শাপলা খন্দকার, বগুড়া
বগুড়ায় জনবলসংকট নিয়েই চলছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম। একদিকে জেলাব্যাপী ভেজাল পণ্যের উৎপাদন বিস্তার লাভ করছে, অন্যদিকে বাড়ছে অসাধু ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্য ও ভোক্তাদের অভিযোগ। ফলে লোকবল সংকটে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এই অধিদপ্তরের কর্মীদের।
জাতীয় ভোক্তা-সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় ৩৬ লাখ ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছেন মাত্র দুজন। তাঁদের একজন সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী। অন্যজন অফিস সহায়ক মো. আব্দুল কাদের। তাঁদের মধ্যে অফিসের নথিপত্র গোছাতেই বেশির ভাগ সময় কাটে আব্দুল কাদেরের। আর বাজার তদারকিতে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম। অভিযানে তিনি পুলিশ সদস্যদের সহায়তা নেন।
আরও জানা গেছে, দিন দিন ভোক্তাদের অভিযোগ বাড়লেও জনবল স্বল্পতার কারণে সেগুলোর নিষ্পত্তি হচ্ছে না। অনেক অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তিযোগ্য হলেও তা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে শত শত অভিযোগ। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে তদারকি করে শাস্তি ও জরিমানা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দুই ধরনের কাজ করে থাকে। এর একটি হলো কেউ কোনো পণ্য বা সেবা কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হলে অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানার শতকরা ২৫ ভাগ পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তা। অন্যটি হলো প্রতিদিন বাজার তদারকি করা। এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও বাজার তদারকি করতে হবে। তবে জনবল সংকটের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, ১২ উপজেলা নিয়ে বগুড়া জেলা। উপজেলা পর্যায়েও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কোনো কার্যালয় নেই। ফলে জেলায় একজন কর্মকর্তাসহ দুজনকে দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ভোক্তা অধিকার বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জনবল বাড়ানোর বিকল্প নেই।
বগুড়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে বগুড়ায় এই অধিদপ্তর কার্যক্রম শুরু করে। জনবল সংকট নিয়েই ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১৬১টি অভিযান পরিচালনা করে ১১ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৯৮টি অভিযানে ১১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৭৭টি অভিযানে ২৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলায় ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় তাঁরা দুজন কাজ করছেন। দিন দিন ভোক্তাদের অভিযোগ বাড়ছে। কিন্তু সব অভিযোগই নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে জনবল বাড়াতে হবে। এ ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে অফিস স্থাপন করতে হবে।
সহকারী পরিচালক রিজভী আরও জানান, উপজেলা পর্যায়ে অফিস থাকলে সেখানকার ভোক্তারা সহজেই অভিযোগ দিতে পারবেন। কোনো ভোক্তা প্রতারিত হলেও জেলায় এসে তাঁরা অভিযোগ করেন না। এতে অসাধু ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যান। আর ভোক্তাদের নাগালের ভেতরে অফিস থাকলে যখন-তখন অভিযোগ জানাতে পারবেন। দুজনকে দিয়ে জেলার ৩৬ লাখ মানুষের অধিকার রক্ষা করা সম্ভব নয়।
বগুড়ায় জনবলসংকট নিয়েই চলছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম। একদিকে জেলাব্যাপী ভেজাল পণ্যের উৎপাদন বিস্তার লাভ করছে, অন্যদিকে বাড়ছে অসাধু ব্যবসায়ীর দৌরাত্ম্য ও ভোক্তাদের অভিযোগ। ফলে লোকবল সংকটে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এই অধিদপ্তরের কর্মীদের।
জাতীয় ভোক্তা-সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় ৩৬ লাখ ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছেন মাত্র দুজন। তাঁদের একজন সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী। অন্যজন অফিস সহায়ক মো. আব্দুল কাদের। তাঁদের মধ্যে অফিসের নথিপত্র গোছাতেই বেশির ভাগ সময় কাটে আব্দুল কাদেরের। আর বাজার তদারকিতে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম। অভিযানে তিনি পুলিশ সদস্যদের সহায়তা নেন।
আরও জানা গেছে, দিন দিন ভোক্তাদের অভিযোগ বাড়লেও জনবল স্বল্পতার কারণে সেগুলোর নিষ্পত্তি হচ্ছে না। অনেক অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তিযোগ্য হলেও তা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে শত শত অভিযোগ। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে তদারকি করে শাস্তি ও জরিমানা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দুই ধরনের কাজ করে থাকে। এর একটি হলো কেউ কোনো পণ্য বা সেবা কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হলে অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানার শতকরা ২৫ ভাগ পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তা। অন্যটি হলো প্রতিদিন বাজার তদারকি করা। এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও বাজার তদারকি করতে হবে। তবে জনবল সংকটের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, ১২ উপজেলা নিয়ে বগুড়া জেলা। উপজেলা পর্যায়েও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কোনো কার্যালয় নেই। ফলে জেলায় একজন কর্মকর্তাসহ দুজনকে দিয়ে অভিযান পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ভোক্তা অধিকার বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জনবল বাড়ানোর বিকল্প নেই।
বগুড়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে বগুড়ায় এই অধিদপ্তর কার্যক্রম শুরু করে। জনবল সংকট নিয়েই ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১৬১টি অভিযান পরিচালনা করে ১১ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৯৮টি অভিযানে ১১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৭৭টি অভিযানে ২৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলায় ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় তাঁরা দুজন কাজ করছেন। দিন দিন ভোক্তাদের অভিযোগ বাড়ছে। কিন্তু সব অভিযোগই নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে জনবল বাড়াতে হবে। এ ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে অফিস স্থাপন করতে হবে।
সহকারী পরিচালক রিজভী আরও জানান, উপজেলা পর্যায়ে অফিস থাকলে সেখানকার ভোক্তারা সহজেই অভিযোগ দিতে পারবেন। কোনো ভোক্তা প্রতারিত হলেও জেলায় এসে তাঁরা অভিযোগ করেন না। এতে অসাধু ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যান। আর ভোক্তাদের নাগালের ভেতরে অফিস থাকলে যখন-তখন অভিযোগ জানাতে পারবেন। দুজনকে দিয়ে জেলার ৩৬ লাখ মানুষের অধিকার রক্ষা করা সম্ভব নয়।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫