ইংরেজি শিখতে ‘স্পিকিং পার্টনার’ খুঁজুন

ইংরেজি শেখার সহজ উপায় নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই।

ইংরেজি শেখা আসলে অনেক সহজ ও মজার হতে পারে–যদি সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। ডিজিটাল যুগে অনলাইনে ইংরেজি শেখার প্রচুর রিসোর্স পাওয়া যায়। আপনার যদি ইচ্ছাশক্তি এবং পরিশ্রমী মন থাকে, তাহলে ৫-৬ মাসের মধ্যে ভালো ইংরেজি বলা ও লেখা শিখতে পারবেন। অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করে স্পিকিং, রাইটিং, লিসেনিং, রিডিং, গ্রামার, ভোকাবুলারি—সবকিছুই ঘরে বসে খুব দ্রুত শেখা সম্ভব।

ইংরেজি শেখার জন্য কীভাবে পড়াশোনা করতে হবে?

প্রথমেই আপনি যা পান, সেটা পড়তে শুরু করুন। সাহিত্য, নিউজ পেপার, ব্লগ কিংবা স্যোশাল মিডিয়ার আর্টিকেল—যাই হোক না কেন, এটি পড়ার মাধ্যমে আপনি নতুন নতুন ভোকাবুলারি শিখতে পারবেন। এতে শুধু আপনার রিডিং স্কিল বৃদ্ধি পাবে না, আপনি স্পিকিংয়ের জড়তাও কাটিয়ে উঠতে পারবেন। প্রতিদিন যেগুলো পড়বেন, সেগুলোর কনটেক্সট আপনার মনে বসে যাবে এবং আপনি দ্রুত ইংরেজি শব্দের ব্যবহার শিখে যাবেন।

নতুন শব্দ শেখার জন্য কৌশল জানতে চাই?

প্রতিদিন কিছু নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেষ্টা করতে হবে। কমপক্ষে একটি নতুন শব্দ শেখার চেষ্টা করুন। তবে শব্দগুলো মনে রাখতে আপনি নোট করতে পারেন। শব্দের উদাহরণ লিখে রাখলে পরবর্তীকালে সেগুলো পুনরায় রিভাইস করা সহজ হবে। এটি প্রথম দিকে কিছুটা বিরক্তিকর মনে হলেও, একসময় আপনি এটি একটি মজার অভ্যাসে পরিণত করবেন। ফ্রি টাইমে বা যেকোনো জায়গায় আপনি আপনার নোট থেকে শেখা শব্দগুলো পুনরায় প্র্যাকটিস করতে পারবেন।

ইংরেজি শেখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক কী বলে মনে করেন?

স্পিকিং বা কথা বলা। আপনি যদি ইংরেজি বলতে না পারেন, তাহলে ভাষাটির আসল গুরুত্ব কী? ই-মেইল বা ইনস্ট্যান্ট মেসেজিংয়ে ইংরেজিতে কথা বলার অভিজ্ঞতা থাকলেও সরাসরি কোনো ব্যক্তির সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলতে পারা অনেক বেশি কার্যকর। এটি আপনার ভেতরের জড়তা কাটিয়ে তুলতে সহায়তা করে। তাই, একজন স্পিকিং পার্টনার খুঁজে বের করুন, যার সঙ্গে আপনি ইংরেজিতে নিয়মিত কথা বলবেন।

ইংরেজি কেন শিখতে হবে?

ইংরেজি শেখার অনেক সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, ইংরেজি শেখার মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেটের জগতে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুযোগ তৈরি হবে। দ্বিতীয়ত, এটি আপনাকে গ্লোবাল ক্যারিয়ার গড়তে সহায়তা করবে। এ ছাড়া দেশেও বিভিন্ন চাকরির সুযোগ বেড়ে যাবে। তৃতীয়ত, বিনোদন ও সংস্কৃতিতে ইংরেজি কমিউনিকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সবশেষে নিজেকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করতে ইংরেজি জানার গুরুত্ব অপরিসীম।

ইংরেজি শেখার প্রক্রিয়ায় সফল হওয়ার জন্য কোন মাইন্ডসেট এবং অভ্যাসগুলো গুরুত্বপূর্ণ বলে আপনি মনে করেন?

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক মাইন্ডসেট এবং ভাষাচর্চার নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তোলা। প্রথমত, শেখার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব থাকা অত্যন্ত জরুরি। কারণ ভাষা শেখার জার্নি কখনো একরৈখিক হয় না। কখনো কখনো ভুল হবে, কিন্তু সেটি আপনার শেখার গতিকে থামিয়ে না দিয়ে আরও চেষ্টা করতে উৎসাহিত করবে। দ্বিতীয়ত, একঘেয়ে না হয়ে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখতে হবে—এটি হতে পারে নতুন শব্দ, বাক্য

গঠন বা কোনো নতুন কৌশল। তৃতীয়ত, ধৈর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভাষা আয়ত্ত করতে কিছু সময় এবং অধ্যবসায় প্রয়োজন। তাই নিয়মিত চর্চা ছাড়া সফলতা সম্ভব নয়। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, শেখার প্রক্রিয়াটি যেন মজা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। যাতে শেখা একটি প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়।