সাকিব ইবনে রশিদ ঋভু
আমাদের এখানে ভর্তি হতে গেলে আইইএলটিএসে ৬ দশমিক ৫ স্কোর থাকতে হয়। আর রাইটিং, স্পোকেন, লিসেনিং প্রতিটিতে ৬ স্কোর পেতে হবে। উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট আর আইইএলটিএসের ৬ দশমিক ৫ স্কোরটুকুই যথেষ্ট কলেজ অব দ্য নর্থ আটলান্টিকে ভর্তি হওয়ার জন্য। আমি এখানে ভর্তি হয়েছিলাম সাংবাদিকতা বিভাগে। তবে এখানে আসার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগেও ভর্তি হয়েছিলাম। সেটা শেষ না করেই কানাডায় পড়তে চলে আসি।
ইংরেজি ভাষা নিয়ে তেমন সমস্যা না থাকলেও সাংবাদিকতা পড়তে গিয়ে আমি শুরুতেই বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ি। অদ্ভুত হলেও সত্য, দেশের শেখা ইংরেজি আর এখানকার ইংরেজিচর্চা পুরোটাই আলাদা। বাংলাদেশে ইংরেজিতে বড় ও কঠিন বাক্য লেখাটাকে দক্ষতা মনে করা হয়। কিন্তু এখানে দেখলাম পত্রিকা বা টেলিভিশন উভয় জায়গায় সাংবাদিকতা করতে হয় এমন ভাষায়, যেন সেটা ক্লাস এইটে পড়ুয়া মানুষও বুঝতে পারে। শুনলে অবাক হবেন, কানাডায় আমার শিক্ষকেরা বাংলাদেশের ইংরেজি সংবাদপত্র পড়ে বলেন, ‘তোমাদের ওখানে এত কঠিন ইংরেজিতে খবর লেখে কেন!’
আরেকটা চ্যালেঞ্জ ছিল সংবাদ সংস্কৃতির ক্ষেত্রে। কারণ, বাংলাদেশের খবরগুলো হয় প্রচুর অপরাধ ও রাজনীতিকেন্দ্রিক। কিন্তু কানাডার সংবাদচর্চার সংস্কৃতি একদমই আলাদা। তাদের সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠা আর বাংলাদেশের সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠা দেখলেই ফারাকটা ধরতে পারা যায়। তবে কানাডায় আসলে সাংবাদিকতা বিভাগ নিয়ে অনেক বেশি আগ্রহ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা যায় না, অন্তত আমি তাই দেখেছি।
প্রথম সেমিস্টার থেকেই আমরা মাঠে নেমে গিয়েছিলাম; অর্থাৎ শ্রেণিকক্ষে বসে পড়ার চিরায়ত নিয়মে আটকে না থেকে প্রচুর প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করেছি। নিজেরাই অডিও স্টোরি তৈরি করেছি, ব্রডকাস্টিং জার্নালিজম শিখেছি।
বিদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে আমি অনেক বেশি আন্তরিকতা পেয়েছি। তবে একটা বিষয় উল্লেখ করা দরকার যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের এখানে টিকে থাকতে হলে একটা চাকরি করা খুব প্রয়োজন। সবার আর্থিক অবস্থা তো আর সমান হয় না। কিন্তু কানাডার চাকরির সংস্কৃতিটা আমাদের মতো বিদেশি শিক্ষার্থীবান্ধব নয়। বেশ কিছু ধাপ পার হয়ে একটা চাকরি পেতে হয়। আবার সেটা শিক্ষার্থী হয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি করাটা একটু কঠিন। তবে কানাডায় আমি বেশ আন্তরিকতা পেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে।
আমার ভালো লাগে সাংবাদিকতা পড়তে এবং সাংবাদিকতা করতে। আমি শিক্ষার্থী থাকা অবস্থাতেই কানাডার জাতীয় পর্যায়ের টেলিভিশন সিবিসিতে কাজ করতে শুরু করেছি। এটা আমার জন্য আনন্দের। এর চেয়ে বড় কথা, আমি একজন বিদেশি শিক্ষার্থী হয়েও ভিডিও ডকুমেন্টারির জন্য বেস্ট স্টুডেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। নিঃসন্দেহে এটা আমার জন্য বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।
সাকিব ইবনে রশিদ ঋভু, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা বিভাগ কলেজ অব দ্য নর্থ আটলান্টিক, কানাডা
আমাদের এখানে ভর্তি হতে গেলে আইইএলটিএসে ৬ দশমিক ৫ স্কোর থাকতে হয়। আর রাইটিং, স্পোকেন, লিসেনিং প্রতিটিতে ৬ স্কোর পেতে হবে। উচ্চমাধ্যমিকের মার্কশিট আর আইইএলটিএসের ৬ দশমিক ৫ স্কোরটুকুই যথেষ্ট কলেজ অব দ্য নর্থ আটলান্টিকে ভর্তি হওয়ার জন্য। আমি এখানে ভর্তি হয়েছিলাম সাংবাদিকতা বিভাগে। তবে এখানে আসার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগেও ভর্তি হয়েছিলাম। সেটা শেষ না করেই কানাডায় পড়তে চলে আসি।
ইংরেজি ভাষা নিয়ে তেমন সমস্যা না থাকলেও সাংবাদিকতা পড়তে গিয়ে আমি শুরুতেই বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ি। অদ্ভুত হলেও সত্য, দেশের শেখা ইংরেজি আর এখানকার ইংরেজিচর্চা পুরোটাই আলাদা। বাংলাদেশে ইংরেজিতে বড় ও কঠিন বাক্য লেখাটাকে দক্ষতা মনে করা হয়। কিন্তু এখানে দেখলাম পত্রিকা বা টেলিভিশন উভয় জায়গায় সাংবাদিকতা করতে হয় এমন ভাষায়, যেন সেটা ক্লাস এইটে পড়ুয়া মানুষও বুঝতে পারে। শুনলে অবাক হবেন, কানাডায় আমার শিক্ষকেরা বাংলাদেশের ইংরেজি সংবাদপত্র পড়ে বলেন, ‘তোমাদের ওখানে এত কঠিন ইংরেজিতে খবর লেখে কেন!’
আরেকটা চ্যালেঞ্জ ছিল সংবাদ সংস্কৃতির ক্ষেত্রে। কারণ, বাংলাদেশের খবরগুলো হয় প্রচুর অপরাধ ও রাজনীতিকেন্দ্রিক। কিন্তু কানাডার সংবাদচর্চার সংস্কৃতি একদমই আলাদা। তাদের সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠা আর বাংলাদেশের সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠা দেখলেই ফারাকটা ধরতে পারা যায়। তবে কানাডায় আসলে সাংবাদিকতা বিভাগ নিয়ে অনেক বেশি আগ্রহ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা যায় না, অন্তত আমি তাই দেখেছি।
প্রথম সেমিস্টার থেকেই আমরা মাঠে নেমে গিয়েছিলাম; অর্থাৎ শ্রেণিকক্ষে বসে পড়ার চিরায়ত নিয়মে আটকে না থেকে প্রচুর প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস করেছি। নিজেরাই অডিও স্টোরি তৈরি করেছি, ব্রডকাস্টিং জার্নালিজম শিখেছি।
বিদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে আমি অনেক বেশি আন্তরিকতা পেয়েছি। তবে একটা বিষয় উল্লেখ করা দরকার যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের এখানে টিকে থাকতে হলে একটা চাকরি করা খুব প্রয়োজন। সবার আর্থিক অবস্থা তো আর সমান হয় না। কিন্তু কানাডার চাকরির সংস্কৃতিটা আমাদের মতো বিদেশি শিক্ষার্থীবান্ধব নয়। বেশ কিছু ধাপ পার হয়ে একটা চাকরি পেতে হয়। আবার সেটা শিক্ষার্থী হয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি করাটা একটু কঠিন। তবে কানাডায় আমি বেশ আন্তরিকতা পেয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষার্থীর কাছ থেকে।
আমার ভালো লাগে সাংবাদিকতা পড়তে এবং সাংবাদিকতা করতে। আমি শিক্ষার্থী থাকা অবস্থাতেই কানাডার জাতীয় পর্যায়ের টেলিভিশন সিবিসিতে কাজ করতে শুরু করেছি। এটা আমার জন্য আনন্দের। এর চেয়ে বড় কথা, আমি একজন বিদেশি শিক্ষার্থী হয়েও ভিডিও ডকুমেন্টারির জন্য বেস্ট স্টুডেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। নিঃসন্দেহে এটা আমার জন্য বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে।
সাকিব ইবনে রশিদ ঋভু, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা বিভাগ কলেজ অব দ্য নর্থ আটলান্টিক, কানাডা
ব্যবসায় শিক্ষার ওপর দেশের অন্যতম বড় প্রতিযোগিতা ও উৎসব ১০ম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) মার্কেটিং ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
১২ আগস্ট ২০২৫বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী রচনা ‘সুলতানার স্বপ্ন’ ইউনেসকোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডে’ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করেছে। রোববার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠি
১২ আগস্ট ২০২৫আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্যভাবে সফলতা অর্জনকারী ‘ইউআইইউ মার্স রোভার’, ‘ইউআইইউ অ্যাসেন্ড’ এবং ‘ইউআইইউ মেরিনার’ টিমগুলোকে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ ফোরামের উদ্যোগে এবং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড স্টুডেন্ট অ্
১২ আগস্ট ২০২৫বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। দেশের বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে সিপিডিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। এজন্য তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত
১২ আগস্ট ২০২৫