সুদীপ চাকমা
জন্মের পর ভুল চিকিৎসায় হারিয়েছেন শ্রবণশক্তি। এখন কানে মেশিন লাগিয়ে কোনোরকমে কথা শুনলেও বলতে পারেন না ঠিকমতো। কিন্তু এসব শারীরিক সমস্যা কোনো বাধাই হতে পারেনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসের জীবনে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে চালিয়ে যাচ্ছেন পড়াশোনা। স্বপ্ন—স্নাতক শেষ করা। পাশাপাশি কাজ করতে চান প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে।
জান্নাতুল স্পষ্টভাবে কথা বলতে না পারায় যোগাযোগ করেন মোবাইল ফোনে লিখে। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে। বাবা মো. সহিদুল ইসলাম চাকরিজীবী। মা খাদিজা আক্তারও শিক্ষক। পরিবারের তিন বোনের মধ্যে সবার বড় জান্নাতুল। তিনি জিপিএ-৫ পেয়ে পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেন। কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.৩৩ পেয়ে এইচএসসি সম্পন্ন করেন।
জান্নাতুলের স্বপ্ন ছিল মেডিকেলে পড়া। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় ৭৫.২৫ নম্বর পেয়ে বেসরকারি এক ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু শ্রবণপ্রতিবন্ধী হওয়ায় পড়াশোনা শেষ করা সম্ভব হয়নি। একই শিক্ষাবর্ষে তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে হন ৩৫০তম। পরে সেখানেই ভর্তি হন।
শুধু যে শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁকে কষ্ট করতে হয়, তা-ই নয়। তিনি একজন মা, সিঙ্গেল মাদার। বিয়ের পরপরই তাঁর কোলজুড়ে আসে পুত্রসন্তান, তখন তিনি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাই সে বছর নিয়মিত পড়াশোনায় ছেদ পড়ে। এখন সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকেন। সন্তান কিছুটা বড় হলে পুনরায় লেখাপড়া শুরু করেন।
কীভাবে সামলাচ্ছেন সবকিছু? জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে লেখেন, ‘জন্মের সময় আমার কানের পর্দা নষ্ট হয়। এ জন্য দুই কানে শুনি না। ৬ বছর বয়সে কানে মেশিন ব্যবহার শুরু করি এবং অস্পষ্ট করে কথাও বলা শুরু করি। পড়াশোনায় হাতেখড়ি মা-বাবার হাত ধরে। এখন পর্যন্ত সবকিছু পরিবার, বান্ধবী ও ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় সামলাচ্ছি। অনেক সময় মনে হয় ভার্সিটি ছেড়ে দিই।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো শিক্ষাক্ষেত্রকে সর্বজনীন করতে পারিনি। বিশেষ করে দৃষ্টি কিংবা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা যাদের আছে, যারা পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা যাদের রয়েছে, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তাদের নির্দিষ্ট কোনো পড়াশোনার পদ্ধতি না থাকায় দু-একজন ছাড়া মেধা থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে না। সে জন্য আমাদের চোখ কান খোলা রাখতে হবে এবং আমরা সব সময়ই চেষ্টা করব তাদের সম্মান রক্ষা করে সহযোগিতা করার।’
জন্মের পর ভুল চিকিৎসায় হারিয়েছেন শ্রবণশক্তি। এখন কানে মেশিন লাগিয়ে কোনোরকমে কথা শুনলেও বলতে পারেন না ঠিকমতো। কিন্তু এসব শারীরিক সমস্যা কোনো বাধাই হতে পারেনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসের জীবনে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে চালিয়ে যাচ্ছেন পড়াশোনা। স্বপ্ন—স্নাতক শেষ করা। পাশাপাশি কাজ করতে চান প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে।
জান্নাতুল স্পষ্টভাবে কথা বলতে না পারায় যোগাযোগ করেন মোবাইল ফোনে লিখে। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে। বাবা মো. সহিদুল ইসলাম চাকরিজীবী। মা খাদিজা আক্তারও শিক্ষক। পরিবারের তিন বোনের মধ্যে সবার বড় জান্নাতুল। তিনি জিপিএ-৫ পেয়ে পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেন। কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৪.৩৩ পেয়ে এইচএসসি সম্পন্ন করেন।
জান্নাতুলের স্বপ্ন ছিল মেডিকেলে পড়া। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় ৭৫.২৫ নম্বর পেয়ে বেসরকারি এক ডেন্টাল কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু শ্রবণপ্রতিবন্ধী হওয়ায় পড়াশোনা শেষ করা সম্ভব হয়নি। একই শিক্ষাবর্ষে তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে হন ৩৫০তম। পরে সেখানেই ভর্তি হন।
শুধু যে শিক্ষার্থী হিসেবে তাঁকে কষ্ট করতে হয়, তা-ই নয়। তিনি একজন মা, সিঙ্গেল মাদার। বিয়ের পরপরই তাঁর কোলজুড়ে আসে পুত্রসন্তান, তখন তিনি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাই সে বছর নিয়মিত পড়াশোনায় ছেদ পড়ে। এখন সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকেন। সন্তান কিছুটা বড় হলে পুনরায় লেখাপড়া শুরু করেন।
কীভাবে সামলাচ্ছেন সবকিছু? জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে লেখেন, ‘জন্মের সময় আমার কানের পর্দা নষ্ট হয়। এ জন্য দুই কানে শুনি না। ৬ বছর বয়সে কানে মেশিন ব্যবহার শুরু করি এবং অস্পষ্ট করে কথাও বলা শুরু করি। পড়াশোনায় হাতেখড়ি মা-বাবার হাত ধরে। এখন পর্যন্ত সবকিছু পরিবার, বান্ধবী ও ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় সামলাচ্ছি। অনেক সময় মনে হয় ভার্সিটি ছেড়ে দিই।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো শিক্ষাক্ষেত্রকে সর্বজনীন করতে পারিনি। বিশেষ করে দৃষ্টি কিংবা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিতা যাদের আছে, যারা পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা যাদের রয়েছে, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তাদের নির্দিষ্ট কোনো পড়াশোনার পদ্ধতি না থাকায় দু-একজন ছাড়া মেধা থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে না। সে জন্য আমাদের চোখ কান খোলা রাখতে হবে এবং আমরা সব সময়ই চেষ্টা করব তাদের সম্মান রক্ষা করে সহযোগিতা করার।’
ব্যবসায় শিক্ষার ওপর দেশের অন্যতম বড় প্রতিযোগিতা ও উৎসব ১০ম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) মার্কেটিং ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
১২ আগস্ট ২০২৫বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী রচনা ‘সুলতানার স্বপ্ন’ ইউনেসকোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডে’ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করেছে। রোববার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠি
১২ আগস্ট ২০২৫আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্যভাবে সফলতা অর্জনকারী ‘ইউআইইউ মার্স রোভার’, ‘ইউআইইউ অ্যাসেন্ড’ এবং ‘ইউআইইউ মেরিনার’ টিমগুলোকে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ ফোরামের উদ্যোগে এবং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড স্টুডেন্ট অ্
১২ আগস্ট ২০২৫বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। দেশের বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে সিপিডিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। এজন্য তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত
১২ আগস্ট ২০২৫