পশ্চিমবঙ্গের সিরিয়ালগুলো এই বাংলাতেও বেশ জনপ্রিয়। সেখানকার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা পরিচিত। তবে পর্দার পেছনের মানুষদের খুব একটা চেনা হয় না। এই যে সিরিয়ালগুলোতে এত এত মারপ্যাঁচ, বাঁকে বাঁকে গল্পের টান টান উত্তেজনা-এগুলো লেখেন কে? বলা যায়, সিরিয়ালে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় চিত্রনাট্য লেখক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
পড়াশোনা শেষ করে প্রথমে একটি স্কুলে, তারপর কলেজে অধ্যাপনা করতে শুরু করেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। পড়াশোনার পাশাপাশি খুব ছোট বয়স থেকেই গল্প লেখার প্রতি তাঁর আকর্ষণ ছিল। ক্লাস সিক্সে পড়াকালীন প্রথম গল্প লিখেছিলেন তিনি, তা-ও আবার প্রেমের গল্প!
তবে সেই গল্প প্রকাশ হয়নি। কিন্তু তাঁর লেখাও থেমে থাকেনি। তৎকালীন সময়ে রেডিওতে প্রচারিত গল্প ‘দাদুর আসর’-এ লেখা পাঠাতেন লীনা। এ ছাড়াও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করতে থাকেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি আর কলেজের অধ্যাপনা নিয়েই কাটছিল তাঁর দিন। এর মাঝে একদিন ‘সোনার হরিণ’ ধারাবাহিকটির স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ের জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রযোজনা সংস্থা। প্রথমে এক মাসের জন্য ধারাবাহিকের স্ক্রিপ্ট লিখে দেওয়ার জন্য বলা হয়। তাঁর লেখনীতে ধারাবাহিকটি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে পরবর্তী ১ হাজার ৩৫০টি পর্বের স্ক্রিপ্ট তাঁকেই লিখতে হয়েছিল! সেই থেকেই স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে টলিউডে তাঁর কাজ শুরু হয়। বিদ্যা বালানের প্রথম বাংলা ছবি ‘ভালো থেকো’র চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। নির্মাণ করেছেন ‘সাঁঝবাতি’ ও ‘মাটি’ নামের দুটি সিনেমা।
টালিউডে অন্য কোনো প্রযোজনা সংস্থার হয়ে নয়, লীনা গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই নিজের প্রোডাকশন হাউস খুলে ফেললেন। নাম রাখলেন ম্যাজিক মোমেন্টস! বিগত প্রায় এক দশক পশ্চিমবঙ্গের টেলিভিশনে ম্যাজিকই দেখিয়ে চলেছেন তিনি। তাঁর লেখনীর জাদুতে ‘বিন্নি ধানের খই’, ‘কেয়া পাতার নৌকো’, ‘ইষ্টিকুটুম’, ‘জল নূপুর’, ‘পুন্যি পুকুর’, ‘ইচ্ছেনদী’, ‘ফাগুন বউ’, ‘নকশিকাঁথা’, ‘পটলকুমার গানওয়ালা’, ‘মহানায়ক’ থেকে শুরু করে বর্তমানে ‘শ্রীময়ী’, ‘মোহর’, ‘ধুলোকণা’, ‘দেশের মাটি’, ‘খড়কুটো’র জন্য চিত্রনাট্য লিখছেন তিনি।
লীনা একই সময় একাধারে অনেক ধারাবাহিকের জন্য কাজ করতে পারেন! চিত্রনাট্যের পাশাপাশি সংলাপ রচয়িতাও তিনিই। প্রযোজনা এবং পরিচালনার ভারও রয়েছে তার কাঁধে। তার লেখনী, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। আধুনিক উন্নত শিক্ষিত সমাজ থেকে শুরু করে গ্রামবাংলার মানুষেরাও তাঁর রচিত চরিত্রগুলোর সঙ্গে একাত্ম হতে পারেন।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখার সুখ্যাতি বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে মুম্বাইতে। শুধু মুম্বাই না তাঁর লেখা চিত্রনাট্যের ওপর ভিত্তি করে দক্ষিণে রিমেক হচ্ছে বাংলা সিরিয়ালের। এই মুহূর্তে তাঁর লেখা ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের হিন্দি ও তামিল রিমেক হতে চলেছে। তাঁর লেখা নিয়ে ছেলে অর্ক গঙ্গোপাধ্যায় আনতে চলেছেন নতুন হিন্দি ধারাবাহিক ‘থোড়াসা বাদাল থোড়াসা পানি’। ছেলে অর্ক এবং পুত্রবধূ দেবলীনা মুখার্জিও সিরিয়াল নির্মাণ করেন।
দুই দশকের বেশি সময় বাংলা ধারাবাহিকে একের পর এক চরিত্রকে রূপদান করে চলেছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর কল্পনার সঙ্গে বাস্তবের অদ্ভুত মিল ঘটাতে পারেন। আসলে বাস্তব থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি চরিত্রগুলোকে তাঁর লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন। তাই তাঁর রচিত ধারাবাহিকগুলো দর্শকের থেকে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজের পরিবর্তন ধরা পড়ে তার লেখনীতে। বর্তমানে তাঁর ম্যাজিক মোমেন্টস প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করছেন শত শত মানুষ।
পশ্চিমবঙ্গের সিরিয়ালগুলো এই বাংলাতেও বেশ জনপ্রিয়। সেখানকার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা পরিচিত। তবে পর্দার পেছনের মানুষদের খুব একটা চেনা হয় না। এই যে সিরিয়ালগুলোতে এত এত মারপ্যাঁচ, বাঁকে বাঁকে গল্পের টান টান উত্তেজনা-এগুলো লেখেন কে? বলা যায়, সিরিয়ালে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় চিত্রনাট্য লেখক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
পড়াশোনা শেষ করে প্রথমে একটি স্কুলে, তারপর কলেজে অধ্যাপনা করতে শুরু করেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। পড়াশোনার পাশাপাশি খুব ছোট বয়স থেকেই গল্প লেখার প্রতি তাঁর আকর্ষণ ছিল। ক্লাস সিক্সে পড়াকালীন প্রথম গল্প লিখেছিলেন তিনি, তা-ও আবার প্রেমের গল্প!
তবে সেই গল্প প্রকাশ হয়নি। কিন্তু তাঁর লেখাও থেমে থাকেনি। তৎকালীন সময়ে রেডিওতে প্রচারিত গল্প ‘দাদুর আসর’-এ লেখা পাঠাতেন লীনা। এ ছাড়াও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করতে থাকেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি আর কলেজের অধ্যাপনা নিয়েই কাটছিল তাঁর দিন। এর মাঝে একদিন ‘সোনার হরিণ’ ধারাবাহিকটির স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ের জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রযোজনা সংস্থা। প্রথমে এক মাসের জন্য ধারাবাহিকের স্ক্রিপ্ট লিখে দেওয়ার জন্য বলা হয়। তাঁর লেখনীতে ধারাবাহিকটি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিল যে পরবর্তী ১ হাজার ৩৫০টি পর্বের স্ক্রিপ্ট তাঁকেই লিখতে হয়েছিল! সেই থেকেই স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে টলিউডে তাঁর কাজ শুরু হয়। বিদ্যা বালানের প্রথম বাংলা ছবি ‘ভালো থেকো’র চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। নির্মাণ করেছেন ‘সাঁঝবাতি’ ও ‘মাটি’ নামের দুটি সিনেমা।
টালিউডে অন্য কোনো প্রযোজনা সংস্থার হয়ে নয়, লীনা গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই নিজের প্রোডাকশন হাউস খুলে ফেললেন। নাম রাখলেন ম্যাজিক মোমেন্টস! বিগত প্রায় এক দশক পশ্চিমবঙ্গের টেলিভিশনে ম্যাজিকই দেখিয়ে চলেছেন তিনি। তাঁর লেখনীর জাদুতে ‘বিন্নি ধানের খই’, ‘কেয়া পাতার নৌকো’, ‘ইষ্টিকুটুম’, ‘জল নূপুর’, ‘পুন্যি পুকুর’, ‘ইচ্ছেনদী’, ‘ফাগুন বউ’, ‘নকশিকাঁথা’, ‘পটলকুমার গানওয়ালা’, ‘মহানায়ক’ থেকে শুরু করে বর্তমানে ‘শ্রীময়ী’, ‘মোহর’, ‘ধুলোকণা’, ‘দেশের মাটি’, ‘খড়কুটো’র জন্য চিত্রনাট্য লিখছেন তিনি।
লীনা একই সময় একাধারে অনেক ধারাবাহিকের জন্য কাজ করতে পারেন! চিত্রনাট্যের পাশাপাশি সংলাপ রচয়িতাও তিনিই। প্রযোজনা এবং পরিচালনার ভারও রয়েছে তার কাঁধে। তার লেখনী, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়। আধুনিক উন্নত শিক্ষিত সমাজ থেকে শুরু করে গ্রামবাংলার মানুষেরাও তাঁর রচিত চরিত্রগুলোর সঙ্গে একাত্ম হতে পারেন।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখার সুখ্যাতি বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে মুম্বাইতে। শুধু মুম্বাই না তাঁর লেখা চিত্রনাট্যের ওপর ভিত্তি করে দক্ষিণে রিমেক হচ্ছে বাংলা সিরিয়ালের। এই মুহূর্তে তাঁর লেখা ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের হিন্দি ও তামিল রিমেক হতে চলেছে। তাঁর লেখা নিয়ে ছেলে অর্ক গঙ্গোপাধ্যায় আনতে চলেছেন নতুন হিন্দি ধারাবাহিক ‘থোড়াসা বাদাল থোড়াসা পানি’। ছেলে অর্ক এবং পুত্রবধূ দেবলীনা মুখার্জিও সিরিয়াল নির্মাণ করেন।
দুই দশকের বেশি সময় বাংলা ধারাবাহিকে একের পর এক চরিত্রকে রূপদান করে চলেছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর কল্পনার সঙ্গে বাস্তবের অদ্ভুত মিল ঘটাতে পারেন। আসলে বাস্তব থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি চরিত্রগুলোকে তাঁর লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন। তাই তাঁর রচিত ধারাবাহিকগুলো দর্শকের থেকে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজের পরিবর্তন ধরা পড়ে তার লেখনীতে। বর্তমানে তাঁর ম্যাজিক মোমেন্টস প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করছেন শত শত মানুষ।
ভৌতিক গল্পের প্রতি আলাদা টান রয়েছে অর্থহীন ব্যান্ডের সাইদুস সালেহীন সুমন ও ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর। দুই বন্ধু মিলে দেখেছেন অনেক হরর সিনেমা। ভৌতিক গল্পের সন্ধানে ছুটে গেছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
১২ আগস্ট ২০২৫আবুল হায়াত ও দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নাটক ‘বেলা ও বিকেল’। এতে তাঁরা দুজন অভিনয় করেছেন নামভূমিকায়। আবুল হায়াত অভিনয় করেছেন বিকেল চরিত্রে এবং দিলারা জামান বেলার ভূমিকায়।
১২ আগস্ট ২০২৫তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার একমাত্র কন্যা আইরা তেহরীম খান। মা-বাবার মতো আইরাও নাম লেখালেন শোবিজে। শুরু হলো বিজ্ঞাপন দিয়ে। প্রথম কাজে আইরা সঙ্গে পেয়েছে মা মিথিলাকে। গত শনিবার প্রকাশ্যে এসেছে বিজ্ঞাপনটি।
১২ আগস্ট ২০২৫১৮ আগস্ট নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের ৭৬তম জন্মজয়ন্তী। এ উপলক্ষে চার দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা থিয়েটার। ১৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে শুরু হবে উৎসব, চলবে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। উৎসবে প্রদর্শিত হবে সেলিম আল দীনের দুটি নাটক ‘দেয়াল’ ও ‘নিমজ্জন’।
১২ আগস্ট ২০২৫