মুক্তির অপেক্ষায় আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। ১৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে এ সিনেমার প্রথম পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, শিগগিরই সিনেমাটির মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে।
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পী। এ সিনেমায় বঙ্গমাতার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। কিন্তু ওই চরিত্রের জন্য চূড়ান্ত হয়েও দুইবার সিনেমাটি থেকে বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন জ্যোতি।
শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। জ্যোতিকা জ্যোতি লিখেছেন, ‘আমি আমার সাদৃশ্য খুঁজে পাই শেখ হাসিনা চরিত্রের সঙ্গে। গঠন এবং মানসিকতা—দুই দিক থেকেই। আমার স্ট্রাগল, এটিচ্যুড, নাক, হাসি যেন অনেকটাই মেলে। সেই প্রিপারেশন নিয়েই অডিশন দিতে গিয়েছিলাম শ্যাম বেনেগালের ‘‘মুজিব’’ প্রজেক্টে। সেদিন অডিশন নিয়েছিলেন এই সিনেমার কাস্টিং ডিরেক্টর আর এক টেবিল বাংলাদেশী নতুন-পুরোনো আমলা। কাস্টিং ডিরেক্টর আমাকে রেনু (বঙ্গমাতা) চরিত্রের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড় করালেন, পছন্দ করলেন। রাতে হোয়াটসআ্যাপে আরও কিছু ছবি চাইলেন। আমি সকালেই আমার এক ফটোগ্রাফার বন্ধুকে অনুরোধ করে বাসায় নিজেই রেডি হয়ে ছবি তুলে পাঠালাম। আমি জানলাম, ওনারা রেনুকে পেলেন। আবার অডিশনের ডাক পড়ল শ্যাম বেনেগালের সামনে। যদিও সেদিন অডিশনে না যাওয়ার জন্য কড়াভাবে আমাকে দুরে রাখা হয়েছিল অডিশনের বাংলাদেশি টেবিল থেকে। কিন্তু কাস্টিং ডিরেক্টর এবং ডিরেক্টর স্বয়ং যখন আমার নাম ধরে খুঁজছেন, তখন আমাকে জানানো হলো। এবং গিয়ে হাজির হলাম। সামনে পরিচালক শ্যাম বেনেগাল এবং এক টেবিল নতুন-পুরোনো বাংলাদেশি আমলা। ভারত টিম হাসিমুখে আমাকে টিকমার্ক দিলেও বাংলাদেশি টিমের মুখে সেই কলমের কালি যেন ছাই হয়ে উড়ে পড়ল! কিছুদিনের মধ্যেই আমি বাদ পড়লাম।’
এ ঘটনার পর মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। বিষয়টি নিয়ে তিনি নানা মহলে যোগাযোগও করেছেন। জ্যোতি লিখেছেন, ‘কান্নাভরা চোখ, রুদ্ধ গলা, কাঁপা কাঁপা বুক আর এলোমেলো পায়ে এই যাদুর শহরে আমি এদিক সেদিক ছুটলাম কিছুদিন। কোনো কিছুরই কুল কিনারা পাচ্ছিলাম না। এতটাই আপসেট ও মরিয়া হয়েছিলাম যে, ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করব, অডিশনের ছবিগুলো দেখাব। কিন্তু উনার কাছে এই কাজে যাওয়া কতটা সঠিক হবে বুঝতে পারছিলাম না। প্রধানমন্ত্রীর একজন বিশেষ সহকারী, আমার শ্রদ্ধেয় সিনিয়র জানালেন, এই চলচ্চিত্রের পুরো দায়িত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে। তিনি ভালো মানুষ, সঠিক সাজেশন দিতে পারবেন। কলিজাভরা সাহস আর জেদ নিয়ে যোগাযোগ করলাম তাঁর সাথে। একগাদা অভিযোগ নিয়ে তাঁর সামনে হাজির হলাম। আমার অডিশনের ছবি দেখে তিনিও বিস্মিত হলেন। আমার সাথে ঘটে যাওয়া সবকিছুর জন্য সহমর্মিতা ও দুঃখ প্রকাশ করলেন। তিনি বললেন, তিনি অবশ্যই বিষয়টি দেখবেন। নেক্সট মিটিংয়ে আলোচনায় বিষয়টি তুলবেন।’
এরপর আরও একবার সিনেমাটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল জ্যোতিকা জ্যোতির সঙ্গে। কিন্তু সেবারও বাদ পড়েন তিনি। জ্যোতি লিখেছেন, ‘দুঃখ/মজার ব্যাপার হলো, এই সিনেমার শুটিং শুরুর ১৮ দিন আগে আবারও আমার সাথে যোগাযোগ করা হলো। আবারও সিলেক্ট করা হলো। ৩ দিন পর এগ্রিমেন্ট। ৫ দিন পর জানলাম, আমি আবারও বাদ।’
পরবর্তী সময়ে পরিচালক শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। তিনি লিখেছেন, ‘অডিশনের পর আবার দেখা হয়েছিল পরিচালক শ্যাম বেনেগালের সাথে, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১। দুইবার সিলেকশন থেকে বাদ পড়ার পরও তার অজানা কারণ আমাকে যন্ত্রণা দিচ্ছিল। সাহস করে বলেই ফেললাম তাঁকে, জানতে চাইলাম কারণ। উনি বললেন, আমি নাকি সে সময় অন্য প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম! মানে তাঁকে বলা হয়েছিল আর কি!’
২০০৬ সালে কবরী পরিচালিত ‘আয়না’ দিয়ে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন জ্যোতিকা জ্যোতি। এরপর অভিনয় করেছেন ‘নন্দিত নরকে’, ‘রাবেয়া’, ‘জীবনঢুলি’, ‘অনীল বাগচির একদিন’, ‘গ্রাস’, ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’, ‘মায়া দ্য লস্ট মাদার’, ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’সহ বেশকিছু সিনেমায়।
মুক্তির অপেক্ষায় আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’। ১৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে এ সিনেমার প্রথম পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, শিগগিরই সিনেমাটির মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে।
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পী। এ সিনেমায় বঙ্গমাতার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। কিন্তু ওই চরিত্রের জন্য চূড়ান্ত হয়েও দুইবার সিনেমাটি থেকে বাদ পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন জ্যোতি।
শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। জ্যোতিকা জ্যোতি লিখেছেন, ‘আমি আমার সাদৃশ্য খুঁজে পাই শেখ হাসিনা চরিত্রের সঙ্গে। গঠন এবং মানসিকতা—দুই দিক থেকেই। আমার স্ট্রাগল, এটিচ্যুড, নাক, হাসি যেন অনেকটাই মেলে। সেই প্রিপারেশন নিয়েই অডিশন দিতে গিয়েছিলাম শ্যাম বেনেগালের ‘‘মুজিব’’ প্রজেক্টে। সেদিন অডিশন নিয়েছিলেন এই সিনেমার কাস্টিং ডিরেক্টর আর এক টেবিল বাংলাদেশী নতুন-পুরোনো আমলা। কাস্টিং ডিরেক্টর আমাকে রেনু (বঙ্গমাতা) চরিত্রের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড় করালেন, পছন্দ করলেন। রাতে হোয়াটসআ্যাপে আরও কিছু ছবি চাইলেন। আমি সকালেই আমার এক ফটোগ্রাফার বন্ধুকে অনুরোধ করে বাসায় নিজেই রেডি হয়ে ছবি তুলে পাঠালাম। আমি জানলাম, ওনারা রেনুকে পেলেন। আবার অডিশনের ডাক পড়ল শ্যাম বেনেগালের সামনে। যদিও সেদিন অডিশনে না যাওয়ার জন্য কড়াভাবে আমাকে দুরে রাখা হয়েছিল অডিশনের বাংলাদেশি টেবিল থেকে। কিন্তু কাস্টিং ডিরেক্টর এবং ডিরেক্টর স্বয়ং যখন আমার নাম ধরে খুঁজছেন, তখন আমাকে জানানো হলো। এবং গিয়ে হাজির হলাম। সামনে পরিচালক শ্যাম বেনেগাল এবং এক টেবিল নতুন-পুরোনো বাংলাদেশি আমলা। ভারত টিম হাসিমুখে আমাকে টিকমার্ক দিলেও বাংলাদেশি টিমের মুখে সেই কলমের কালি যেন ছাই হয়ে উড়ে পড়ল! কিছুদিনের মধ্যেই আমি বাদ পড়লাম।’
এ ঘটনার পর মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। বিষয়টি নিয়ে তিনি নানা মহলে যোগাযোগও করেছেন। জ্যোতি লিখেছেন, ‘কান্নাভরা চোখ, রুদ্ধ গলা, কাঁপা কাঁপা বুক আর এলোমেলো পায়ে এই যাদুর শহরে আমি এদিক সেদিক ছুটলাম কিছুদিন। কোনো কিছুরই কুল কিনারা পাচ্ছিলাম না। এতটাই আপসেট ও মরিয়া হয়েছিলাম যে, ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করব, অডিশনের ছবিগুলো দেখাব। কিন্তু উনার কাছে এই কাজে যাওয়া কতটা সঠিক হবে বুঝতে পারছিলাম না। প্রধানমন্ত্রীর একজন বিশেষ সহকারী, আমার শ্রদ্ধেয় সিনিয়র জানালেন, এই চলচ্চিত্রের পুরো দায়িত্বে আছেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে। তিনি ভালো মানুষ, সঠিক সাজেশন দিতে পারবেন। কলিজাভরা সাহস আর জেদ নিয়ে যোগাযোগ করলাম তাঁর সাথে। একগাদা অভিযোগ নিয়ে তাঁর সামনে হাজির হলাম। আমার অডিশনের ছবি দেখে তিনিও বিস্মিত হলেন। আমার সাথে ঘটে যাওয়া সবকিছুর জন্য সহমর্মিতা ও দুঃখ প্রকাশ করলেন। তিনি বললেন, তিনি অবশ্যই বিষয়টি দেখবেন। নেক্সট মিটিংয়ে আলোচনায় বিষয়টি তুলবেন।’
এরপর আরও একবার সিনেমাটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল জ্যোতিকা জ্যোতির সঙ্গে। কিন্তু সেবারও বাদ পড়েন তিনি। জ্যোতি লিখেছেন, ‘দুঃখ/মজার ব্যাপার হলো, এই সিনেমার শুটিং শুরুর ১৮ দিন আগে আবারও আমার সাথে যোগাযোগ করা হলো। আবারও সিলেক্ট করা হলো। ৩ দিন পর এগ্রিমেন্ট। ৫ দিন পর জানলাম, আমি আবারও বাদ।’
পরবর্তী সময়ে পরিচালক শ্যাম বেনেগালের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন জ্যোতিকা জ্যোতি। তিনি লিখেছেন, ‘অডিশনের পর আবার দেখা হয়েছিল পরিচালক শ্যাম বেনেগালের সাথে, ১৬ ডিসেম্বর ২০২১। দুইবার সিলেকশন থেকে বাদ পড়ার পরও তার অজানা কারণ আমাকে যন্ত্রণা দিচ্ছিল। সাহস করে বলেই ফেললাম তাঁকে, জানতে চাইলাম কারণ। উনি বললেন, আমি নাকি সে সময় অন্য প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম! মানে তাঁকে বলা হয়েছিল আর কি!’
২০০৬ সালে কবরী পরিচালিত ‘আয়না’ দিয়ে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন জ্যোতিকা জ্যোতি। এরপর অভিনয় করেছেন ‘নন্দিত নরকে’, ‘রাবেয়া’, ‘জীবনঢুলি’, ‘অনীল বাগচির একদিন’, ‘গ্রাস’, ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’, ‘মায়া দ্য লস্ট মাদার’, ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’সহ বেশকিছু সিনেমায়।
ভৌতিক গল্পের প্রতি আলাদা টান রয়েছে অর্থহীন ব্যান্ডের সাইদুস সালেহীন সুমন ও ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর। দুই বন্ধু মিলে দেখেছেন অনেক হরর সিনেমা। ভৌতিক গল্পের সন্ধানে ছুটে গেছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
১২ আগস্ট ২০২৫আবুল হায়াত ও দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নাটক ‘বেলা ও বিকেল’। এতে তাঁরা দুজন অভিনয় করেছেন নামভূমিকায়। আবুল হায়াত অভিনয় করেছেন বিকেল চরিত্রে এবং দিলারা জামান বেলার ভূমিকায়।
১২ আগস্ট ২০২৫তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার একমাত্র কন্যা আইরা তেহরীম খান। মা-বাবার মতো আইরাও নাম লেখালেন শোবিজে। শুরু হলো বিজ্ঞাপন দিয়ে। প্রথম কাজে আইরা সঙ্গে পেয়েছে মা মিথিলাকে। গত শনিবার প্রকাশ্যে এসেছে বিজ্ঞাপনটি।
১২ আগস্ট ২০২৫১৮ আগস্ট নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের ৭৬তম জন্মজয়ন্তী। এ উপলক্ষে চার দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা থিয়েটার। ১৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে শুরু হবে উৎসব, চলবে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। উৎসবে প্রদর্শিত হবে সেলিম আল দীনের দুটি নাটক ‘দেয়াল’ ও ‘নিমজ্জন’।
১২ আগস্ট ২০২৫