Ajker Patrika

৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, বিপাকে চবির শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধি
৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন, বিপাকে চবির শিক্ষার্থীরা

চবি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ৩০ জুন পর্যন্ত পরীক্ষা গ্রহণ চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে অনুষদের ডিনদের মৌখিক পরামর্শে সরকারি প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত নির্বাহী আদেশে পূর্বঘোষিত সব পরীক্ষা ৩০ জুন পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পূর্ব ঘোষিত রুটিনও অপরিবর্তিত থাকবে। 

এর প্রায় চা ঘণ্টা আগে শনিবার সন্ধ্যায় উপাচার্যের সভাপতিত্বে জরুরি এক ভার্চুয়াল সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। সেই সঙ্গে যেসব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ক্যাম্পাসে এসেছিলেন তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় ঢাকা পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। 

এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউনের সময় পরিবর্তন করায় আমরা আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত সব ধরনের পরীক্ষা চলবে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। এ ছাড়া আজ ঢাকার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ছাড়বে না। 

এদিকে দ্রুত প্রশাসনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে বিপাকে পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানার পরপরই শিক্ষার্থীরা যে যার মতো বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। অনেকে বাড়ি পৌঁছার পর পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা জেনেছেন। আর দূরবর্তী শিক্ষার্থীরা জেনেছেন মাঝপথে। এদিকে করোনার কারণে দূর পাল্লার বাসও বন্ধ।

বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরীক্ষা হবে না শুনেই আমি ময়মনসিংহের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছি। এখন আমি কী করবো! 

একই শিক্ষাবর্ষের গোলাম রাব্বানী বলেন, পরীক্ষা স্থগিতের খবর পেয়েই আমি বাড়ির (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উদ্দেশে গাড়িতে উঠি। অর্ধেক যাওয়ার পর শুনি পরীক্ষা হবে। এখন আমি বাড়িতে চলে এসেছি। আবার কীভাবে পরীক্ষা দিতে যাব? 

নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলামের বাড়ি সিলেটে। পরীক্ষা স্থগিতের কথা শুনে বাসে বাড়ির দিকে রওনা দেন তিনি। কিছু দূর যাওয়ার পর শোনেন পরীক্ষা ৩০ তারিখ পর্যন্ত হবে। 

ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান ও আরবি বিভাগের মাঈন উদ্দীনসহ আরও অনেকে। তাঁরা বলছেন, শনিবার সন্ধ্যার নোটিশে ২৭ জুন থেকে পরীক্ষা হবে না দেখে অনেকে এই করোনার মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। অনেকে বাসায় পৌঁছে গেছেন। তারা এখন কীভাবে ক্যাম্পাসে ফিরবে? বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষকে ভাবা উচিত। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত