Ajker Patrika

হলেই থাকছেন চবির শিক্ষার্থীরা

মিনহাজ তুহিন
হলেই থাকছেন চবির শিক্ষার্থীরা

চবি: মহামারির কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোও বন্ধ রয়েছে। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পরপরই আবাসিক হল ত্যাগ করে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কয়েকটি হলে শিক্ষার্থীরা এখনো থাকছেন। প্রশাসন বিষয়টি জেনেও চুপ করে আছে। মাঝেমধ্যে দুই একটা অভিযান চালিয়েই তারা দায় সারছেন। 

জানা গেছে, করোনার এই বন্ধের শুরু থেকেই বিভিন্ন হলে অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী থাকত। তবে 'হলে নির্দ্বিধায় থাকা যায়, প্রশাসন কিছু করে না' এ খবর বন্ধু বান্ধব ও বড় ভাইদের থেকে ছড়িয়ে পড়লে ঈদের পর থেকে হলে অবস্থানকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে ছেলেদের ৬টি হলের মধ্যে ৫টি হলেই শিক্ষার্থী থাকছে। হলগুলো হলো-শাহ আমানত, শাহজালাল, আলাওল, স্যার এ এফ রহমান ও শহীদ আবদুর রব। 

সরেজমিনে হলগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, হলের প্রায় প্রতিটা রুমের সামনে ঝুলছে শিক্ষার্থীদের কাপড়চোপড়। রুমে জ্বলছে বাতি। অনেকটা নির্দ্বিধায় হল থেকে আসা যাওয়া করছেন তারা। কেউ বা রুমের সামনে আড্ডা দিচ্ছে। 

হল বন্ধ তবে কেনো হলে অবস্থান করছেন জানতে চাইলে একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাড়িতে থেকে পড়াশোনা হচ্ছে না। বন্ধুরা আগ থেকে হলে থাকে। তারা জানিয়েছে হলে থাকতে প্রশাসন থেকে কোন ঝামেলা করা হচ্ছে না। তাই ঈদের পর চলে তাঁরা চলে এসেছেন। 

এ দিকে আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জেনেও না জানার ভান করে আছে। এই পর্যন্ত তারা দুইবার অভিযান চালালেও কারও বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সর্বশেষ আবাসিক হল বন্ধ থাকার পরও 'অবৈধভাবে কেউ থাকছে' এমন অভিযোগে গত ০৮ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ছয়টা থেকে সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী পুলিশের সহযোগিতায় ছেলেদের পাঁচটি আবাসিক হলে তল্লাশি অভিযান চালায় প্রক্টরিয়াল বডি। এ সময় দুইটি আবাসিক হলে অবৈধভাবে অবস্থান করা ২৩ শিক্ষার্থীর সন্ধান পায় প্রক্টরিয়াল বডি। এ সময় তাদের পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়। 

এর আগে একই অভিযোগে গত বছর ২৮ আগস্ট রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শাহজালাল হল ও শাহ্ আমানত হলে অভিযান চালায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। এ সময় কাউকে পায়নি প্রক্টরিয়াল বডি। তবে বেশ কয়েকটি রুমের তালায় সমস্যা পায় তারা। অভিযোগ আছে, হলে অভিযান চালানোর খবর আগেই পেয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। ফলে তারা পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা আসার আগেই হল থেকে বেরিয়ে যায়। 
 
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শহীদ আব্দুর রব হলের প্রভোস্ট ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, হল এখন বন্ধ। হলে কারও থাকার সুযোগ নেই। আমরা শুনেছি হলে অবৈধভাবে শিক্ষার্থীরা থাকে। আমরা শিগগিরই অভিযান চালাবো। 

হলে অবৈধভাবে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন জানতে চাইলে শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট নির্মল কুমার সাহা বলেন, আগামী রোববার তুমি এসে আমাকে দেখিয়ে দাও কোন কোন রুমে শিক্ষার্থী থাকে। তারপর আমি দেখবো।  

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত