মুসাররাত আবির
বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থীই উচ্চশিক্ষার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। এর কারণ, গবেষণাভিত্তিক পড়াশোনা, উন্নত অর্থনীতি ও প্রযুক্তিগত সুবিধা। দেশটিতে প্রায় ৪০০ সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এগুলোয় গবেষণাভিত্তিক পড়াশোনার ওপরই বেশি জোর দেওয়া হয়।
বৃত্তি
এখানে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই বৃত্তি দেওয়া হয়। তবে মাস্টার্স ও পিএইচডির তুলনায় ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য স্কলারশিপের পরিমাণ খুবই কম।
বৃত্তিগুলো হলো : কেজিএসপি, গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ, প্রফেসর ফান্ডিং, বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ, স্যামসাং গ্লোবাল এমবিএ স্কলারশিপ, কোইকা কাইস্ট এমবিএ ইন সোশ্যাল ইকোনমি ইত্যাদি।
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য কোরিয়ান সরকার প্রদত্ত বৃত্তিটি হলো কেজিএসপি। এই বৃত্তি পাওয়ার জন্য একাডেমিক রেজাল্ট, আইইএলটিএস, কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ সার্টিফিকেট, সহশিক্ষা কার্যক্রমে বেশ ভালো হতে হবে। কারণ, বাংলাদেশ থেকে খুব অল্প কয়েকজনকে এই বৃত্তি দেওয়া হয়।
কেজিএসপি বৃত্তির আওতায় থাকছে : আসা-যাওয়ার বিমানের টিকিট, নিষ্পত্তি ভাতা, থাকার খরচ, স্বাস্থ্য ভাতা, ল্যাংগুয়েজ কোর্স ফি, টিউশন ফি ও রিসার্চ সাপোর্ট। এ ছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় সব খরচ কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
অন্যান্য দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব প্রচারের উদ্দেশ্যে গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ দেওয়া হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা টিউশন ফিসহ অন্যান্য সব খাতে আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া কিছু ইউনিভার্সিটিতে টিউশন ফির ৫০-৭০ শতাংশ স্কলারশিপ দেওয়া হয়।
টিউশন ফি
দক্ষিণ কোরিয়ায় টিউশন ফি সাশ্রয়ী। তবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় বেসরকারির ফি কিছুটা বেশি, বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিসিন নিয়ে পড়ার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সভেদে বছরে ৩ লাখ থেকে ১৬ লাখ টাকা প্রয়োজন হয়। গড়ে তা ৯ লাখ টাকার মতো। সিউল বা বুসানের মতো বড় শহরগুলোয় টিউশন ফি ও থাকা-খাওয়ার খরচ একটু বেশি। তবে অন্য শহরগুলোয় খরচ কম।
সুযোগ-সুবিধা
কাজ করেই টিউশন ফিসহ থাকা-খাওয়ার খরচ জোগাড় করা যায়। জেজু আইল্যান্ডে প্রতিদিনই অনেক পর্যটক আসেন। কোরিয়ান ভাষা জানা থাকলে সেখানে রেস্তোরাঁয় কাজ পাওয়া খুবই সহজ। শিক্ষার্থীরা চাইলেই সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা খণ্ডকালীন কাজ করতে পারেন। তা ছাড়া, শিক্ষার্থীরা ছুটির সময় ফুলটাইম কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। কোনো বিদেশি কোরিয়ান ভাষা জানলে কোরিয়ানরাও নিজে থেকেই সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এদিক থেকে তাঁরা বেশ আন্তরিক। অনেকের মনে বর্ণবাদের ভয় থাকলেও এখানে তেমন কিছুই নেই। মিশুক প্রকৃতির হলে ভিন্ন পরিবেশে থাকা কোনো সমস্যাই নয়।
প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি স্বল্প খরচে এসব হোস্টেলে থাকতে পারবেন।
ভর্তি-প্রক্রিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ায় সাধারণত ফল ও স্প্রিং এ দুটি সেমিস্টারে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি করার জন্য শিক্ষার্থীরা সেখানে যেতে পারেন। তবে এখানে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ভর্তি বেশ কঠিন। এসএসসি-এইচএসসি বা ও-লেভেল, এ-লেভেলে খুব ভালো ফলের পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকলে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ব্যাচেলর ডিগ্রির মেয়াদ তিন থেকে চার বছর, মাস্টার্স ডিগ্রির এক থেকে দুই বছর এবং পিএইচডির মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ বছর হয়ে থাকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেরা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো : সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কোরিয়া ইউনিভার্সিটি, কোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইহোয়া উইমেনস ইউনিভার্সিটি, ইয়নসে ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীরা নিজ পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো বিষয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
এখানে পড়াশোনার জন্য অবশ্যই টোপিক টেস্টে লেভেল থ্রি পেতে হবে। ঢাকায় বাংলাদেশ কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে সহজেই কোরিয়ান ভাষা শিখতে পারবেন। কোরিয়ায় আইইএলটিএস স্কোর ৬.৫০-কে ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।
এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষাও দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে জীবন সম্পর্কে ধারণা ও সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমের প্রতিও তারা বিশেষ গুরুত্ব দেয়।
অনুলিখন: মুসাররাত আবির
বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থীই উচ্চশিক্ষার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান। এর কারণ, গবেষণাভিত্তিক পড়াশোনা, উন্নত অর্থনীতি ও প্রযুক্তিগত সুবিধা। দেশটিতে প্রায় ৪০০ সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এগুলোয় গবেষণাভিত্তিক পড়াশোনার ওপরই বেশি জোর দেওয়া হয়।
বৃত্তি
এখানে সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেই বৃত্তি দেওয়া হয়। তবে মাস্টার্স ও পিএইচডির তুলনায় ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য স্কলারশিপের পরিমাণ খুবই কম।
বৃত্তিগুলো হলো : কেজিএসপি, গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ, প্রফেসর ফান্ডিং, বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ, স্যামসাং গ্লোবাল এমবিএ স্কলারশিপ, কোইকা কাইস্ট এমবিএ ইন সোশ্যাল ইকোনমি ইত্যাদি।
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য কোরিয়ান সরকার প্রদত্ত বৃত্তিটি হলো কেজিএসপি। এই বৃত্তি পাওয়ার জন্য একাডেমিক রেজাল্ট, আইইএলটিএস, কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ সার্টিফিকেট, সহশিক্ষা কার্যক্রমে বেশ ভালো হতে হবে। কারণ, বাংলাদেশ থেকে খুব অল্প কয়েকজনকে এই বৃত্তি দেওয়া হয়।
কেজিএসপি বৃত্তির আওতায় থাকছে : আসা-যাওয়ার বিমানের টিকিট, নিষ্পত্তি ভাতা, থাকার খরচ, স্বাস্থ্য ভাতা, ল্যাংগুয়েজ কোর্স ফি, টিউশন ফি ও রিসার্চ সাপোর্ট। এ ছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় সব খরচ কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
অন্যান্য দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব প্রচারের উদ্দেশ্যে গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ দেওয়া হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা টিউশন ফিসহ অন্যান্য সব খাতে আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া কিছু ইউনিভার্সিটিতে টিউশন ফির ৫০-৭০ শতাংশ স্কলারশিপ দেওয়া হয়।
টিউশন ফি
দক্ষিণ কোরিয়ায় টিউশন ফি সাশ্রয়ী। তবে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় বেসরকারির ফি কিছুটা বেশি, বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিসিন নিয়ে পড়ার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সভেদে বছরে ৩ লাখ থেকে ১৬ লাখ টাকা প্রয়োজন হয়। গড়ে তা ৯ লাখ টাকার মতো। সিউল বা বুসানের মতো বড় শহরগুলোয় টিউশন ফি ও থাকা-খাওয়ার খরচ একটু বেশি। তবে অন্য শহরগুলোয় খরচ কম।
সুযোগ-সুবিধা
কাজ করেই টিউশন ফিসহ থাকা-খাওয়ার খরচ জোগাড় করা যায়। জেজু আইল্যান্ডে প্রতিদিনই অনেক পর্যটক আসেন। কোরিয়ান ভাষা জানা থাকলে সেখানে রেস্তোরাঁয় কাজ পাওয়া খুবই সহজ। শিক্ষার্থীরা চাইলেই সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা খণ্ডকালীন কাজ করতে পারেন। তা ছাড়া, শিক্ষার্থীরা ছুটির সময় ফুলটাইম কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। কোনো বিদেশি কোরিয়ান ভাষা জানলে কোরিয়ানরাও নিজে থেকেই সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এদিক থেকে তাঁরা বেশ আন্তরিক। অনেকের মনে বর্ণবাদের ভয় থাকলেও এখানে তেমন কিছুই নেই। মিশুক প্রকৃতির হলে ভিন্ন পরিবেশে থাকা কোনো সমস্যাই নয়।
প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে। আপনি স্বল্প খরচে এসব হোস্টেলে থাকতে পারবেন।
ভর্তি-প্রক্রিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ায় সাধারণত ফল ও স্প্রিং এ দুটি সেমিস্টারে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি করার জন্য শিক্ষার্থীরা সেখানে যেতে পারেন। তবে এখানে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে ভর্তি বেশ কঠিন। এসএসসি-এইচএসসি বা ও-লেভেল, এ-লেভেলে খুব ভালো ফলের পাশাপাশি সহশিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকলে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ব্যাচেলর ডিগ্রির মেয়াদ তিন থেকে চার বছর, মাস্টার্স ডিগ্রির এক থেকে দুই বছর এবং পিএইচডির মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ বছর হয়ে থাকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেরা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো : সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, কোরিয়া ইউনিভার্সিটি, কোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, ইহোয়া উইমেনস ইউনিভার্সিটি, ইয়নসে ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি।
শিক্ষার্থীরা নিজ পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো বিষয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
এখানে পড়াশোনার জন্য অবশ্যই টোপিক টেস্টে লেভেল থ্রি পেতে হবে। ঢাকায় বাংলাদেশ কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র থেকে সহজেই কোরিয়ান ভাষা শিখতে পারবেন। কোরিয়ায় আইইএলটিএস স্কোর ৬.৫০-কে ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে ধরা হয়।
এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষাও দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে জীবন সম্পর্কে ধারণা ও সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমের প্রতিও তারা বিশেষ গুরুত্ব দেয়।
অনুলিখন: মুসাররাত আবির
ব্যবসায় শিক্ষার ওপর দেশের অন্যতম বড় প্রতিযোগিতা ও উৎসব ১০ম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) মার্কেটিং ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
১২ আগস্ট ২০২৫বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী রচনা ‘সুলতানার স্বপ্ন’ ইউনেসকোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডে’ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করেছে। রোববার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠি
১২ আগস্ট ২০২৫আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্যভাবে সফলতা অর্জনকারী ‘ইউআইইউ মার্স রোভার’, ‘ইউআইইউ অ্যাসেন্ড’ এবং ‘ইউআইইউ মেরিনার’ টিমগুলোকে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ ফোরামের উদ্যোগে এবং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড স্টুডেন্ট অ্
১২ আগস্ট ২০২৫বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। দেশের বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে সিপিডিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। এজন্য তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত
১২ আগস্ট ২০২৫