দিন দিন পড়ার দক্ষতা হারিয়ে ফেলছে কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, এটি বেশ উদ্বেগের বিষয়। বিশেষ করে, গত পাঁচ বছরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো দীর্ঘ লেখা বুঝে পড়ার আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্লেট সাময়িকীতে লেখা এক সম্পাদকীয়তে ইলিনয়ের নর্থ সেন্ট্রাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক অ্যাডাম কৎস্কো বলেন, গত পাঁচ বছরে তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা লক্ষ্য করেছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধৈর্য নিয়ে পড়ার আগ্রহ কমে গেছে। এই পাঁচ বছরের চার বছরই অবশ্য করোনা মহামারি ও এর পরবর্তী প্রভাবের মধ্য দিয়ে কেটে গেছে।
অধ্যাপক কৎস্কোর পাঠদানের বেশির ভাগ অংশজুড়ে থাকে মানবিক ও দর্শন বিষয়ে কিছু নির্দেশনা ও লেখাপত্র। তিনি বলেন, ‘আমার শিক্ষকতা জীবনের বেশির ভাগ সময়টাতেই আমি ন্যূনতম প্রত্যাশা নিয়ে ক্লাসে অন্তত ৩০ পৃষ্ঠা পড়তে দিই। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা ১০ পৃষ্ঠার বেশি পড়া দেখলেই ভয় পায়! না বুঝেই কোনোরকম ২০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়ার পরই ছেড়ে দেয়।’
২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড লকডাউনের কারণে পড়ালেখায় বেশ ক্ষতি হয়েছে—তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে এ ক্ষতি ধারণার চেয়েও বেশি বলে উল্লেখ করেছেন লেখক ও শিক্ষকেরা।
কৎস্কো বলেন, ‘মহামারির আগেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধৈর্য নিয়ে পড়ার আগ্রহে ভাটা পড়েছিল। এখন যেসব শিক্ষার্থীর কথা আমি বলছি, তারা লকডাউনে স্কুলের বন্ধের সময় হাইস্কুলে থাকার কথা। তাই তাদের ততদিনে অনলাইনে জ্ঞানার্জন এবং মৌলিক পাঠ দক্ষতা তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা।’
শিক্ষার্থীদের কোনো বিষয়ে মৌলিক ধারণা দিতে এখন তাদের আগের চেয়ে বেশি সময় দিতে হয়।
তবে মহামারির সময় স্কুল বন্ধের আগেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ধরনের প্রবণতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদেরা। এক দশক ধরে পড়ার জন্য প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। পাশাপাশি ‘পরীক্ষার জন্য পড়া’ এই শিক্ষণ পদ্ধতি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় জেঁকে বসেছে।
তথাকথিত ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষার নামে বুঝে পড়ার জন্য সহায়ক ধ্বনিবিদ্যাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এখন শুরু হয়েছে ‘ভাইবস–বেজড লিটারেসি’! এটি মূলত কোনো ছবি বা ইলাস্ট্রেশন দেখে সঠিক শব্দ অনুমান করতে শেখার প্রক্রিয়া। এনসিসির সহকারী অধ্যাপক কৎস্কো এবং অন্যরা বলছেন, এখন শিক্ষার্থীদের শব্দকে ভেঙে উচ্চারণ করতে শেখানো হয় না।
কৎস্কো বলেন, ‘স্মার্টফোনের প্রভাব ছাড়াও শিক্ষার্থীদের অপরিচিত শব্দ বুঝতে চাওয়ার অনাগ্রহও তাদের পড়ার দক্ষতা তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করছে।’
এ ছাড়া শিক্ষকেরাও শিক্ষার্থীদের এই অনাগ্রহতে মৌনসম্মতি দেন। তাঁরা শুধু পরীক্ষায় পাস করার জন্য ছোট ছোট রচনা দেন, বড় বিষয়ের একটি সংক্ষিপ্তসার পড়তে দেন; শিক্ষা বা জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে পড়া দেন না।
অধ্যাপক কৎস্কো বলেন, ‘আমরা অন্তত শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে বর্ধিত আলোচনা ও যুক্তিতর্ক করার দক্ষতা বিকাশে এভাবে সক্রিয়ভাবে বাধা দেওয়া বন্ধ করতে পারি। যেকোনো পেশা বা শিক্ষাস্তরেই তাদের এ দক্ষতার প্রয়োজন।’
দিন দিন পড়ার দক্ষতা হারিয়ে ফেলছে কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাবিদেরা বলছেন, এটি বেশ উদ্বেগের বিষয়। বিশেষ করে, গত পাঁচ বছরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো দীর্ঘ লেখা বুঝে পড়ার আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্লেট সাময়িকীতে লেখা এক সম্পাদকীয়তে ইলিনয়ের নর্থ সেন্ট্রাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক অ্যাডাম কৎস্কো বলেন, গত পাঁচ বছরে তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা লক্ষ্য করেছেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধৈর্য নিয়ে পড়ার আগ্রহ কমে গেছে। এই পাঁচ বছরের চার বছরই অবশ্য করোনা মহামারি ও এর পরবর্তী প্রভাবের মধ্য দিয়ে কেটে গেছে।
অধ্যাপক কৎস্কোর পাঠদানের বেশির ভাগ অংশজুড়ে থাকে মানবিক ও দর্শন বিষয়ে কিছু নির্দেশনা ও লেখাপত্র। তিনি বলেন, ‘আমার শিক্ষকতা জীবনের বেশির ভাগ সময়টাতেই আমি ন্যূনতম প্রত্যাশা নিয়ে ক্লাসে অন্তত ৩০ পৃষ্ঠা পড়তে দিই। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা ১০ পৃষ্ঠার বেশি পড়া দেখলেই ভয় পায়! না বুঝেই কোনোরকম ২০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পড়ার পরই ছেড়ে দেয়।’
২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড লকডাউনের কারণে পড়ালেখায় বেশ ক্ষতি হয়েছে—তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে এ ক্ষতি ধারণার চেয়েও বেশি বলে উল্লেখ করেছেন লেখক ও শিক্ষকেরা।
কৎস্কো বলেন, ‘মহামারির আগেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধৈর্য নিয়ে পড়ার আগ্রহে ভাটা পড়েছিল। এখন যেসব শিক্ষার্থীর কথা আমি বলছি, তারা লকডাউনে স্কুলের বন্ধের সময় হাইস্কুলে থাকার কথা। তাই তাদের ততদিনে অনলাইনে জ্ঞানার্জন এবং মৌলিক পাঠ দক্ষতা তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা।’
শিক্ষার্থীদের কোনো বিষয়ে মৌলিক ধারণা দিতে এখন তাদের আগের চেয়ে বেশি সময় দিতে হয়।
তবে মহামারির সময় স্কুল বন্ধের আগেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ধরনের প্রবণতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদেরা। এক দশক ধরে পড়ার জন্য প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে স্মার্টফোন। পাশাপাশি ‘পরীক্ষার জন্য পড়া’ এই শিক্ষণ পদ্ধতি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় জেঁকে বসেছে।
তথাকথিত ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষার নামে বুঝে পড়ার জন্য সহায়ক ধ্বনিবিদ্যাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এখন শুরু হয়েছে ‘ভাইবস–বেজড লিটারেসি’! এটি মূলত কোনো ছবি বা ইলাস্ট্রেশন দেখে সঠিক শব্দ অনুমান করতে শেখার প্রক্রিয়া। এনসিসির সহকারী অধ্যাপক কৎস্কো এবং অন্যরা বলছেন, এখন শিক্ষার্থীদের শব্দকে ভেঙে উচ্চারণ করতে শেখানো হয় না।
কৎস্কো বলেন, ‘স্মার্টফোনের প্রভাব ছাড়াও শিক্ষার্থীদের অপরিচিত শব্দ বুঝতে চাওয়ার অনাগ্রহও তাদের পড়ার দক্ষতা তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করছে।’
এ ছাড়া শিক্ষকেরাও শিক্ষার্থীদের এই অনাগ্রহতে মৌনসম্মতি দেন। তাঁরা শুধু পরীক্ষায় পাস করার জন্য ছোট ছোট রচনা দেন, বড় বিষয়ের একটি সংক্ষিপ্তসার পড়তে দেন; শিক্ষা বা জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে পড়া দেন না।
অধ্যাপক কৎস্কো বলেন, ‘আমরা অন্তত শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে বর্ধিত আলোচনা ও যুক্তিতর্ক করার দক্ষতা বিকাশে এভাবে সক্রিয়ভাবে বাধা দেওয়া বন্ধ করতে পারি। যেকোনো পেশা বা শিক্ষাস্তরেই তাদের এ দক্ষতার প্রয়োজন।’
ব্যবসায় শিক্ষার ওপর দেশের অন্যতম বড় প্রতিযোগিতা ও উৎসব ১০ম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) মার্কেটিং ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
১২ আগস্ট ২০২৫বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী রচনা ‘সুলতানার স্বপ্ন’ ইউনেসকোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডে’ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করেছে। রোববার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠি
১২ আগস্ট ২০২৫আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্যভাবে সফলতা অর্জনকারী ‘ইউআইইউ মার্স রোভার’, ‘ইউআইইউ অ্যাসেন্ড’ এবং ‘ইউআইইউ মেরিনার’ টিমগুলোকে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ ফোরামের উদ্যোগে এবং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড স্টুডেন্ট অ্
১২ আগস্ট ২০২৫বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। দেশের বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে সিপিডিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। এজন্য তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত
১২ আগস্ট ২০২৫