শিক্ষা ডেস্ক
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন মানেই শুধু ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট আর পরীক্ষার চক্রে আবদ্ধ থাকা নয়। বরং এই সময়টা হতে পারে নিজের জ্ঞান, দক্ষতা ও চিন্তাশক্তিকে গড়ে তোলার এক অসাধারণ সুযোগ। এরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে গবেষণা—নতুন কিছু জানার ও খোঁজার প্রক্রিয়া। গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন ফারহান ইবতেশাম জয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শেখার সুযোগ যেমন গভীর, তেমনি আছে নানা ধরনের টুলস, রিসোর্স ও মেন্টরের সংস্পর্শে আসার সুযোগ। এই সময় থেকেই যদি গবেষণার অভ্যাস গড়ে ওঠে, তাহলে তা শুধু একাডেমিক জীবন নয়, ভবিষ্যতের কাজ বা ক্যারিয়ারের জন্যও দারুণ সহায়ক হবে।
গবেষণা মানে কোনো এক বিষয়ের গভীরে গিয়ে তার সমস্যাগুলো খুঁজে দেখা, তথ্য সংগ্রহ করা, বিশ্লেষণ করা এবং একটি ব্যাখ্যা বা সমাধান দাঁড় করানো। এটি শুধু বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি নয়, সব বিষয়ের জন্যই প্রযোজ্য।
যেভাবে শুরু করা যায়
ধরি, আপনি প্রযুক্তি বা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ছেন। আপনি চাইলে মেশিন লার্নিং বা ডেটা অ্যানালাইসিস-নির্ভর গবেষণায় যুক্ত হতে পারেন। এ ধরনের গবেষণায় প্রথমে একটি প্রাসঙ্গিক সমস্যা বেছে নিতে হয়—যেমন, ট্রাফিক জ্যামের পূর্বাভাস, রোগ শনাক্তকরণ, বা সামাজিক মাধ্যমে মতামত বিশ্লেষণ।
এরপর প্রয়োজন হয় ডেটা। এটি পাওয়া যায় Kaggle, Google Dataset Search বা Twitter API-এর মতো উৎস থেকে। তবে এই ডেটাগুলো সাধারণত অপরিষ্কৃত থাকে। তাই তা পরিষ্কার করতে হয় Pandas, NumPy, Excel PowerQuery বা OpenRefine-এর মতো টুলস দিয়ে।
তারপর আসে মডেল তৈরি বা বিশ্লেষণ করার পালা। এখানে বিভিন্ন অ্যালগোরিদম বা মডেল ব্যবহার করা হয় সমস্যার ধরন অনুযায়ী—যেমন, Decision Tree, Linear Regression, বা Convolutional Neural Network (CNN)। কাজের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয় Scikit-learn, TensorFlow, Keras, Jupyter Notebook ইত্যাদি।
সব বিষয়েই গবেষণা সম্ভব
গবেষণার কাঠামো সব জায়গায় প্রায় একই। পার্থক্য শুধু পদ্ধতি আর টুলসের।
⊲ সমাজবিজ্ঞান বা ইতিহাসে তথ্য সংগ্রহ হয় ফিল্ড স্টাডি বা প্রাথমিক উৎস থেকে, বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয় SPSS বা NVivo।
⊲ সাহিত্য বা দর্শনে বই, চরিত্র বা তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে তুলনামূলক গবেষণা হয়।
⊲ অর্থনীতি বা ব্যবস্থাপনায় কেস স্টাডি বা মার্কেট বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয় Stata, Tableau বা Power BI।
বিশ্ববিদ্যালয়ের করণীয়
গবেষণা যেন কেবল ফাইনাল ইয়ার প্রজেক্টে সীমাবদ্ধ না থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দরকার—
⊲ গবেষণামূলক ল্যাব তৈরি করা,
⊲ অভিজ্ঞদের মেন্টর হিসেবে যুক্ত করা
⊲ ওপেন ডেটার অ্যাকসেস দেওয়া
⊲ গবেষণার প্রশিক্ষণ ও প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি শুরু থেকেই গবেষণায় যুক্ত হয়, তাহলে তারা শুধু পরীক্ষায় ভালো করেই থেমে থাকবে না—তারা হয়ে উঠবে চিন্তাশীল, উদ্ভাবনী ও সৃষ্টিশীল। গবেষণা শেখা মানে শুধু পড়া নয়, বরং নিজে কিছু তৈরি করার সাহস অর্জন করা।
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন মানেই শুধু ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট আর পরীক্ষার চক্রে আবদ্ধ থাকা নয়। বরং এই সময়টা হতে পারে নিজের জ্ঞান, দক্ষতা ও চিন্তাশক্তিকে গড়ে তোলার এক অসাধারণ সুযোগ। এরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে গবেষণা—নতুন কিছু জানার ও খোঁজার প্রক্রিয়া। গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন ফারহান ইবতেশাম জয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শেখার সুযোগ যেমন গভীর, তেমনি আছে নানা ধরনের টুলস, রিসোর্স ও মেন্টরের সংস্পর্শে আসার সুযোগ। এই সময় থেকেই যদি গবেষণার অভ্যাস গড়ে ওঠে, তাহলে তা শুধু একাডেমিক জীবন নয়, ভবিষ্যতের কাজ বা ক্যারিয়ারের জন্যও দারুণ সহায়ক হবে।
গবেষণা মানে কোনো এক বিষয়ের গভীরে গিয়ে তার সমস্যাগুলো খুঁজে দেখা, তথ্য সংগ্রহ করা, বিশ্লেষণ করা এবং একটি ব্যাখ্যা বা সমাধান দাঁড় করানো। এটি শুধু বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি নয়, সব বিষয়ের জন্যই প্রযোজ্য।
যেভাবে শুরু করা যায়
ধরি, আপনি প্রযুক্তি বা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ছেন। আপনি চাইলে মেশিন লার্নিং বা ডেটা অ্যানালাইসিস-নির্ভর গবেষণায় যুক্ত হতে পারেন। এ ধরনের গবেষণায় প্রথমে একটি প্রাসঙ্গিক সমস্যা বেছে নিতে হয়—যেমন, ট্রাফিক জ্যামের পূর্বাভাস, রোগ শনাক্তকরণ, বা সামাজিক মাধ্যমে মতামত বিশ্লেষণ।
এরপর প্রয়োজন হয় ডেটা। এটি পাওয়া যায় Kaggle, Google Dataset Search বা Twitter API-এর মতো উৎস থেকে। তবে এই ডেটাগুলো সাধারণত অপরিষ্কৃত থাকে। তাই তা পরিষ্কার করতে হয় Pandas, NumPy, Excel PowerQuery বা OpenRefine-এর মতো টুলস দিয়ে।
তারপর আসে মডেল তৈরি বা বিশ্লেষণ করার পালা। এখানে বিভিন্ন অ্যালগোরিদম বা মডেল ব্যবহার করা হয় সমস্যার ধরন অনুযায়ী—যেমন, Decision Tree, Linear Regression, বা Convolutional Neural Network (CNN)। কাজের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয় Scikit-learn, TensorFlow, Keras, Jupyter Notebook ইত্যাদি।
সব বিষয়েই গবেষণা সম্ভব
গবেষণার কাঠামো সব জায়গায় প্রায় একই। পার্থক্য শুধু পদ্ধতি আর টুলসের।
⊲ সমাজবিজ্ঞান বা ইতিহাসে তথ্য সংগ্রহ হয় ফিল্ড স্টাডি বা প্রাথমিক উৎস থেকে, বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয় SPSS বা NVivo।
⊲ সাহিত্য বা দর্শনে বই, চরিত্র বা তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে তুলনামূলক গবেষণা হয়।
⊲ অর্থনীতি বা ব্যবস্থাপনায় কেস স্টাডি বা মার্কেট বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয় Stata, Tableau বা Power BI।
বিশ্ববিদ্যালয়ের করণীয়
গবেষণা যেন কেবল ফাইনাল ইয়ার প্রজেক্টে সীমাবদ্ধ না থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দরকার—
⊲ গবেষণামূলক ল্যাব তৈরি করা,
⊲ অভিজ্ঞদের মেন্টর হিসেবে যুক্ত করা
⊲ ওপেন ডেটার অ্যাকসেস দেওয়া
⊲ গবেষণার প্রশিক্ষণ ও প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি শুরু থেকেই গবেষণায় যুক্ত হয়, তাহলে তারা শুধু পরীক্ষায় ভালো করেই থেমে থাকবে না—তারা হয়ে উঠবে চিন্তাশীল, উদ্ভাবনী ও সৃষ্টিশীল। গবেষণা শেখা মানে শুধু পড়া নয়, বরং নিজে কিছু তৈরি করার সাহস অর্জন করা।
ব্যবসায় শিক্ষার ওপর দেশের অন্যতম বড় প্রতিযোগিতা ও উৎসব ১০ম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) মার্কেটিং ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
১২ আগস্ট ২০২৫বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী রচনা ‘সুলতানার স্বপ্ন’ ইউনেসকোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডে’ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করেছে। রোববার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠি
১২ আগস্ট ২০২৫আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্যভাবে সফলতা অর্জনকারী ‘ইউআইইউ মার্স রোভার’, ‘ইউআইইউ অ্যাসেন্ড’ এবং ‘ইউআইইউ মেরিনার’ টিমগুলোকে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ ফোরামের উদ্যোগে এবং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড স্টুডেন্ট অ্
১২ আগস্ট ২০২৫বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। দেশের বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে সিপিডিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। এজন্য তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত
১২ আগস্ট ২০২৫