Ajker Patrika

কাউন্সিলরের অফিসে পুলিশের তল্লাশি, ‘জায়গামতো’ অভিযোগ দেওয়ার হুমকি বরিশাল মেয়রের

প্রতিনিধি
কাউন্সিলরের অফিসে পুলিশের তল্লাশি, ‘জায়গামতো’ অভিযোগ দেওয়ার হুমকি বরিশাল মেয়রের

বরিশাল: আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কয়টা লোক থানায় গিয়ে তদবির করেছে? কেউ বলতে পারবেন একটি মোটরসাইকেল ছাড়ানোর জন্যও তদবির করছি কি–না। আপনারা কার বিরুদ্ধে কাজ করছেন? আমার দলের নেতা–কর্মীদের হয়রানি করে আপনারা কার পারপাস সার্ভ করেন? আপনারা পুলিশি রেইড দেন কাউন্সিলর ও সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাঈদ আহমেদ মান্নার অফিসে, আমাকে জিজ্ঞেস করেন না।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এ বক্তব্য দেন। নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ সাঈদ আহমেদ মান্নার অফিসে ২৭ মে পুলিশের তল্লাশির বিষয়ে মেয়রের এমন বক্তব্য।

মেয়র বলেন, কাউন্সিলরের ওখানে এমনকি হয়েছে যে ওখানে দাঙ্গা পুলিশ পাঠানো হয়েছে? এখানে ষড়যন্ত্র হতে পারে। আমাদের ভেতরেও ষড়যন্ত্রকারী আছে। এই ষড়যন্ত্র একদিনের নয়। আজকে বিসিক নিয়ে যা ঘটেছে তা ঠিক ছিল না।

বরিশালের জেলার নবনিযুক্ত প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দারের বিষয়ে মেয়র সাদিক বলেন, নতুন ডিসি আসছে ভালো কথা। কিন্তু মন্ত্রী মহোদয়রা আসেন, অথচ ইদানীং চিঠিও পাই না। আপনারা কেন বাঁ হাত দিয়ে সিটি করপোরেশনের কাজ বাধাগ্রস্ত করছেন?

নেতা-কর্মীদের পুলিশ, প্রশাসন হয়রানি করছে অভিযোগ করে মেয়র বলেন, আমরা সব বিষয় জায়গামতো জানাব। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে অভিযোগ দেওয়া হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত চিঠি দেওয়া হবে।

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গির আজ রোববার বলেন, প্রশাসনও আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চায়। খোঁচা মেরে গায়ে পড়তে চায়। নেতা-কর্মীদের হয়রানি করে। আমরা কি রাস্তার দোকানে দোকানে গিয়ে চাঁদা তুলি? থানায় থানায় গিয়ে তদবির করি? তাহলে আওয়ামী লীগের ওপর এত হয়রানি কেন?

আওয়ামী লীগ নেতাদের এসব অভিযোগ ও মন্তব্যের বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা সাড়া দেননি।

কাউন্সিলের অফিসে তল্লাশির বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন-২) আনোয়ার হোসেন বলেন, ৯৯৯ নম্বরে দুই পক্ষের জমি সংক্রান্ত বিরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় কাউন্সিলর মান্না তাঁর বাহিনী নিয়ে এসে আমার ওপর হামলা করেন। আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। আমাকে কাউন্সিলর মান্না বলেন, তুই এখানে কেন আসছোস? এই বরিশাল আমার এলাকা। তুই কে? তোর পোশাক খুলে নিয়া যাব। পরিস্থিতি খারাপ হলে অতিরিক্ত ফোর্স ডাকা হয়। তখন কাউন্সিলর মান্না সটকে পড়েন।
পরিদর্শক আনোয়ার জানান, তিনি ওই ঘটনায় মর্মাহত। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে জনগণের জমি দখল করবে। আবার পুলিশের ওপর হামলা করবে, মোবাইল ছিনিয়ে নেবে, পোশাক খুলে নেওয়ার হুমকি দেবে-এটা মানা যায় না। এসব বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দেবেন বলেই তাঁর আশা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত