গত ঈদুল আজহায় রায়হান রাফীর ‘তুফান’ সিনেমা দিয়ে দীর্ঘ আট বছর বড় পর্দায় ফিরেছেন মাসুমা রহমান নাবিলা। সিনেমায় ব্যস্ত থাকায় উপস্থাপনা থেকে দূরে ছিলেন তিনি। রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান দিয়ে আবারও উপস্থাপনায় ফিরছেন নাবিলা। ১ নভেম্বর থেকে নাবিলার উপস্থাপনায় মাছরাঙা টেলিভিশনে শুরু হচ্ছে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘রাঁধুনীর রান্নাঘর: বাংলার সেরা ১০০ রেসিপি’। উপস্থাপনায় এই কামব্যাক-টা গ্র্যান্ড হবে তো? কি ভাবছেন নাবিলা? শুনে নেওয়া যাক তাঁর কাছ থেকেই।
‘রাঁধুনীর রান্নাঘর: বাংলার সেরা ১০০ রেসিপি’ অনুষ্ঠান দিয়ে দীর্ঘদিন পর উপস্থাপনায় ফিরলেন। মাঝে এই বিরতির কী কারণ?
অনেকদিন পর উপস্থাপনা করছি। মাঝে ব্যক্তিগত ব্যস্ততা, চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের ব্যস্ততা মিলিয়ে উপস্থাপনাটা করা হচ্ছিলো না। এবার উপস্থাপনায় ফিরতে পেরে খুব খুশি। এই কাজটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি।
বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করলেও রান্নার অনুষ্ঠানেই বেশি দেখা যায় আপনাকে। এর পেছনে কোনো কারণ আছে?
উপস্থাপনায় ফেরাটাকে রিমার্কেবল করতে চেয়েছিলাম। তাই একটু অন্যরকমভাবেই ফিরলাম। তবে, এই নাবিলা কিন্তু আগের নাবিলা না, পুরোই ডিফরেন্ট।
তাহলে রান্নার অনুষ্ঠানেও নিশ্চয়ই ভিন্নতা থাকছে?
অবশ্যই ভিন্নতা থাকছে। কয়েকবছর আগে বাংলাদেশের নানা অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী রান্না নিয়ে ‘সেরা রাঁধুনী’-র প্রতিযোগীদের ১০০ রেসিপি দিয়ে একটি বই প্রকাশ করা হয়। সেই বইয়ের রেসিপিগুলোরই ডিজিটাল ভার্শন এই কুকিং শো। বইয়ের আমেজ আলাদা, তবে যুগের চাহিদা অনুযায়ী ডিজিটাল ফরম্যাটেও রেসিপিগুলো রাখা জরুরি। যারা বইটিতে রেসিপি দিয়েছিলেন, মোটামুটিভাবে তারাই এই রেসিপিগুলো রান্না করে দেখিয়েছেন। আমাদের এখানে কিন্তু রেসিপি বুক-ভিত্তিক কুকিং শো তেমন একটা দেখা যায় না, বাইরের দেশে অহরহ হয়।
অনুষ্ঠানটি আমাদের রান্নার জগতে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে?
দেশে ও দেশের বাইরে যারা বাংলাদেশি রান্না এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী স্বাদের ব্যাপারে আগ্রহী, তারা অনেক উপকৃত হবেন অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে। আমাদের রেসিপিগুলোর মধ্যে প্রচলিত খাবারের রেসিপি যেমন আছে, তেমনই এমন খাবারের রেসিপিও আছে যেগুলো প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। তাই শুধু আমাদের দেশেই না, পুরো বিশ্বেই আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ ছড়িয়ে দিতে কিছুটা হলেও এই অনুষ্ঠানটি ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করতে গিয়ে বাংলার খাবার নিয়ে নতুন কোনো অভিজ্ঞতা হয়েছে?
পুরো বিষয়টি বেশ ইন্টারেস্টিং। কোভিডের সময় সবাই যখন ঘরে বন্দি, তখন রাঁধুনীর পক্ষ থেকে সেরা রাঁধুনীর ১৭ জন প্রতিযোগীর কাছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু রেসিপি চাওয়া হয়। উনাদের সঙ্গে গল্পচ্ছলে শুনেছি, সেই হতাশার সময়ে এই কাজটা তাঁদের আলাদা মোটিভেশন দিয়েছে। তাদের কাজের মধ্যে, রেসিপিগুলোর মধ্যে সেই উদ্যমটা দেখেছি। বাংলাদেশের রান্না, বাংলার স্বাদ নিয়ে কাজ করতে তাদের এই স্পৃহা, সদিচ্ছা, ডেডিকেশন, যেটাই বলি—এগুলো আমাকে আমাদের রান্নার প্রতি আরো আগ্রহী করে তুলেছে। বাংলাদেশি খাবারের যে এতো বৈচিত্র্য রয়েছে তাও নতুনভাবে জানলাম।
এই অনুষ্ঠানে রান্না নিয়ে নতুন কী শিখলেন?
প্রতি এপিসোডেই কম-বেশি কিছু না কিছু শিখেছি। আমাদের নানা অঞ্চলের খাবারের মজাটাই এমন যে, অঞ্চলভেদে একই রান্নার রেসিপি-স্বাদ বদলে যায়। এই বৈচিত্র্যের অনেক কিছুই শিখেছি। যে ১৭ জন রাঁধুনী এসেছিলেন, একেক দিন একেকজনের কাছ থেকে টিপস নিয়েছি।
এই অনুষ্ঠানের শুটিংয়ে মজার অভিজ্ঞতা বা প্রিয় কোনো মুহূর্তর কথা জানতে চাই।
আমি খুব ফুডি। তাই এই অনুষ্ঠানে আমার সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত ছিল খাবারের স্বাদ নেওয়ার সেগমেন্টটা। আরেকটা সিক্রেট শেয়ার করি, আমার কিন্তু শুটিংয়ের খাবার বলতে গেলে খাওয়াই হতো না। সবসময় রাঁধুনীরা যা রান্না করতেন, সেই ডিশগুলোই মজা করে খেতাম। আবার অনেক সময় বাসায় হাজবেন্ডের জন্যেও জোর করে খাবার প্যাক করে দিত।
আপনার কাছে কোন রেসেপিটি সেরা মনে হয়েছে?
সবগুলোই সেরা। কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলব? এই মুহূর্তে মনে পড়ছে যে রেসিপিটি দিয়ে শুটিং শুরু করেছিলাম তার নাম। বুটের ডাল দিয়ে গরুর মাংস। সঙ্গে ছিলো পাঁচফোড়ন দেওয়া ভুনা খিচুড়ি। এখনও জিভে স্বাদ লেগে আছে।
আপনার রান্না করা সেরা রেসেপি কোনটি?
বিয়ের পর শশুড়বাড়িতে আসা গেস্টদের জন্য প্রথম বানিয়েছিলাম শাহি টুকরা। ইফতার আইটেম ছিলো সেটি। সবাই খুব প্রশংসা করেছিল। আর আমার মেয়ে আমার বানানো পাস্তার বিশাল ভক্ত। আমি একটা ব্রেড পিজা করি, সেটাও খুব পছন্দ করে সে।
গত ঈদুল আজহায় রায়হান রাফীর ‘তুফান’ সিনেমা দিয়ে দীর্ঘ আট বছর বড় পর্দায় ফিরেছেন মাসুমা রহমান নাবিলা। সিনেমায় ব্যস্ত থাকায় উপস্থাপনা থেকে দূরে ছিলেন তিনি। রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান দিয়ে আবারও উপস্থাপনায় ফিরছেন নাবিলা। ১ নভেম্বর থেকে নাবিলার উপস্থাপনায় মাছরাঙা টেলিভিশনে শুরু হচ্ছে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘রাঁধুনীর রান্নাঘর: বাংলার সেরা ১০০ রেসিপি’। উপস্থাপনায় এই কামব্যাক-টা গ্র্যান্ড হবে তো? কি ভাবছেন নাবিলা? শুনে নেওয়া যাক তাঁর কাছ থেকেই।
‘রাঁধুনীর রান্নাঘর: বাংলার সেরা ১০০ রেসিপি’ অনুষ্ঠান দিয়ে দীর্ঘদিন পর উপস্থাপনায় ফিরলেন। মাঝে এই বিরতির কী কারণ?
অনেকদিন পর উপস্থাপনা করছি। মাঝে ব্যক্তিগত ব্যস্ততা, চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের ব্যস্ততা মিলিয়ে উপস্থাপনাটা করা হচ্ছিলো না। এবার উপস্থাপনায় ফিরতে পেরে খুব খুশি। এই কাজটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি।
বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করলেও রান্নার অনুষ্ঠানেই বেশি দেখা যায় আপনাকে। এর পেছনে কোনো কারণ আছে?
উপস্থাপনায় ফেরাটাকে রিমার্কেবল করতে চেয়েছিলাম। তাই একটু অন্যরকমভাবেই ফিরলাম। তবে, এই নাবিলা কিন্তু আগের নাবিলা না, পুরোই ডিফরেন্ট।
তাহলে রান্নার অনুষ্ঠানেও নিশ্চয়ই ভিন্নতা থাকছে?
অবশ্যই ভিন্নতা থাকছে। কয়েকবছর আগে বাংলাদেশের নানা অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী রান্না নিয়ে ‘সেরা রাঁধুনী’-র প্রতিযোগীদের ১০০ রেসিপি দিয়ে একটি বই প্রকাশ করা হয়। সেই বইয়ের রেসিপিগুলোরই ডিজিটাল ভার্শন এই কুকিং শো। বইয়ের আমেজ আলাদা, তবে যুগের চাহিদা অনুযায়ী ডিজিটাল ফরম্যাটেও রেসিপিগুলো রাখা জরুরি। যারা বইটিতে রেসিপি দিয়েছিলেন, মোটামুটিভাবে তারাই এই রেসিপিগুলো রান্না করে দেখিয়েছেন। আমাদের এখানে কিন্তু রেসিপি বুক-ভিত্তিক কুকিং শো তেমন একটা দেখা যায় না, বাইরের দেশে অহরহ হয়।
অনুষ্ঠানটি আমাদের রান্নার জগতে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে?
দেশে ও দেশের বাইরে যারা বাংলাদেশি রান্না এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী স্বাদের ব্যাপারে আগ্রহী, তারা অনেক উপকৃত হবেন অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে। আমাদের রেসিপিগুলোর মধ্যে প্রচলিত খাবারের রেসিপি যেমন আছে, তেমনই এমন খাবারের রেসিপিও আছে যেগুলো প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। তাই শুধু আমাদের দেশেই না, পুরো বিশ্বেই আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ ছড়িয়ে দিতে কিছুটা হলেও এই অনুষ্ঠানটি ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করতে গিয়ে বাংলার খাবার নিয়ে নতুন কোনো অভিজ্ঞতা হয়েছে?
পুরো বিষয়টি বেশ ইন্টারেস্টিং। কোভিডের সময় সবাই যখন ঘরে বন্দি, তখন রাঁধুনীর পক্ষ থেকে সেরা রাঁধুনীর ১৭ জন প্রতিযোগীর কাছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কিছু রেসিপি চাওয়া হয়। উনাদের সঙ্গে গল্পচ্ছলে শুনেছি, সেই হতাশার সময়ে এই কাজটা তাঁদের আলাদা মোটিভেশন দিয়েছে। তাদের কাজের মধ্যে, রেসিপিগুলোর মধ্যে সেই উদ্যমটা দেখেছি। বাংলাদেশের রান্না, বাংলার স্বাদ নিয়ে কাজ করতে তাদের এই স্পৃহা, সদিচ্ছা, ডেডিকেশন, যেটাই বলি—এগুলো আমাকে আমাদের রান্নার প্রতি আরো আগ্রহী করে তুলেছে। বাংলাদেশি খাবারের যে এতো বৈচিত্র্য রয়েছে তাও নতুনভাবে জানলাম।
এই অনুষ্ঠানে রান্না নিয়ে নতুন কী শিখলেন?
প্রতি এপিসোডেই কম-বেশি কিছু না কিছু শিখেছি। আমাদের নানা অঞ্চলের খাবারের মজাটাই এমন যে, অঞ্চলভেদে একই রান্নার রেসিপি-স্বাদ বদলে যায়। এই বৈচিত্র্যের অনেক কিছুই শিখেছি। যে ১৭ জন রাঁধুনী এসেছিলেন, একেক দিন একেকজনের কাছ থেকে টিপস নিয়েছি।
এই অনুষ্ঠানের শুটিংয়ে মজার অভিজ্ঞতা বা প্রিয় কোনো মুহূর্তর কথা জানতে চাই।
আমি খুব ফুডি। তাই এই অনুষ্ঠানে আমার সবচেয়ে প্রিয় মুহূর্ত ছিল খাবারের স্বাদ নেওয়ার সেগমেন্টটা। আরেকটা সিক্রেট শেয়ার করি, আমার কিন্তু শুটিংয়ের খাবার বলতে গেলে খাওয়াই হতো না। সবসময় রাঁধুনীরা যা রান্না করতেন, সেই ডিশগুলোই মজা করে খেতাম। আবার অনেক সময় বাসায় হাজবেন্ডের জন্যেও জোর করে খাবার প্যাক করে দিত।
আপনার কাছে কোন রেসেপিটি সেরা মনে হয়েছে?
সবগুলোই সেরা। কোনটা ছেড়ে কোনটার কথা বলব? এই মুহূর্তে মনে পড়ছে যে রেসিপিটি দিয়ে শুটিং শুরু করেছিলাম তার নাম। বুটের ডাল দিয়ে গরুর মাংস। সঙ্গে ছিলো পাঁচফোড়ন দেওয়া ভুনা খিচুড়ি। এখনও জিভে স্বাদ লেগে আছে।
আপনার রান্না করা সেরা রেসেপি কোনটি?
বিয়ের পর শশুড়বাড়িতে আসা গেস্টদের জন্য প্রথম বানিয়েছিলাম শাহি টুকরা। ইফতার আইটেম ছিলো সেটি। সবাই খুব প্রশংসা করেছিল। আর আমার মেয়ে আমার বানানো পাস্তার বিশাল ভক্ত। আমি একটা ব্রেড পিজা করি, সেটাও খুব পছন্দ করে সে।
ভৌতিক গল্পের প্রতি আলাদা টান রয়েছে অর্থহীন ব্যান্ডের সাইদুস সালেহীন সুমন ও ক্রিপটিক ফেইটের শাকিব চৌধুরীর। দুই বন্ধু মিলে দেখেছেন অনেক হরর সিনেমা। ভৌতিক গল্পের সন্ধানে ছুটে গেছেন দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
১২ আগস্ট ২০২৫আবুল হায়াত ও দিলারা জামানকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নাটক ‘বেলা ও বিকেল’। এতে তাঁরা দুজন অভিনয় করেছেন নামভূমিকায়। আবুল হায়াত অভিনয় করেছেন বিকেল চরিত্রে এবং দিলারা জামান বেলার ভূমিকায়।
১২ আগস্ট ২০২৫তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার একমাত্র কন্যা আইরা তেহরীম খান। মা-বাবার মতো আইরাও নাম লেখালেন শোবিজে। শুরু হলো বিজ্ঞাপন দিয়ে। প্রথম কাজে আইরা সঙ্গে পেয়েছে মা মিথিলাকে। গত শনিবার প্রকাশ্যে এসেছে বিজ্ঞাপনটি।
১২ আগস্ট ২০২৫১৮ আগস্ট নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের ৭৬তম জন্মজয়ন্তী। এ উপলক্ষে চার দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা থিয়েটার। ১৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে শুরু হবে উৎসব, চলবে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। উৎসবে প্রদর্শিত হবে সেলিম আল দীনের দুটি নাটক ‘দেয়াল’ ও ‘নিমজ্জন’।
১২ আগস্ট ২০২৫