নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সাক্ষরতা দক্ষতা কমেছে। এমনকি গত পাঁচ বছরের যেখানে বাড়বে বলে প্রত্যাশা ছিল সেখানে বরং ৭ শতাংশের বেশি কমেছে। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শিশুদের পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ার হার নির্ণয় করতে দুই ধরনের গবেষণা চালিয়েছে ব্র্যাক। গবেষণায় যুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্টিফেন হেইনম্যান, কানাডার সাইমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক পলিসির অধ্যাপক জন রিচার্ডস ও ইউএস এআইডির সাবেক জ্যেষ্ঠ শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট এর গবেষক সামির রঞ্জন নাথ।
গবেষণা প্রতিবেদন থেকে তথ্য উপস্থাপনের সময় সামির রঞ্জন নাথ বলেন, ‘২০১৬ সালে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাক্ষরতা দক্ষতা ছিল আনুমানিক ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ যা ২০২১ সালে ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু গবেষণা ফলাফল অনুযায়ী, এটি এখন ৭ দশমিক ৩ শতাংশ কমে আনুমানিক ২৭ দশমিক ২ শতাংশ।’ পড়তে, লিখতে এবং সংখ্যা চিনতে পারে এবং সেগুলোর প্রয়োগ করতে পারে এমন শিক্ষার্থীদের দক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানান সামির রঞ্জন।
এদিকে গবেষণায় পাওয়া গেছে, করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুল খোলার প্রথম মাসে প্রাথমিকের প্রায় ৪২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৭৯ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ফেরেনি। যা প্রাথমিকের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ২৩ দশমিক ২ শতাংশ। সামির রঞ্জন বলেন, ‘করোনাকালীন নানা ঘাত-প্রতিঘাতের ফলে এ সময় স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত ৩৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৮০ শিক্ষার্থীর প্রাথমিক স্তর থেকে ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
অন্যদিকে এ সময়ের মধ্যে কওমি, হাফেজিয়া ও নুরানি মাদ্রাসাসমূহে পাঁচ থেকে ১০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক বছরের মধ্যে এসব মাদ্রাসায় পাঁচ বছরের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া ৬ থেকে ১০ বয়সী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে সামির রঞ্জন নাথ বলেন, ‘এই দুর্যোগের পর আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়া দরকার। তা না হলে ২০৩০-এর যে এসডিজি টার্গেট তা কোনোভাবেই পূরণ করা সম্ভব না। ২০০৮-এর শিক্ষা হার ২০২১-এ পাচ্ছি। তার মানে আমরা শিক্ষায় ১৩ বছর পিছিয়ে আছি। আগামী ৮ বছরে আমাদের ২১ বছর এগোতে হবে। এর জন্য শিক্ষা সংক্রান্ত “মেগা প্রজেক্ট” গ্রহণ করা প্রয়োজন।’
এ সময় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর পরিচালক মু. নুরুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইদানীং অনেক স্কুল পরিদর্শন করেছি। দুর্ভাগ্যজনক যে, সেগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংকটে ভুগছে।’
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সাক্ষরতা দক্ষতা কমেছে। এমনকি গত পাঁচ বছরের যেখানে বাড়বে বলে প্রত্যাশা ছিল সেখানে বরং ৭ শতাংশের বেশি কমেছে। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের শিশুদের পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ার হার নির্ণয় করতে দুই ধরনের গবেষণা চালিয়েছে ব্র্যাক। গবেষণায় যুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্টিফেন হেইনম্যান, কানাডার সাইমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক পলিসির অধ্যাপক জন রিচার্ডস ও ইউএস এআইডির সাবেক জ্যেষ্ঠ শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট এর গবেষক সামির রঞ্জন নাথ।
গবেষণা প্রতিবেদন থেকে তথ্য উপস্থাপনের সময় সামির রঞ্জন নাথ বলেন, ‘২০১৬ সালে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাক্ষরতা দক্ষতা ছিল আনুমানিক ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ যা ২০২১ সালে ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হবে বলে প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু গবেষণা ফলাফল অনুযায়ী, এটি এখন ৭ দশমিক ৩ শতাংশ কমে আনুমানিক ২৭ দশমিক ২ শতাংশ।’ পড়তে, লিখতে এবং সংখ্যা চিনতে পারে এবং সেগুলোর প্রয়োগ করতে পারে এমন শিক্ষার্থীদের দক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানান সামির রঞ্জন।
এদিকে গবেষণায় পাওয়া গেছে, করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুল খোলার প্রথম মাসে প্রাথমিকের প্রায় ৪২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৭৯ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ফেরেনি। যা প্রাথমিকের মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ২৩ দশমিক ২ শতাংশ। সামির রঞ্জন বলেন, ‘করোনাকালীন নানা ঘাত-প্রতিঘাতের ফলে এ সময় স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত ৩৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৮০ শিক্ষার্থীর প্রাথমিক স্তর থেকে ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
অন্যদিকে এ সময়ের মধ্যে কওমি, হাফেজিয়া ও নুরানি মাদ্রাসাসমূহে পাঁচ থেকে ১০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক বছরের মধ্যে এসব মাদ্রাসায় পাঁচ বছরের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া ৬ থেকে ১০ বয়সী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে সামির রঞ্জন নাথ বলেন, ‘এই দুর্যোগের পর আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়া দরকার। তা না হলে ২০৩০-এর যে এসডিজি টার্গেট তা কোনোভাবেই পূরণ করা সম্ভব না। ২০০৮-এর শিক্ষা হার ২০২১-এ পাচ্ছি। তার মানে আমরা শিক্ষায় ১৩ বছর পিছিয়ে আছি। আগামী ৮ বছরে আমাদের ২১ বছর এগোতে হবে। এর জন্য শিক্ষা সংক্রান্ত “মেগা প্রজেক্ট” গ্রহণ করা প্রয়োজন।’
এ সময় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর পরিচালক মু. নুরুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইদানীং অনেক স্কুল পরিদর্শন করেছি। দুর্ভাগ্যজনক যে, সেগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংকটে ভুগছে।’
ব্যবসায় শিক্ষার ওপর দেশের অন্যতম বড় প্রতিযোগিতা ও উৎসব ১০ম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) মার্কেটিং ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
২৩ দিন আগেবেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী রচনা ‘সুলতানার স্বপ্ন’ ইউনেসকোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডে’ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করেছে। রোববার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠি
২৩ দিন আগেআন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্যভাবে সফলতা অর্জনকারী ‘ইউআইইউ মার্স রোভার’, ‘ইউআইইউ অ্যাসেন্ড’ এবং ‘ইউআইইউ মেরিনার’ টিমগুলোকে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ ফোরামের উদ্যোগে এবং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড স্টুডেন্ট অ্
২৩ দিন আগেবৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। দেশের বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে সিপিডিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। এজন্য তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত
২৩ দিন আগে