দ্রুত হস্তক্ষেপ না করলে চলমান আন্দোলন ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
দলীয় সূত্র বলেছে, ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনে সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সভাপতি এবং তাঁর অনুসারী সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনিকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। এরপর দীর্ঘ দেড় যুগ মঞ্জু-মনি খুলনা বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে গত কয়েক বছরে এখানে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দলটি। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি। অপর গ্রুপটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন নগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা ও নগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, চরম বিভক্তির একপর্যায়ে ২০২১ সালে ৯ ডিসেম্বর খুলনা নগর ও জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নগর আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক করা হয় জেলা বিএনপির সভাপতি এস এম শফিকুল আলম মনাকে। সদস্যসচিব করা হয় শফিকুল আলম তুহিনকে। জেলা কমিটিও ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান হন এই কমিটির আহ্বায়ক। এরপরই কোণঠাসা হয়ে পড়েন মঞ্জু-মনির অনুসারীরা। নগর কিংবা জেলা কমিটিতে এই গ্রুপের কাউকেই রাখা হয়নি। এমনকি এখন তাঁদের দলীয় কোনো কর্মসূচিতে ডাকাও হয় না। অবশ্য কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি তাঁরা পৃথকভাবে পালন করেন।
এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম মঞ্জু আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুলনা বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীরা, যাঁরা এই অঞ্চলে দলকে শক্তিশালী করেছেন, তাঁরা পদবঞ্চিত। গত ১৪ বছরে হামলা-মামলা, হয়রানির শিকার হয়ে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে তাঁরা নিঃস্ব। সেই সব নেতা-কর্মীকে বাদ দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। দলের হাইকমান্ডের কাছে তাঁরা কমিটি পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা হয়নি। তিনি বলেন, খুলনার বর্তমান কমিটি দলের কোনো কর্মসূচিতে তাঁদের ডাকে না। এ জন্য তাঁরা দলের বিশেষ বিশেষ দিবস ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পৃথকভাবে পালন করেন।
তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘মঞ্জু দলের সাবেক নেতা, সাবেক এমপি। দলে এখন তাঁর কোনো পদ নেই। তিনি দলের হাইকমান্ডের দেওয়া কমিটি প্রত্যাখ্যান এবং দলীয় কর্মসূচি পৃথকভাবে করায় দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। এই বিষয়টি কেন্দ্র মাথায় রেখেছে। নতুন কমিটি খুলনায় দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার পাশাপাশি কেন্দ্রঘোষিত সব কর্মসূচি সফলভাবে পালন করেছে। তাঁদের (মঞ্জু-মনি ও তাঁদের অনুসারী) আর কমিটিতে ফেরার সুযোগ নেই।’
সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে খুলনা বিএনপির বিভক্তি। অনেকে বলছেন, এই বিভক্তি খুলনায় বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল করে দিচ্ছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আন্দোলন ও কর্মসূচিতে।
এ ব্যাপারে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ও সাবেক সহসভাপতি সেকেন্দার জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খুলনা বিএনপির মধ্যে বিভক্তি সংগঠনকে দুর্বল করছে, যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনে। যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকত, তাহলে দলের শক্তি এবং দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মনোবল বৃদ্ধি পেত। দলের হাইকমান্ড দ্রুত হস্তক্ষেপ না করলে চলমান আন্দোলন ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
দলীয় সূত্র বলেছে, ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনে সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে সভাপতি এবং তাঁর অনুসারী সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনিকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়। এরপর দীর্ঘ দেড় যুগ মঞ্জু-মনি খুলনা বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে গত কয়েক বছরে এখানে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে দলটি। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি। অপর গ্রুপটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন নগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি শাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা ও নগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, চরম বিভক্তির একপর্যায়ে ২০২১ সালে ৯ ডিসেম্বর খুলনা নগর ও জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নগর আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক করা হয় জেলা বিএনপির সভাপতি এস এম শফিকুল আলম মনাকে। সদস্যসচিব করা হয় শফিকুল আলম তুহিনকে। জেলা কমিটিও ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান হন এই কমিটির আহ্বায়ক। এরপরই কোণঠাসা হয়ে পড়েন মঞ্জু-মনির অনুসারীরা। নগর কিংবা জেলা কমিটিতে এই গ্রুপের কাউকেই রাখা হয়নি। এমনকি এখন তাঁদের দলীয় কোনো কর্মসূচিতে ডাকাও হয় না। অবশ্য কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি তাঁরা পৃথকভাবে পালন করেন।
এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম মঞ্জু আজকের পত্রিকাকে বলেন, খুলনা বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীরা, যাঁরা এই অঞ্চলে দলকে শক্তিশালী করেছেন, তাঁরা পদবঞ্চিত। গত ১৪ বছরে হামলা-মামলা, হয়রানির শিকার হয়ে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে তাঁরা নিঃস্ব। সেই সব নেতা-কর্মীকে বাদ দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। দলের হাইকমান্ডের কাছে তাঁরা কমিটি পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা হয়নি। তিনি বলেন, খুলনার বর্তমান কমিটি দলের কোনো কর্মসূচিতে তাঁদের ডাকে না। এ জন্য তাঁরা দলের বিশেষ বিশেষ দিবস ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পৃথকভাবে পালন করেন।
তবে নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘মঞ্জু দলের সাবেক নেতা, সাবেক এমপি। দলে এখন তাঁর কোনো পদ নেই। তিনি দলের হাইকমান্ডের দেওয়া কমিটি প্রত্যাখ্যান এবং দলীয় কর্মসূচি পৃথকভাবে করায় দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। এই বিষয়টি কেন্দ্র মাথায় রেখেছে। নতুন কমিটি খুলনায় দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার পাশাপাশি কেন্দ্রঘোষিত সব কর্মসূচি সফলভাবে পালন করেছে। তাঁদের (মঞ্জু-মনি ও তাঁদের অনুসারী) আর কমিটিতে ফেরার সুযোগ নেই।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫