হুমাইরা খানম জেরীন
দেশের অন্যতম পুরোনো এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কলেজ। ঢাকা কলেজের পর ১৮৬৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি কলেজটি ১৫৬ বছরে পদার্পণ করেছে।
শুরুর পথচলা
১৮৩৬ সালে চট্টগ্রাম জিলা স্কুল হিসেবে চট্টগ্রাম কলেজের যাত্রা শুরু হয়। ৩৩ বছর পর, ১৮৬৯ সালে এটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়ে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ বা চট্টগ্রাম কলেজ নামে পরিচিতি লাভ করে। কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন জে সি বোস। ১৯০৯ সালে এখানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয় এবং ১৯২৪ সালে অধ্যক্ষ শামসুল ওলামা কামালুদ্দিন আহমদ কলেজটির উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রাখেন।
অবকাঠামো এবং পরিবেশ
চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার এলাকায় ৬ একর জমির ওপর অবস্থিত চট্টগ্রাম কলেজে ১৬টি প্রাতিষ্ঠানিক এবং ৫টি আবাসিক ভবন রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক ভবনগুলো হলো প্রশাসনিক ভবন, রেড বিল্ডিং, ভূগোল ভবন, উদ্ভিদবিজ্ঞান ভবন, রসায়ন ও প্রাণিবিজ্ঞান ভবন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত ভবন, লাইব্রেরি ভবন, একাডেমিক ভবন ১, ২, ৩ অডিটরিয়াম ভবন। আবাসিক ভবনের মধ্যে রয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাস, শের-এ-বাংলা ছাত্রাবাস, ড. আব্দুস সবুর ছাত্রাবাস, খাদিজাতুল ক্বোবরা (রা.) ছাত্রীনিবাস এবং আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) ছাত্রীনিবাস।
গ্রন্থাগার
চট্টগ্রাম কলেজের গ্রন্থাগারটি শত বছরের ঐতিহ্য বহন করে। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় জন বানিয়ানের ‘পিলগ্রিমস প্রোগ্রেস’ বইয়ের একটি কপির মধ্য দিয়ে। বর্তমানে গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা অর্ধলাখের বেশি। এখানে সুপ্রশস্ত পাঠাগার এবং রেফারেন্স বিভাগ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য অত্যন্ত সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে।
শিক্ষা কার্যক্রম ও বিভাগ
বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগের পাশাপাশি স্নাতক পর্যায়ে ১৭টি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। বিভাগগুলো হলো কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ—বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান; বিজ্ঞান অনুষদ—পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিদ্যা।
সৃজনশীল সংগঠন ও ক্লাব
চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশে রয়েছে বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিএনসিসি (আর্মি এবং নেভি), রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, তথ্যপ্রযুক্তি ক্লাব, চট্টগ্রাম কলেজ ক্রিয়েটিভ ক্লাব, নাট্য ক্লাব ও পাঠকবন্ধু।
পরিচালনা ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা
বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর দক্ষ পরিচালনায় ১৬৯ জন শিক্ষায়তনিক ও ৪০০ জন প্রশাসনিক কর্মীর তত্ত্বাবধানে আনুমানিক ১৮ হাজার শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছে। চট্টগ্রাম কলেজের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ, ঢালু পথ ও চারপাশের গাছপালায় ঘেরা ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করেছে।
চট্টগ্রাম কলেজের দীর্ঘ সময়ের পথচলা ইতিহাস, শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংমিশ্রণ। ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠান দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দেশের অন্যতম পুরোনো এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কলেজ। ঢাকা কলেজের পর ১৮৬৯ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি কলেজটি ১৫৬ বছরে পদার্পণ করেছে।
শুরুর পথচলা
১৮৩৬ সালে চট্টগ্রাম জিলা স্কুল হিসেবে চট্টগ্রাম কলেজের যাত্রা শুরু হয়। ৩৩ বছর পর, ১৮৬৯ সালে এটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়ে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ বা চট্টগ্রাম কলেজ নামে পরিচিতি লাভ করে। কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন জে সি বোস। ১৯০৯ সালে এখানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয় এবং ১৯২৪ সালে অধ্যক্ষ শামসুল ওলামা কামালুদ্দিন আহমদ কলেজটির উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রাখেন।
অবকাঠামো এবং পরিবেশ
চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার এলাকায় ৬ একর জমির ওপর অবস্থিত চট্টগ্রাম কলেজে ১৬টি প্রাতিষ্ঠানিক এবং ৫টি আবাসিক ভবন রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক ভবনগুলো হলো প্রশাসনিক ভবন, রেড বিল্ডিং, ভূগোল ভবন, উদ্ভিদবিজ্ঞান ভবন, রসায়ন ও প্রাণিবিজ্ঞান ভবন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত ভবন, লাইব্রেরি ভবন, একাডেমিক ভবন ১, ২, ৩ অডিটরিয়াম ভবন। আবাসিক ভবনের মধ্যে রয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবাস, শের-এ-বাংলা ছাত্রাবাস, ড. আব্দুস সবুর ছাত্রাবাস, খাদিজাতুল ক্বোবরা (রা.) ছাত্রীনিবাস এবং আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) ছাত্রীনিবাস।
গ্রন্থাগার
চট্টগ্রাম কলেজের গ্রন্থাগারটি শত বছরের ঐতিহ্য বহন করে। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় জন বানিয়ানের ‘পিলগ্রিমস প্রোগ্রেস’ বইয়ের একটি কপির মধ্য দিয়ে। বর্তমানে গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা অর্ধলাখের বেশি। এখানে সুপ্রশস্ত পাঠাগার এবং রেফারেন্স বিভাগ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য অত্যন্ত সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে।
শিক্ষা কার্যক্রম ও বিভাগ
বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক ও বিজ্ঞান বিভাগের পাশাপাশি স্নাতক পর্যায়ে ১৭টি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। বিভাগগুলো হলো কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ—বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান; বিজ্ঞান অনুষদ—পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিদ্যা।
সৃজনশীল সংগঠন ও ক্লাব
চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার বিকাশে রয়েছে বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিএনসিসি (আর্মি এবং নেভি), রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, তথ্যপ্রযুক্তি ক্লাব, চট্টগ্রাম কলেজ ক্রিয়েটিভ ক্লাব, নাট্য ক্লাব ও পাঠকবন্ধু।
পরিচালনা ও শিক্ষার্থীর সংখ্যা
বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর দক্ষ পরিচালনায় ১৬৯ জন শিক্ষায়তনিক ও ৪০০ জন প্রশাসনিক কর্মীর তত্ত্বাবধানে আনুমানিক ১৮ হাজার শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছে। চট্টগ্রাম কলেজের মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ, ঢালু পথ ও চারপাশের গাছপালায় ঘেরা ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করেছে।
চট্টগ্রাম কলেজের দীর্ঘ সময়ের পথচলা ইতিহাস, শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংমিশ্রণ। ভবিষ্যতে এই প্রতিষ্ঠান দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ব্যবসায় শিক্ষার ওপর দেশের অন্যতম বড় প্রতিযোগিতা ও উৎসব ১০ম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) মার্কেটিং ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
২৫ দিন আগেবেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী রচনা ‘সুলতানার স্বপ্ন’ ইউনেসকোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডে’ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করেছে। রোববার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠি
২৫ দিন আগেআন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্যভাবে সফলতা অর্জনকারী ‘ইউআইইউ মার্স রোভার’, ‘ইউআইইউ অ্যাসেন্ড’ এবং ‘ইউআইইউ মেরিনার’ টিমগুলোকে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ ফোরামের উদ্যোগে এবং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড স্টুডেন্ট অ্
২৫ দিন আগেবৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। দেশের বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে সিপিডিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। এজন্য তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত
২৫ দিন আগে