নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: করোনার কারণে প্রায় ১৪ মাস ধরে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। ফের ছুটি বাড়ানো হয়েছে ২৯ মে পর্যন্ত। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা পড়েছে সেশনজটে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট কমাতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে এই উদ্যোগে আপত্তি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বিশেষ করে ডিভাইস সঙ্কট এবং ইন্টারনেট প্রাপ্তিতে সমস্যার কথা জানাচ্ছেন তারা। তাদের দাবি, অন্তত পরীক্ষাগুলো ক্যাম্পাসে নেওয়া হোক।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী আনোয়ার আল-মাহমুদ বলেন, বাস্তবতা হলো অনলাইনে পরীক্ষা নিলে অনেকেই অংশগ্ নিতে পারবে না। ছুটি না বাড়িয়ে অন্তত পরীক্ষার জন্য হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে পারতো। একেক বিভাগের একেক দিন পরীক্ষা ভাগ করে নিয়ে নেওয়া উচিত। তাহলেই কেবল সবার অংশগ্রহণ সম্ভব। এর আগেও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিলো। করোনা অজুহাতে তখন তাদেরকে আটকানো হয়নি। কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকলে আমাদের পরীক্ষাও এই পদ্ধতিতে নেওয়া যায়। ছুটি যতদিন বাড়ছে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ তত বাড়ছে।
সম্প্রতি বেসরকারি একটি সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিকের ৩৪ লাখ এবং মাধ্যমিক ২৫ লাখ শিক্ষার্থী শিখন ঘাটতির ঝুঁকিতে আছে। দূরশিক্ষণের জন্য দেশে যে সুবিধা থাকা দরকার তা ব্যবহার করছে মাত্র ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী। তাই ঘাটতি পোষাতে বিশেষ ব্যবস্থা না নিলে এসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে। এমন অবস্থায় শিক্ষার এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার তাগিদ দিচ্ছেন শিক্ষাবিদেরা। তাঁদের অনেকে যেসব এলাকায় সংক্রমণ নেই বা কম, সেসব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও সুপারিশ করেছেন।
অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক শিক্ষার্থী। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অনলাইন পরীক্ষা প্রত্যাখ্যান করে পূর্বঘোষিত ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। 'অবিলম্বে সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে' নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কথা বলছেন।
এদিকে দীর্ঘদিন পড়াশোনার বাইরে থাকায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।
প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়নরত তিন সন্তানের মা লক্ষ্মীপুরের লাইজু বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনেকদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চাইলেও এখন সন্তানদের আর বাসায় আটকে রাখতে পারছি না। সারাদিন ছেলে-মেয়েরা কোথায় যায় কী করে কিছুই জানি না। আগে যখন তারা স্কুলে যেতো তখন চিন্তামুক্ত থাকতাম। বাসায় টেলিভিশন নেই তাই কেউই ক্লাস করতে পারছে না। ভাবছি প্রাইভেট টিউশনে পাঠাবো কিন্তু তার জন্য আবার বাড়তি খরচের দরকার পড়বে। এতে সংসারে অতিরিক্ত চাপ বাড়বে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা তাহমিনা আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদে উপচে পড়া ভিড়ে যারা বাড়িতে গিয়েছে এবং শহরে ফিরে আসছে তাঁদের থেকে গ্রামের শিক্ষার্থীরা সংক্রমিত হবে। শিক্ষার্থীদের বাঁচানোও আমাদের দায়িত্ব। তবে অনেক শিক্ষার্থী এরই মধ্যেই ঝরে গেছে। পড়াশোনার বাহিরে থাকায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন ফলে আত্মহত্যাসহ নানা অঘটন ঘটছেই। সুতরাং সরকার তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতেই হবে। তবে সরকার নন-ফরমাল শিক্ষার ওপর যেহেতু জোর দিচ্ছেন তাই তাঁদের এই পদ্ধতির মধ্যে আনতে পারে।
দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় এরইমধ্যে প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত আরেক দফায় বাড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পৃথক পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে প্রায় ১৪ মাস দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী সেশনজট সহ নানারকম সমস্যায় পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন ক্লাস শুরু হলেও তেমন সাড়া মেলেনি। অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের বাহিরে ছিলেন। তাই ক্লাস-পরীক্ষার মাঝে না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষা ঘাটতি নিয়ে ওপরের ক্লাসে উঠছে।
ঢাকা: করোনার কারণে প্রায় ১৪ মাস ধরে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। ফের ছুটি বাড়ানো হয়েছে ২৯ মে পর্যন্ত। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীরা পড়েছে সেশনজটে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট কমাতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে এই উদ্যোগে আপত্তি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বিশেষ করে ডিভাইস সঙ্কট এবং ইন্টারনেট প্রাপ্তিতে সমস্যার কথা জানাচ্ছেন তারা। তাদের দাবি, অন্তত পরীক্ষাগুলো ক্যাম্পাসে নেওয়া হোক।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী আনোয়ার আল-মাহমুদ বলেন, বাস্তবতা হলো অনলাইনে পরীক্ষা নিলে অনেকেই অংশগ্ নিতে পারবে না। ছুটি না বাড়িয়ে অন্তত পরীক্ষার জন্য হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে পারতো। একেক বিভাগের একেক দিন পরীক্ষা ভাগ করে নিয়ে নেওয়া উচিত। তাহলেই কেবল সবার অংশগ্রহণ সম্ভব। এর আগেও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিলো। করোনা অজুহাতে তখন তাদেরকে আটকানো হয়নি। কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকলে আমাদের পরীক্ষাও এই পদ্ধতিতে নেওয়া যায়। ছুটি যতদিন বাড়ছে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ তত বাড়ছে।
সম্প্রতি বেসরকারি একটি সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিকের ৩৪ লাখ এবং মাধ্যমিক ২৫ লাখ শিক্ষার্থী শিখন ঘাটতির ঝুঁকিতে আছে। দূরশিক্ষণের জন্য দেশে যে সুবিধা থাকা দরকার তা ব্যবহার করছে মাত্র ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী। তাই ঘাটতি পোষাতে বিশেষ ব্যবস্থা না নিলে এসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে। এমন অবস্থায় শিক্ষার এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার তাগিদ দিচ্ছেন শিক্ষাবিদেরা। তাঁদের অনেকে যেসব এলাকায় সংক্রমণ নেই বা কম, সেসব এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও সুপারিশ করেছেন।
অনলাইন পরীক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক শিক্ষার্থী। প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অনলাইন পরীক্ষা প্রত্যাখ্যান করে পূর্বঘোষিত ২৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। 'অবিলম্বে সব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে' নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কথা বলছেন।
এদিকে দীর্ঘদিন পড়াশোনার বাইরে থাকায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।
প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়নরত তিন সন্তানের মা লক্ষ্মীপুরের লাইজু বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনেকদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চাইলেও এখন সন্তানদের আর বাসায় আটকে রাখতে পারছি না। সারাদিন ছেলে-মেয়েরা কোথায় যায় কী করে কিছুই জানি না। আগে যখন তারা স্কুলে যেতো তখন চিন্তামুক্ত থাকতাম। বাসায় টেলিভিশন নেই তাই কেউই ক্লাস করতে পারছে না। ভাবছি প্রাইভেট টিউশনে পাঠাবো কিন্তু তার জন্য আবার বাড়তি খরচের দরকার পড়বে। এতে সংসারে অতিরিক্ত চাপ বাড়বে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দা তাহমিনা আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঈদে উপচে পড়া ভিড়ে যারা বাড়িতে গিয়েছে এবং শহরে ফিরে আসছে তাঁদের থেকে গ্রামের শিক্ষার্থীরা সংক্রমিত হবে। শিক্ষার্থীদের বাঁচানোও আমাদের দায়িত্ব। তবে অনেক শিক্ষার্থী এরই মধ্যেই ঝরে গেছে। পড়াশোনার বাহিরে থাকায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন ফলে আত্মহত্যাসহ নানা অঘটন ঘটছেই। সুতরাং সরকার তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতেই হবে। তবে সরকার নন-ফরমাল শিক্ষার ওপর যেহেতু জোর দিচ্ছেন তাই তাঁদের এই পদ্ধতির মধ্যে আনতে পারে।
দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় এরইমধ্যে প্রাথমিক ও কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত আরেক দফায় বাড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পৃথক পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে প্রায় ১৪ মাস দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী সেশনজট সহ নানারকম সমস্যায় পড়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন ক্লাস শুরু হলেও তেমন সাড়া মেলেনি। অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের বাহিরে ছিলেন। তাই ক্লাস-পরীক্ষার মাঝে না থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষা ঘাটতি নিয়ে ওপরের ক্লাসে উঠছে।
ব্যবসায় শিক্ষার ওপর দেশের অন্যতম বড় প্রতিযোগিতা ও উৎসব ১০ম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) মার্কেটিং ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
১২ আগস্ট ২০২৫বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের কালজয়ী রচনা ‘সুলতানার স্বপ্ন’ ইউনেসকোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডে’ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করেছে। রোববার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের নওশের আলী লেকচার গ্যালারিতে অনুষ্ঠি
১২ আগস্ট ২০২৫আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন রোবোটিকস প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্যভাবে সফলতা অর্জনকারী ‘ইউআইইউ মার্স রোভার’, ‘ইউআইইউ অ্যাসেন্ড’ এবং ‘ইউআইইউ মেরিনার’ টিমগুলোকে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ ফোরামের উদ্যোগে এবং ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড স্টুডেন্ট অ্
১২ আগস্ট ২০২৫বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন। দেশের বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে সিপিডিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। এজন্য তিনি দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ নিয়ন্ত
১২ আগস্ট ২০২৫