Ajker Patrika

পুরান ঢাকার এক প্রতিষ্ঠানের ২৭৫ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৫১
পুরান ঢাকার এক প্রতিষ্ঠানের  ২৭৫ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি

বন্ড সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগে রাজধানীর লালবাগের নাহিদ এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে ২৭৫ কোটি ৩২ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে পাওয়া ভ্যাট ও আয়কর ফাঁকির অভিযোগটি আরও গভীরভাবে তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলকে (সিআইসি) অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে—এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দা দপ্তর অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে। পরে এই অনুসন্ধানের প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের ভ্যাটসংক্রান্ত দলিলাদি চেয়ে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হয়।

তবে প্রতিষ্ঠানটি কাগজপত্র ছাড়া চিঠি দিয়ে বারবার সময় চেয়ে কালক্ষেপণ করে। দলিলাদি দাখিল করে তদন্তকাজে সহযোগিতা না করায় গত ১৭ জুন প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট গোয়েন্দা দপ্তরের উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ভ্যাটসংক্রান্ত বাণিজ্যিক দলিলাদি জব্দ করা হয়।

অনুসন্ধানের তথ্য তুলে ধরে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়, মেসার্স নাহিদ এন্টারপ্রাইজ অন্যান্য বন্ডেড প্রতিষ্ঠান থেকেও বন্ড সুবিধার অপব্যবহার করে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানটি দাখিলপত্রে বিক্রয়মূল্য দেখিয়েছে ২৯১ কোটি ৮৯ লাখ ৬৬ টাকা।

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, প্রতিষ্ঠানটির প্রকৃত বিক্রয়মূল্য ছিল ১ হাজার ৫৪০ কোটি ২৬ লাখ ৬৩ হাজার ২২ টাকা। যেখানে তারা ১ হাজার ৪৭ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৫৪ টাকার প্রকৃত বিক্রয়মূল্য গোপন করেছে। সব মিলিয়ে মোট ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ ২৭৫ কোটি ৩২ লাখ ২ হাজার ২৩৫ টাকা।

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের তদন্তে আরও দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা প্রাইম ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখা ও উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার শাখায় দুটি ব্যাংক হিসাবে মোট ১ হাজার ৫৪০ কোটি ২৬ লাখ ৬৩ হাজার ২২ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা অবৈধ বন্ডেড পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্জিত বলে প্রমাণ মিলেছে। পুরো বিষয়টিতে আয়কর ফাঁকিরও সন্দেহ করা হচ্ছে। এ জন্য এনবিআরের বিশেষায়িত সেল সিআইসিকে বিষয়টির বিশদ অনুসন্ধানের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। সিআইসি স্বাধীনভাবে রাজস্ব জালিয়াতির অনুসন্ধান করে থাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত