আচ্ছা মামা! একটি ধাতব আম এভাবে চাপ দিতেই গলে গেল কীভাবে? এটা কী করে সম্ভব! হ্যাঁ, এটি সম্ভব, কারণ আমটা গ্যালিয়াম দিয়ে তৈরি। গ্যালিয়াম হচ্ছে এমন একটা নরম ধাতু, যা কক্ষ তাপমাত্রার চেয়ে একটু বেশি তাপমাত্রাতেই গলে পারদের মতো তরল হয়ে যায়।
তাই নাকি? তুমি যে গ্যালিয়ামের তরলটা খালি হাতে নাড়াচাড়া করছ, এ কি নিরাপদ?
গ্যালিয়াম পারদের মতো আচরণ করলেও মোটেও বিষাক্ত নয়। এটি খালি হাতে ধরাটা বেশ নিরাপদ। গ্যালিয়াম হচ্ছে পর্যায় সারণির ৩১তম মৌল এবং এর পারমাণবিক ভর হলো ৬৯ দশমিক ৭২। ধাতুটির গলনাঙ্ক জানলে তুমি অবাক হবে; মাত্র ২৯ দশমিক ৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস! অর্থাৎ কক্ষ তাপমাত্রার চেয়ে খানিকটা গরমে থাকলেই এটি তরল হয়ে যাবে। আমরা এসি রুমে আছি বলে প্রথমে এটি কঠিন ছিল। তুমি নিশ্চয়ই জানো যে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই চাপ দিতে আমার হাতের উষ্ণতাতেই সেটা গলে গেল।
প্রথম ব্যাপারটা স্পষ্ট হলো। কিন্তু গ্যালিয়ামের ফোঁটা কোকের ক্যানে দিতেই এই দশা হলো কেন?
কোকের ক্যান হচ্ছে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। আর গ্যালিয়াম হচ্ছে অ্যালুমিনিয়ামের শত্রু। গ্যালিয়াম অ্যালুমিনিয়ামের সংস্পর্শে এলে অ্যালুমিনিয়ামের গঠন দুর্বল করে ফেলে। ফলে ক্যানে চাপ দিতেই সেটা টুকরো টুকরো হয়ে যায়। গ্যালিয়াম তো ভারি মজার ধাতু! এই ধাতু কোথায় পাওয়া যায়, এর ব্যবহার কোথায়?
হ্যাঁ, গ্যালিয়াম বেশ কাজের ধাতুও বটে। প্রকৃতিতে এটি বিশুদ্ধ গ্যালিয়াম হিসেবে পাওয়া যায় না। ফলে গ্যালিয়াম পেতে হলে জিঙ্ক আকরিক (যেমন স্ফালেরাইট) এবং বক্সাইট থেকে গ্যালিয়াম সংগ্রহ করে নিতে হয়। গ্যালিয়াম প্রধানত ইলেকট্রনিকসে ব্যবহৃত হয়।
তোমার আশপাশের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির কার্যকারিতার জন্য তুমি গ্যালিয়ামকে অশেষ ধন্যবাদ জানাতে পারো। ইউএসজিএস থেকে প্রকাশিত ‘গ্যালিয়ামে স্মার্ট মেটাল’ প্রবন্ধ থেকে জানা যায়, গ্যালিয়াম আর্সেনাইড, গ্যালিয়াম নাইট্রাইড টেলিভিশন, স্মার্টফোন, ইত্যাদি ডিভাইসের এলইডি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কারণ, এরা বিদ্যুৎকে সরাসরি আলোক রশ্মিতে পরিণত করতে পারে। এ ছাড়া সেমিকন্ডাক্টর, ট্রাঞ্জিস্টর, ইত্যাদি তৈরিতে গ্যালিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উন্নতমানের আয়না বানানোতেও গ্যালিয়াম ব্যবহার করা হয়। এর নিম্ন গলনাঙ্ক, উচ্চ স্ফুটনাঙ্ক এবং তুলনামূলকভাবে মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য নিরাপদ হওয়ায় থার্মোমিটার তৈরিতেও গ্যালিয়াম ব্যবহারের জুড়ি নেই।
তার মানে আমাদের আশপাশে থেকে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এ ধাতুটি?
একদম ঠিক বলেছ। ১৮৭৫ সালে ফরাসি রসায়নবিদ পল-এমিল লিকক ডি বইসবাউদ্রানের আবিষ্কার করা এ ধাতুটি তার বিশেষ বৈশিষ্ট্য দিয়ে স্থান পেয়েছে বিজ্ঞানীদের পরীক্ষাগারে। আর সেই সব পরীক্ষায় উদ্ভাবিত ফলগুলো আমাদের উপকার করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই গ্যালিয়াম ধাতুটি নরম হলেও মানবসভ্যতার ইতিহাসে এর স্থান বড়ই শক্ত।
আচ্ছা মামা! একটি ধাতব আম এভাবে চাপ দিতেই গলে গেল কীভাবে? এটা কী করে সম্ভব! হ্যাঁ, এটি সম্ভব, কারণ আমটা গ্যালিয়াম দিয়ে তৈরি। গ্যালিয়াম হচ্ছে এমন একটা নরম ধাতু, যা কক্ষ তাপমাত্রার চেয়ে একটু বেশি তাপমাত্রাতেই গলে পারদের মতো তরল হয়ে যায়।
তাই নাকি? তুমি যে গ্যালিয়ামের তরলটা খালি হাতে নাড়াচাড়া করছ, এ কি নিরাপদ?
গ্যালিয়াম পারদের মতো আচরণ করলেও মোটেও বিষাক্ত নয়। এটি খালি হাতে ধরাটা বেশ নিরাপদ। গ্যালিয়াম হচ্ছে পর্যায় সারণির ৩১তম মৌল এবং এর পারমাণবিক ভর হলো ৬৯ দশমিক ৭২। ধাতুটির গলনাঙ্ক জানলে তুমি অবাক হবে; মাত্র ২৯ দশমিক ৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস! অর্থাৎ কক্ষ তাপমাত্রার চেয়ে খানিকটা গরমে থাকলেই এটি তরল হয়ে যাবে। আমরা এসি রুমে আছি বলে প্রথমে এটি কঠিন ছিল। তুমি নিশ্চয়ই জানো যে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই চাপ দিতে আমার হাতের উষ্ণতাতেই সেটা গলে গেল।
প্রথম ব্যাপারটা স্পষ্ট হলো। কিন্তু গ্যালিয়ামের ফোঁটা কোকের ক্যানে দিতেই এই দশা হলো কেন?
কোকের ক্যান হচ্ছে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। আর গ্যালিয়াম হচ্ছে অ্যালুমিনিয়ামের শত্রু। গ্যালিয়াম অ্যালুমিনিয়ামের সংস্পর্শে এলে অ্যালুমিনিয়ামের গঠন দুর্বল করে ফেলে। ফলে ক্যানে চাপ দিতেই সেটা টুকরো টুকরো হয়ে যায়। গ্যালিয়াম তো ভারি মজার ধাতু! এই ধাতু কোথায় পাওয়া যায়, এর ব্যবহার কোথায়?
হ্যাঁ, গ্যালিয়াম বেশ কাজের ধাতুও বটে। প্রকৃতিতে এটি বিশুদ্ধ গ্যালিয়াম হিসেবে পাওয়া যায় না। ফলে গ্যালিয়াম পেতে হলে জিঙ্ক আকরিক (যেমন স্ফালেরাইট) এবং বক্সাইট থেকে গ্যালিয়াম সংগ্রহ করে নিতে হয়। গ্যালিয়াম প্রধানত ইলেকট্রনিকসে ব্যবহৃত হয়।
তোমার আশপাশের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির কার্যকারিতার জন্য তুমি গ্যালিয়ামকে অশেষ ধন্যবাদ জানাতে পারো। ইউএসজিএস থেকে প্রকাশিত ‘গ্যালিয়ামে স্মার্ট মেটাল’ প্রবন্ধ থেকে জানা যায়, গ্যালিয়াম আর্সেনাইড, গ্যালিয়াম নাইট্রাইড টেলিভিশন, স্মার্টফোন, ইত্যাদি ডিভাইসের এলইডি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। কারণ, এরা বিদ্যুৎকে সরাসরি আলোক রশ্মিতে পরিণত করতে পারে। এ ছাড়া সেমিকন্ডাক্টর, ট্রাঞ্জিস্টর, ইত্যাদি তৈরিতে গ্যালিয়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উন্নতমানের আয়না বানানোতেও গ্যালিয়াম ব্যবহার করা হয়। এর নিম্ন গলনাঙ্ক, উচ্চ স্ফুটনাঙ্ক এবং তুলনামূলকভাবে মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য নিরাপদ হওয়ায় থার্মোমিটার তৈরিতেও গ্যালিয়াম ব্যবহারের জুড়ি নেই।
তার মানে আমাদের আশপাশে থেকে সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এ ধাতুটি?
একদম ঠিক বলেছ। ১৮৭৫ সালে ফরাসি রসায়নবিদ পল-এমিল লিকক ডি বইসবাউদ্রানের আবিষ্কার করা এ ধাতুটি তার বিশেষ বৈশিষ্ট্য দিয়ে স্থান পেয়েছে বিজ্ঞানীদের পরীক্ষাগারে। আর সেই সব পরীক্ষায় উদ্ভাবিত ফলগুলো আমাদের উপকার করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই গ্যালিয়াম ধাতুটি নরম হলেও মানবসভ্যতার ইতিহাসে এর স্থান বড়ই শক্ত।
ব্যবসায় শিক্ষার ওপর দেশের অন্যতম বড় প্রতিযোগিতা ও উৎসব ১০ম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) মার্কেটিং ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
১৯ দিন আগেবেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী রচনা ‘সুলতানার স্বপ্ন’ ইউনেসকোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডে’ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করেছে। রোববার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠি
১৯ দিন আগেআন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্যভাবে সফলতা অর্জনকারী ‘ইউআইইউ মার্স রোভার’, ‘ইউআইইউ অ্যাসেন্ড’ এবং ‘ইউআইইউ মেরিনার’ টিমগুলোকে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ ফোরামের উদ্যোগে এবং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড স্টুডেন্ট অ্
১৯ দিন আগেবৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। দেশের বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে সিপিডিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। এজন্য তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত
১৯ দিন আগে