আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রকৃতি পরিবর্তনশীল। পরিবর্তনই তার ধর্ম। আজ যে পাহাড় আমরা দেখি, কোনো একসময় সেটা হয়তো ছিল না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রকৃতির পরিবর্তনের ধারায় সৃষ্টি হয়েছে পাহাড়-উপত্যকা, নদী-নালা, বন-জঙ্গল, মরুভূমি কিংবা জলাশয়। এই যে পরিবর্তন, তার মধ্যে লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য, অনেক বিস্ময়। আমাদের চারপাশে রোমাঞ্চকর, আশ্চর্য অনেক বিষয় আছে–যেগুলোর রহস্যের জট এখনো খোলেনি।
বলছি ইস্টার আইল্যান্ডের কথা। ইস্টার আইল্যান্ড নামটি শুনেই হতো অনেকে এর সঙ্গে ইস্টার সানডের যোগসূত্র খুঁজবেন। মজার ব্যাপার হলো, আসলেই ইস্টার সানডের সঙ্গে এই দ্বীপের নামকরণের ইতিহাস জড়িত। ১৭২২ সালের এক ইস্টার সানডেতে জ্যাকব রোগেভিন নামের একজন ডাচ পর্যটক এই দ্বীপে এসে পড়েন। তিনিই এর নাম দেন ‘Paasch-Eyland’, ডাচ ভাষায় যার অর্থ ইস্টার আইল্যান্ড। প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপটিতে মূলত দক্ষিণ আমেরিকার আদি পলিনেশীয় জাতি রাপা নুইয়ের বাসস্থান। এ জন্য এটি রাপা নুই নামেও পরিচিত।
বিশ্বের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন জনপদের একটি এই ইস্টার আইল্যান্ড। ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৬ কিলোমিটার চওড়া এই দ্বীপটিতে হাজার বছর আগে কীভাবে মানবসভ্যতা গড়ে উঠেছিল, সেটিই বিজ্ঞানীদের কাছে এক বড় বিস্ময়। কারণ, ইস্টার আইল্যান্ডের সবচেয়ে কাছের বাসযোগ্য দ্বীপ পিটকেয়ার্ন আইল্যান্ড। তবে এটিও রহস্যঘেরা ইস্টার থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরে। ইস্টার আইল্যান্ড থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে মাঙ্গারেভা আইল্যান্ড। তবে সেখানে বসবাস করা মানুষের সংখ্যা হাজারের নিচে। আর ইস্টার থেকে সবচেয়ে কাছের স্থলভাগ ধরা হয় চিলিকে। কাছে বলা হলেও এর দূরত্ব দ্বীপ থেকে তিন হাজার কিলোমিটারের বেশি।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে চিলির দ্বীপ ইস্টার আইল্যান্ডের মূল আকর্ষণ সেখানকার শত বছরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বিশেষ করে গোটা দ্বীপে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধাঁচের তৈরি মোয়াই মূর্তিগুলো, যা দেখতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে ইস্টার আইল্যান্ডে।
ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত এই দ্বীপে থাকা অনন্য বৈশিষ্ট্য ও বিশাল আকৃতির মূর্তিগুলো তৈরির পেছনের কাহিনি নিয়ে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মত। এ ছাড়া পুরো ইস্টার আইল্যান্ড সম্পর্কে যেসব ইতিহাস জানা যায়, সে বিষয়েও নেই লিখিত বা সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য। দ্বীপটিতে কবে থেকে মানুষের বসবাস, তা নিয়েও রয়েছে অস্পষ্টতা। তবে ধারণা করা হয়, ইস্টার দ্বীপের স্থানীয় পলিনেশিয়ান বাসিন্দারা ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে অন্য কোনো দ্বীপ থেকে এখানে এসেছিল এবং একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছিল। যার প্রমাণ ১৪০০-১৬৫০ সালের মধ্যে খোদাই করে তৈরি করা আট শরও বেশি মোয়াই মূর্তি।
বসবাস শুরুর পর পলিনেশিয়ানদের জনসংখ্যা বাড়তে শুরু করে। ১৩৫০ সালের মধ্যেই তা পৌঁছে যায় তিন থেকে চার হাজারে। কিন্তু ১৮৭৭ সালের দিকে রহস্যজনকভাবেই এই জনসংখ্যা নেমে আসে ১১১ জনে। কেন ইস্টার আইল্যান্ডের জনসংখ্যা কমে গিয়েছিল, সে বিষয়েও তেমন কিছু জানা যায় না।
শুধু লাটাম (পূর্বের ল্যান) এয়ারলাইনসের মাধ্যমে ইস্টার আইল্যান্ডে যাওয়া সম্ভব। চিলির সান্তিয়াগো থেকে প্রতিদিন একটি ফ্লাইট এই দ্বীপে যায়, সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টার মতো।
প্রকৃতি পরিবর্তনশীল। পরিবর্তনই তার ধর্ম। আজ যে পাহাড় আমরা দেখি, কোনো একসময় সেটা হয়তো ছিল না। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রকৃতির পরিবর্তনের ধারায় সৃষ্টি হয়েছে পাহাড়-উপত্যকা, নদী-নালা, বন-জঙ্গল, মরুভূমি কিংবা জলাশয়। এই যে পরিবর্তন, তার মধ্যে লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য, অনেক বিস্ময়। আমাদের চারপাশে রোমাঞ্চকর, আশ্চর্য অনেক বিষয় আছে–যেগুলোর রহস্যের জট এখনো খোলেনি।
বলছি ইস্টার আইল্যান্ডের কথা। ইস্টার আইল্যান্ড নামটি শুনেই হতো অনেকে এর সঙ্গে ইস্টার সানডের যোগসূত্র খুঁজবেন। মজার ব্যাপার হলো, আসলেই ইস্টার সানডের সঙ্গে এই দ্বীপের নামকরণের ইতিহাস জড়িত। ১৭২২ সালের এক ইস্টার সানডেতে জ্যাকব রোগেভিন নামের একজন ডাচ পর্যটক এই দ্বীপে এসে পড়েন। তিনিই এর নাম দেন ‘Paasch-Eyland’, ডাচ ভাষায় যার অর্থ ইস্টার আইল্যান্ড। প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপটিতে মূলত দক্ষিণ আমেরিকার আদি পলিনেশীয় জাতি রাপা নুইয়ের বাসস্থান। এ জন্য এটি রাপা নুই নামেও পরিচিত।
বিশ্বের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন জনপদের একটি এই ইস্টার আইল্যান্ড। ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৬ কিলোমিটার চওড়া এই দ্বীপটিতে হাজার বছর আগে কীভাবে মানবসভ্যতা গড়ে উঠেছিল, সেটিই বিজ্ঞানীদের কাছে এক বড় বিস্ময়। কারণ, ইস্টার আইল্যান্ডের সবচেয়ে কাছের বাসযোগ্য দ্বীপ পিটকেয়ার্ন আইল্যান্ড। তবে এটিও রহস্যঘেরা ইস্টার থেকে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরে। ইস্টার আইল্যান্ড থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে মাঙ্গারেভা আইল্যান্ড। তবে সেখানে বসবাস করা মানুষের সংখ্যা হাজারের নিচে। আর ইস্টার থেকে সবচেয়ে কাছের স্থলভাগ ধরা হয় চিলিকে। কাছে বলা হলেও এর দূরত্ব দ্বীপ থেকে তিন হাজার কিলোমিটারের বেশি।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে চিলির দ্বীপ ইস্টার আইল্যান্ডের মূল আকর্ষণ সেখানকার শত বছরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বিশেষ করে গোটা দ্বীপে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধাঁচের তৈরি মোয়াই মূর্তিগুলো, যা দেখতে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে ইস্টার আইল্যান্ডে।
ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত এই দ্বীপে থাকা অনন্য বৈশিষ্ট্য ও বিশাল আকৃতির মূর্তিগুলো তৈরির পেছনের কাহিনি নিয়ে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মত। এ ছাড়া পুরো ইস্টার আইল্যান্ড সম্পর্কে যেসব ইতিহাস জানা যায়, সে বিষয়েও নেই লিখিত বা সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য। দ্বীপটিতে কবে থেকে মানুষের বসবাস, তা নিয়েও রয়েছে অস্পষ্টতা। তবে ধারণা করা হয়, ইস্টার দ্বীপের স্থানীয় পলিনেশিয়ান বাসিন্দারা ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে অন্য কোনো দ্বীপ থেকে এখানে এসেছিল এবং একটি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছিল। যার প্রমাণ ১৪০০-১৬৫০ সালের মধ্যে খোদাই করে তৈরি করা আট শরও বেশি মোয়াই মূর্তি।
বসবাস শুরুর পর পলিনেশিয়ানদের জনসংখ্যা বাড়তে শুরু করে। ১৩৫০ সালের মধ্যেই তা পৌঁছে যায় তিন থেকে চার হাজারে। কিন্তু ১৮৭৭ সালের দিকে রহস্যজনকভাবেই এই জনসংখ্যা নেমে আসে ১১১ জনে। কেন ইস্টার আইল্যান্ডের জনসংখ্যা কমে গিয়েছিল, সে বিষয়েও তেমন কিছু জানা যায় না।
শুধু লাটাম (পূর্বের ল্যান) এয়ারলাইনসের মাধ্যমে ইস্টার আইল্যান্ডে যাওয়া সম্ভব। চিলির সান্তিয়াগো থেকে প্রতিদিন একটি ফ্লাইট এই দ্বীপে যায়, সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টার মতো।
আজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ মেঘলা থাকলেও এ এলাকার আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ মঙ্গলবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১২ আগস্ট ২০২৫বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী আজ মঙ্গলবারও ঢাকার বায়ুমান ৬০, যা সহনীয় পর্যায়ের বাতাসের নির্দেশক। আজ দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৪৯। গতকাল সোমবার ৫৫ বায়ুমান নিয়ে ৬০তম স্থানে ছিল ঢাকা।
১২ আগস্ট ২০২৫আজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ মেঘলা থাকলেও এ এলাকর আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সোমবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১১ আগস্ট ২০২৫বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী আজ সোমবারও ঢাকার বায়ুমান ৫৫, যা সহনীয় পর্যায়ের বাতাসের নির্দেশক। আজ দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ৬০।
১১ আগস্ট ২০২৫