গাজী মিজানুর রহমান
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলে কেউ আনন্দে আত্মহারা, কেউ আবার বিমর্ষ অবস্থায় দিন পার করছে। পরীক্ষায় অনেকেই জিপিএ-৫ পেয়েছে, অনেকে আবার অনেক চেষ্টা করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পায়নি। তবে তোমরা যারা পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওনি, তাদের জন্যই আমার এই লেখা।
শিক্ষাজীবনে জিপিএ-৫ পাওয়া আর ব্যক্তিজীবনে জিপিএ-৫ পাওয়া কিংবা ক্যারিয়ারে জিপিএ-৫ পাওয়া এক বিষয় নয়। পরিশ্রম করেও অনেক সময় জিপিএ-৫ পাওয়া যায় না। তাই বলে সেই পরিশ্রম কি বৃথা? জিপিএ-৫ না পেলে কি শিক্ষাজীবন ব্যর্থ বলা যাবে? এ কারণে মন খারাপ করে কি আত্মহননের পথ বেছে নিতে হবে?
না, কখনোই না। বরং পরীক্ষার জন্য পরিশ্রমের মাধ্যমে তুমি যা শিখেছ, সেই শেখাটাই তোমার ব্যক্তিজীবনকে জিপিএ-৫ বানাবে। ক্যারিয়ারে বয়ে আনবে সাফল্য। সামনে এগিয়ে যাওয়ার গতি আরও বাড়িয়ে দেবে। কারণ, তুমি পরিশ্রম করতে শিখে ফেলেছ।
আর যেসব অভিভাবক ভাবছেন, আপনার ছেলেমেয়ে, ভাইবোন কিংবা নিকটাত্মীয়ের কেউ জিপিএ-৫ পায়নি বলে সে ব্যর্থ বা অসফল —তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন।
এর চেয়ে বরং আপনারা তাদের দক্ষতা ও নতুন নতুন শেখার ওপর জোর দিন। দক্ষতা অর্জনে গুরুত্ব দিন। তাদের মনুষ্যত্বসম্পন্ন মানুষ হতে সাহায্য করুন। দেখবেন, যদি তারা সত্যিকারের পরিশ্রমী আর দক্ষ হয়ে উঠতে পারে, তাহলে দিন শেষে তারাই সফল হবে। একসময় বহু জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী হারিয়ে যায়, কেবল এগিয়ে যায় প্রকৃত পরিশ্রমী ও দক্ষতা অর্জনকারীরা।
আমার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার কোনোটাতেই জিপিএ-৫ ছিল না। তবে পরীক্ষার ফল যা-ই হতো, সেটাই মেনে নিতাম। কোনো পরীক্ষার ফল আমাকে হতাশ করতে পারেনি। তবে সাময়িক খারাপ লেগেছে হয়তো। কিন্তু আমি বিশ্বাস করতাম, আমার পরিশ্রমের প্রতিদান তাৎক্ষণিকভাবে না পেলেও একদিন পাব। কারণ, আমি পরিশ্রম করতে শিখে গেছি। আর সৎ নিয়তে করা পরিশ্রম কখনো বৃথা যেতে দেখিনি।
আমার বিদ্যালয়ের যে তিনজন সহপাঠী জিপিএ-৫ পেয়েছিল, তাদের একজন এইচএসসিতে ফেল করেছে। আরেকজন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছে। অন্যজন শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই করতে পারেনি। কিন্তু জীবনে কোনো পরীক্ষাতে জিপিএ-৫ না পেয়েও আমি বিসিএস ক্যাডার হতে পেরেছি। পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদ ছেড়ে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে চাকরিতে জয়েন করি।
তাই জিপিএ-৫ পেলেই সফল বা মেধাবী; না পেলে জীবন শেষ—এমনটি ভাবার সুযোগ নেই। দিন শেষে একজন কী করতে পারল, সেটাই বড় কথা।
লেখক, মোটিভেশনাল স্পিকার ও ক্যারিয়ার স্পেশালিস্ট
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলে কেউ আনন্দে আত্মহারা, কেউ আবার বিমর্ষ অবস্থায় দিন পার করছে। পরীক্ষায় অনেকেই জিপিএ-৫ পেয়েছে, অনেকে আবার অনেক চেষ্টা করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পায়নি। তবে তোমরা যারা পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওনি, তাদের জন্যই আমার এই লেখা।
শিক্ষাজীবনে জিপিএ-৫ পাওয়া আর ব্যক্তিজীবনে জিপিএ-৫ পাওয়া কিংবা ক্যারিয়ারে জিপিএ-৫ পাওয়া এক বিষয় নয়। পরিশ্রম করেও অনেক সময় জিপিএ-৫ পাওয়া যায় না। তাই বলে সেই পরিশ্রম কি বৃথা? জিপিএ-৫ না পেলে কি শিক্ষাজীবন ব্যর্থ বলা যাবে? এ কারণে মন খারাপ করে কি আত্মহননের পথ বেছে নিতে হবে?
না, কখনোই না। বরং পরীক্ষার জন্য পরিশ্রমের মাধ্যমে তুমি যা শিখেছ, সেই শেখাটাই তোমার ব্যক্তিজীবনকে জিপিএ-৫ বানাবে। ক্যারিয়ারে বয়ে আনবে সাফল্য। সামনে এগিয়ে যাওয়ার গতি আরও বাড়িয়ে দেবে। কারণ, তুমি পরিশ্রম করতে শিখে ফেলেছ।
আর যেসব অভিভাবক ভাবছেন, আপনার ছেলেমেয়ে, ভাইবোন কিংবা নিকটাত্মীয়ের কেউ জিপিএ-৫ পায়নি বলে সে ব্যর্থ বা অসফল —তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন।
এর চেয়ে বরং আপনারা তাদের দক্ষতা ও নতুন নতুন শেখার ওপর জোর দিন। দক্ষতা অর্জনে গুরুত্ব দিন। তাদের মনুষ্যত্বসম্পন্ন মানুষ হতে সাহায্য করুন। দেখবেন, যদি তারা সত্যিকারের পরিশ্রমী আর দক্ষ হয়ে উঠতে পারে, তাহলে দিন শেষে তারাই সফল হবে। একসময় বহু জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী হারিয়ে যায়, কেবল এগিয়ে যায় প্রকৃত পরিশ্রমী ও দক্ষতা অর্জনকারীরা।
আমার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার কোনোটাতেই জিপিএ-৫ ছিল না। তবে পরীক্ষার ফল যা-ই হতো, সেটাই মেনে নিতাম। কোনো পরীক্ষার ফল আমাকে হতাশ করতে পারেনি। তবে সাময়িক খারাপ লেগেছে হয়তো। কিন্তু আমি বিশ্বাস করতাম, আমার পরিশ্রমের প্রতিদান তাৎক্ষণিকভাবে না পেলেও একদিন পাব। কারণ, আমি পরিশ্রম করতে শিখে গেছি। আর সৎ নিয়তে করা পরিশ্রম কখনো বৃথা যেতে দেখিনি।
আমার বিদ্যালয়ের যে তিনজন সহপাঠী জিপিএ-৫ পেয়েছিল, তাদের একজন এইচএসসিতে ফেল করেছে। আরেকজন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছে। অন্যজন শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই করতে পারেনি। কিন্তু জীবনে কোনো পরীক্ষাতে জিপিএ-৫ না পেয়েও আমি বিসিএস ক্যাডার হতে পেরেছি। পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদ ছেড়ে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে চাকরিতে জয়েন করি।
তাই জিপিএ-৫ পেলেই সফল বা মেধাবী; না পেলে জীবন শেষ—এমনটি ভাবার সুযোগ নেই। দিন শেষে একজন কী করতে পারল, সেটাই বড় কথা।
লেখক, মোটিভেশনাল স্পিকার ও ক্যারিয়ার স্পেশালিস্ট
ব্যবসায় শিক্ষার ওপর দেশের অন্যতম বড় প্রতিযোগিতা ও উৎসব ১০ম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) মার্কেটিং ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
১২ আগস্ট ২০২৫বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী রচনা ‘সুলতানার স্বপ্ন’ ইউনেসকোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডে’ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করেছে। রোববার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠি
১২ আগস্ট ২০২৫আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্যভাবে সফলতা অর্জনকারী ‘ইউআইইউ মার্স রোভার’, ‘ইউআইইউ অ্যাসেন্ড’ এবং ‘ইউআইইউ মেরিনার’ টিমগুলোকে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ ফোরামের উদ্যোগে এবং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড স্টুডেন্ট অ্
১২ আগস্ট ২০২৫বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। দেশের বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে সিপিডিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। এজন্য তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত
১২ আগস্ট ২০২৫