Ajker Patrika

সহযোগিতার নামে প্রবাসীর স্বর্ণের বার নিয়ে উধাও, বিমানবন্দরের ২ কর্মী গ্রেপ্তার

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ০০: ১৪
সহযোগিতার নামে প্রবাসীর স্বর্ণের বার নিয়ে উধাও, বিমানবন্দরের ২ কর্মী গ্রেপ্তার

শুল্ক-কর দেওয়ার সহযোগিতার নামে প্রবাসীর স্বর্ণের বার নিয়ে উধাও হন বিমানবন্দরের দুই কর্মী। পরে অভিযান চালিয়ে স্বর্ণের বার উদ্ধার করে প্রবাসীর হাতে হস্তান্তর করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এ সময় আনোয়ার হোসেন (৪২) ও আবুল কালাম আজাদ (২৬) নামের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিমানবন্দরের এয়ারকুলার রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সহকারী মেকানিক হিসেবে কাজ করেন। 

ভুক্তভোগী ওই প্রবাসীর নাম শহিদুল ইসলাম। মানিকগঞ্জের সিংগাইর গ্রামে তাঁর বাড়ি। সৌদি আরব থেকে গত রোববার ঢাকার বিমানবন্দরে আসেন তিনি।

প্রবাসী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সৌদি থেকে দুটি স্বর্ণের বার নিয়ে দেশে এসেছিলাম। বিমানবন্দরে নামার পর জানতাম না, এসব স্বর্ণের বারের শুল্ক কোথায় জমা দিতে হবে। পরে ৫ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজের কাছে বিমানবন্দরের একজন কর্মীর কাছে, কোথায় শুল্ক জমা দিতে হবে, তা জানতে চাই। পরে তিনি আরেকজনে দেখিয়ে দেন। ওই সময় তাঁরা সহযোগিতার কথা বলে স্বর্ণের বার দুটি নিয়ে নেন। তার পর থেকে বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে স্বর্ণের বার নিয়ে পালিয়ে যান।’

ভুক্তভোগী প্রবাসী বলেন, ‘তাঁদেরকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে বিমানবন্দরের বোর্ডিং ব্রিজ এলাকায় ঘুরতে থাকি। পরে বিমানবন্দরের এপিবিএন সদস্যরা কী হয়েছে, জানতে চান। বিষয়টি তাঁদেরকে খুলে বলার পর এপিবিএন সদস্যরা তাঁদেরকে খুঁজে বের করে আমার স্বর্ণের বার উদ্ধার করে দেন।’ 

স্বর্ণের বার উদ্ধার করে এর মালিক প্রবাসী শহিদুল ইসলামের হাতে তুলে দেন এপিবিএনের কর্মকর্তা।বিমানবন্দর এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী প্রবাসীর অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দুজনকে শনাক্ত করা হয়। পরদিন সোমবার বিমানবন্দর থেকে তাঁদেরকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা অস্বীকার করলেও পরে তথ্যপ্রমাণ দেখে স্বীকার করেন এবং স্বর্ণের বার ফেরত দেন।’

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া আনোয়ার হোসেন (৪২) ও আবুল কালাম আজাদ (২৬) বিমানবন্দরের এয়ারকুলার রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সহকারী মেকানিক হিসেবে কাজ করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত