ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল চত্বরে মারধরের ঘটনায় ২৪ জনকে দায়ী করে শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা সাদিয়া আফরোজ খান।
শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দিন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও বিজয় একাত্তর হলের মিলনস্থলে (হল চত্বর) মারধরের শিকার অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইবনে হুমায়ুন ২০২০-২১ সেশনের স্যার এএফ রহমান হলে থাকেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মায়ের অভিযোগ দেওয়ার বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করা হচ্ছে।’
অভিযোগপত্রে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা হলেন— মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়নের তবারক মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ফয়সাল আহমেদ সাকিব ও ফারহান লাবিব, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও দর্শন বিভাগের অর্ণব খান, মার্কেটিং বিভাগের মোহাম্মদ শোভন ও বিপ্লব হাসান জয়, কবি জসীমউদ্দিন হল ও নৃ বিজ্ঞান বিভাগের নাইমুর রহমান দুর্জয়, কবি জসীমউদ্দিন হল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদ, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজেমেন্টের সিফরাত সাহিল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সমাজকল্যাণ বিভাগের হেদায়েতুন নুর ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র মাহিন মনোয়ার ও তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাদমান তাওহিদ বর্ষণ, একই হলের আব্দুল্লাহ আল আরিফ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সৈয়দ নাসিফ ইমতিয়াজ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবু রায়হান, জগন্নাথ হলের ও লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রত্যয় সাহা, জসীমউদ্দিন হলের রহমান জিয়া, চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের ফেরদৌস আলম ইমন, ফাইন্যান্স বিভাগের মোশারফ হোসেন, জগন্নাথ হলের জয় বিশ্বাস।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা গত শনিবার রাতে প্রাইভেটকারে ঘোরাঘুরি করছিলেন। সামাজিক বিজ্ঞান ভবন চত্বরের দিকে গাড়ি চালানোর সময় ভুক্তভোগীর গায়ে পানি লাগে। পরে তিন নেতার মাজারের পাশে গাড়িটি ওই শিক্ষার্থী চিনতে পারেন। সেখানে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। ভুক্তভোগী সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর ফোন কল করে ডেকে হল চত্বরে মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি, কবি জসীমউদ্দিন হলও একটি তদন্ত কমিটি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করবে।’
শনিবার হল চত্বরে মারধরের ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কবি জসীমউদ্দিন হল প্রশাসন। হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলের সামনে যেহেতু ঘটনা ঘটেছে তাই আবাসিক শিক্ষক মোহাম্মদ শোয়েবকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। হলের কারো সংশ্লিষ্ঠতা আছে কি না তা আমরা দেখব। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট দিতে কমিটিকে বলা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণমাধ্যমে সংবাদ দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গ্যাং থাকবে না। এসব অপকর্মকারীরা কারা, কোথা থেকে এলো, কারা শেল্টার দেয়—সব খুঁজে বের করা হবে। যথাযথ শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল চত্বরে মারধরের ঘটনায় ২৪ জনকে দায়ী করে শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা সাদিয়া আফরোজ খান।
শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কবি জসীমউদ্দিন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও বিজয় একাত্তর হলের মিলনস্থলে (হল চত্বর) মারধরের শিকার অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের ইবনে হুমায়ুন ২০২০-২১ সেশনের স্যার এএফ রহমান হলে থাকেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মায়ের অভিযোগ দেওয়ার বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করা হচ্ছে।’
অভিযোগপত্রে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা হলেন— মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়নের তবারক মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের ফয়সাল আহমেদ সাকিব ও ফারহান লাবিব, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ও দর্শন বিভাগের অর্ণব খান, মার্কেটিং বিভাগের মোহাম্মদ শোভন ও বিপ্লব হাসান জয়, কবি জসীমউদ্দিন হল ও নৃ বিজ্ঞান বিভাগের নাইমুর রহমান দুর্জয়, কবি জসীমউদ্দিন হল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাদ, টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজেমেন্টের সিফরাত সাহিল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সমাজকল্যাণ বিভাগের হেদায়েতুন নুর ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র মাহিন মনোয়ার ও তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাদমান তাওহিদ বর্ষণ, একই হলের আব্দুল্লাহ আল আরিফ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সৈয়দ নাসিফ ইমতিয়াজ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবু রায়হান, জগন্নাথ হলের ও লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রত্যয় সাহা, জসীমউদ্দিন হলের রহমান জিয়া, চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ বিভাগের ফেরদৌস আলম ইমন, ফাইন্যান্স বিভাগের মোশারফ হোসেন, জগন্নাথ হলের জয় বিশ্বাস।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা গত শনিবার রাতে প্রাইভেটকারে ঘোরাঘুরি করছিলেন। সামাজিক বিজ্ঞান ভবন চত্বরের দিকে গাড়ি চালানোর সময় ভুক্তভোগীর গায়ে পানি লাগে। পরে তিন নেতার মাজারের পাশে গাড়িটি ওই শিক্ষার্থী চিনতে পারেন। সেখানে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। ভুক্তভোগী সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর ফোন কল করে ডেকে হল চত্বরে মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি, কবি জসীমউদ্দিন হলও একটি তদন্ত কমিটি করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করবে।’
শনিবার হল চত্বরে মারধরের ঘটনায় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কবি জসীমউদ্দিন হল প্রশাসন। হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হলের সামনে যেহেতু ঘটনা ঘটেছে তাই আবাসিক শিক্ষক মোহাম্মদ শোয়েবকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। হলের কারো সংশ্লিষ্ঠতা আছে কি না তা আমরা দেখব। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট দিতে কমিটিকে বলা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণমাধ্যমে সংবাদ দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গ্যাং থাকবে না। এসব অপকর্মকারীরা কারা, কোথা থেকে এলো, কারা শেল্টার দেয়—সব খুঁজে বের করা হবে। যথাযথ শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
আরও খবর পড়ুন:
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫