Ajker Patrika

দেহব্যবসা থেকে রক্ষা পেল ১২ বছরের কিশোরী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ৫৬
দেহব্যবসা থেকে রক্ষা পেল ১২ বছরের কিশোরী

গাজীপুর থেকে অপহৃত বারো বছরের কিশোরীকে ১১ দিন পর চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে র‍্যাব। সে গাজীপুর থেকে অপহরণের শিকার হয়েছিল। অপহরণে জড়িত চক্রের নারীসহ তিনজনকে আটকও করেছে র‍্যাব। 

র‍্যাব বলছে, অপহরণের শিকার কিশোরীটিকে দিয়ে যৌন ব্যবসার উদ্দেশ্য ছিল চক্রটির। আজ রোববার র‍্যাব-৭ চট্টগ্রাম কার্যালয় কিশোরীকে উদ্ধারের কথা জানায়। 

র‍্যাব-৭-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ চপল বলেন, ‘গত ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরে বাসা থেকে দোকানে খাতা-কলম কিনতে বেরিয়ে ওই কিশোরী নিখোঁজ হয়। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাটির ছায়াতদন্ত শুরু করে র‍্যাব। একপর্যায়ে অপহরণকারীদের ইপিজেড এলাকায় অবস্থানের খবর পাওয়া যায়। গত শুক্রবার রাতে র‍্যাবের একটি দল ইপিজেড থানা এলাকার খান সুফিয়া ম্যানশন নামে একটি বাসা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি অপহরণে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়।’ 

আটককৃতরা হলেন নরসিংদী জেলার রায়পুর থানার পুবেরচর গ্রামের বুলবুল মিয়ার ছেলে শাহ পরান (১৯), রাজবাড়ী জেলার জয়নাল আবেদীনের ছেলে রাহাত হোসেন (২৩) ও কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার সোলেমানপুর গ্রামের আরিছ মিয়ার মেয়ে সুমা আক্তার (২০)। তাদের গাজীপুরের বাসন থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

অভিযান পরিচালনাকারী দলের প্রধান র‍্যাব-৭ হাটহাজারী ক্যাম্পের অধিনায়ক মাহাফুজুর রহমানে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাজীপুরের বাসন থানার পশ্চিম দীঘিরচালা এলাকায় কিশোরীটির পরিবার থাকে। পাশের বাসায় ভাড়া থাকত চক্রের লোকজনও। চক্রটি অনেক দিন ধরে কিশোরীকে অপহরণের সুযোগ খুঁজছিল। বিভিন্নভাবে তার সঙ্গে সখ্য গড়ার চেষ্টা করে। গত ১৩ ডিসেম্বর সুযোগ বুঝে তাকে অপহরণ করে চক্রটির সদস্যরা। অপহরণের পর তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়।’ 

র‍্যাব কর্মকর্তা মাহাফুজুর রহমান আরও বলেন, ‘আটককৃতরা মূলত একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তাদের কাজই হচ্ছে দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েদের টার্গেট করে ফাঁদে ফেলা। ভিকটিমকে কৌশলে বাসায় এনে আটকে রাখা। পরে সুযোগ বুঝে যৌনকাজে বাধ্য করার পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধে জড়ানো। অপহরণের শিকার কিশোরীটিকে নিয়ে চক্রটির একই উদ্দেশ্য ছিল।’ 

র‍্যাব জানায়, অভিযানকালে চক্রের আরও দুই নারী সদস্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার গাজীপুরের বাসন থানায় চক্রটির সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন কিশোরীটির বাবা মো. শামসুল হক। শামসুলের বাড়ি গাইবান্ধা জেলা সদরের দক্ষিণ গিদারী এলাকায়। 

মেয়েটির বাবার বরাত দিয়ে র‍্যাব কর্মকর্তারা জানান, শিশুটির অনেক দিন খোঁজ না পাওয়ায় তাঁর বাবা ধরেই নিয়েছিলেন সে মারা গেছে। নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় কোনো অভিযোগও করেননি শামসুল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত